প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায়

চুল পড়া - নতুন চুল গজানো

চুল পড়া খুবই কমন একটু সমস্যা। প্রায় সবারই চুল পড়া সমস্যা রয়েছে। তাই চুল টিকিয়ে রাখার চিন্তা শেষ নেই। যাদের চুল পাতলা বা টাক হয়ে গেছে তারা নতুন চুল গজানোর জন্য কত কি-ই না করেন।।সঠিক উপায় চুলের যত্ন নিলে চুল সুন্দর হবে। গজাবে নতুন চুল। 
অনেক উপকারী উপাদান ও সঠিক প্রয়োগের অভাবে ক্ষতিকর হয়ে ওঠে চলুন জেনে নেওয়া যাক নতুন চুল গজানোর কার্যকর কয়েকটি উপায় ।
.

ভূমিকাঃ

শারীরিক গঠন ভেদে কত বছর পর্যন্ত চুল গজাতে পারে সেটি নির্ভর করে। তবে বৃদ্ধ বয়সে মাথার চুল গজাতে পারে। এর কোন নির্দিষ্ট বয়স সীমা নেই। মাতৃ গর্ভ থেকে মানুষের চুল গজানো শুরু হয়। এরপর নানা কারণে চুল ঝরে আবার পর্যায়ক্রমে গজায়।সঠিক উপায় চুলের যত্ন নিলে চুল সুন্দর হবে। গজাবে নতুন চুল ও চুল পড়া বন্ধ হবে।

নতুন চুল গজানোর উপায় :

যাদের চুল রয়েছে স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিদিনই কিছু না কিছু চুল পড়বে। তবে চুল পড়ার পাশাপাশি নতুন চুল যদি না গজায় তখন পাতলা হতে শুরু করে। আপনি কি খাচ্ছেন কিভাবে চলে যখনচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করে নতুন চুল গজাবে।সঠিক উপায় চুলের যত্ন নিলে চুল সুন্দর হবে। গজাবে নতুন চুল। অনেক উপকারী উপাদান ও সঠিক প্রয়োগের অভাবে ক্ষতিকর হয়ে ওঠে চলুন জেনে নেওয়া যাক নতুন চুল গজানোর কার্যকর কয়েকটি উপায় -

নিমপাতার ব্যবহার
ত্বকের নানা সমস্যা সারাতে বেশ পরিচিত নিমপাতা। শুধু যত্নে ও বেশ কার্যকর নিমপাতা। নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এই নিম পাতা। একমুঠো নিম পাতা নিয়ে এক লিটার পানিতে ফুটিয়ে নিন এবার মিশ্রণটি ঠান্ডা করে বোতলে সংরক্ষণ করুন শ্যাম্পু করার পর নিমের এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে কোন ধরনের সংক্রমণ বা খুব সে সমস্যা থাকলে তার দূর করতে সাহায্য করবে এতে নতুন চুল গজাবে। ওরা শক্ত হবে এবং নতুন চুল গজানো সতেজ হবে।

পেঁয়াজের রস
পেঁয়াজের রস এ গাজালো গন্ধ বিরক্তি কর লাগলেও চুল পড়া কমাতে নতুন চুল গজাতে কাজ করে। কয়েকটি পিয়াজ ভালোভাবে বেটে নিয়ে এক মগ পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিন।এবার মিশ্রণটি মাথায় ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর হালকা গরম পানিতে ধুয়ে নেবেন। এভাবে ব্যবহার করুন সপ্তাহে দুই তিনবার এতে চুল ও স্ক্যাল্পের অনেক সমস্যা দূর হবে। গজাবে নতুন চুল।

মেথি
তুলে যত্নে উপকারী উপাদান মেথি। এটি নতুন চুল গজাতে কার্যকারী ভূমিকা রাখে। পরিষ্কার পানিতে মেথি ভিজিয়ে রাখা সারারাত। সকালে উঠে ব্লেন্ড করে নিন। এবার সেই ব্লেন্ড করা মেথি চুলে সরাসরি ব্যবহার করুন বা দই-মধুর সঙ্গে মিশিয়ে লাগাতে পারেন।শুঁকে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা কর এরপর হালকা কোন শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।

কালোজিরা ও মেথি
কালোজিরা ও মেয়েটি প্রথমে রোদের শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর গুড়া করে নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন।এই মিশ্রণটি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে কাচের বোতলে সংরক্ষণ করুন।এটি দুই সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকবে। সপ্তাহে তিনদিন এটি চুলে ব্যবহার করুন।

কপালে নতুন চুল গজানোর উপায়:

আমাদের মধ্যে অনেকের সমস্যা হয়েছে যে পিছনে থাকা সত্ত্বেও সামনের দিকে চুল অনেক কম থাকে। কপালে আস্তে আস্তে চুলের পরিমাণ কমে টাক হয়ে যাচ্ছে।এর জন্য অনেকেই দুশ্চিন্তার সম্মুখীন হন। চলুন এই সমস্যার সমাধান সম্পর্কে প্রাকৃতিক কিছু উপায় জেনে নেওয়া যাক।

পেঁয়াজের রস :
পেঁয়াজের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সালফার যা কপালে নতুন চুল গজাতে ভীষণভাবে উপকারী।এর জন্য একটি বড় পেঁয়াজ নিয়ে ব্লেন্ডার করে নিতে হবে। এবং এটা চিপে রস বের করে নিতে হবে মাথার ত্বক ও কপালে যেখানে চুল নেই সেখানে ভালোভাবে মাসাজ করে দুই ঘন্টার জন্য ত্বকে লাগিয়ে রাখতে হবে। ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য আপনার রাতে চুলে ভালোভাবে ব্যবহার করে সারারাত রেখে দিন এবং পরের দিন শ্যাম্পু করে নিবেন। সপ্তাহের চার থেকে পাঁচ দিন এক মাস মত ব্যবহার করলে ফলাফল পাওয়া যাবে।

ক্যাস্টার অয়েল :
ভীষণ কার্যকারী চুলের জন্য এই ক্যাস্টর অয়েল। ক্যাস্টর অয়েলে থাকার রিসেন লাইক নামক একটি উপাদান যা চুলের অথবা চুলের বীজ তৈরি করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।এক থেকে দুই চামচ ক্যাস্টর অয়েলের সাথে দুই থেকে তিনটি ভিটামিন এ ক্যাপসুল নিয়ে এর মধ্যে যে তেল থাকে সেটা ভালোভাবে ক্যাস্টর অয়েলের সাথে মেশাতে হবে।এরপর রাতে ভালোভাবে মাথার ত্বকের এবং কপালে মাসাজ করে ব্যবহার সারারাত রেখে দিতে হবে তারপর পরের দিন সকালে শ্যাম্পু করে নিতে হবে।এভাবে সপ্তাহে দুইদিন ব্যবহারের ফলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

রসুন :
চুল গজানোর জন্য রসুন ও কার্যকরী উপাদান। রসুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সালফার। এইজন্য আপনাকে ৫ থেকে ৬ কোয়া রসুন দুই চামচ নারিকেল তেল নিতে হবে। এরপর রসুন ভালোভাবে ব্লেন্ডার করে রস বের করে নিতে হবে। এবার রসুনের সঙ্গে তেল মিশিয়ে নিয়ে হালকা গরম করে নিতে হবে এরপর গরম তেলটি আবে লাগাতে হবে। সপ্তাহে দুই তিন দিন ব্যবহার করলে নতুন চুল গজানোর শুরু হবে।
আলুঃ
চুলের জন্য আলু অনেক উপকারী তা হয়তো অনেকেরই জানা নেই। একটি মাঝারি সাইজের আলু নিয়ে ভালোভাবে রস করে নিতে হবে এবং একটি ডিমের কুসুম ও তিন চামচ মধু এবং সামান্য পানি ভালোভাবে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। ইনফরমেশনটি এক ঘন্টার জন্য মাথায় লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপর ভালোভাবে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এটি সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করুন একবার সপ্তাহের শেষে একবার তাহলে দেখবেন নতুন চুল গজাবে।

চুল গজানোর তেলের নাম
  • Carrier oil  ক্যারিয়াল অয়েল  বা (Base oil) হল আসলে এমন উপকরণ যার মধ্যে সহজে মিশিয়ে নেওয়া যায় এসেনসিয়াল অয়েল (Essential Oil)।তারপর সেই মিশ্রণ চুলের পরিচর্যার (Hair care tips) ব্যবহার করা সম্ভব।
  • জোজোবা অয়েল : চুলের স্বাস্থ্যের জন্য কার্যকরী হল জোজোবা অয়েল। চুলের বৃদ্ধি এবং নতুন গজাতে সাহায্য কর।এটি একটি ক্যারিয়ার অয়েল হিসেবেও পরিচিত। কপার, জিংক ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই রয়েছে জোজোবা অয়েল এ।
  • আমন্ড অয়েল :ফুলের একাধিক সমস্যার সমাধানে রয়েছে আমন্ড ওয়েলের মধ্যে।স্কাল্পেমআমন্ড অয়েল দিয়ে মাসাজ বলেছিল করলে চুলের গোড়া শক্ত হয় ও মজবুত হয়।

মাথার সামনের চুল গজানোর উপায়ঃ

কয়েকটি উপাদান ব্যবহার করে মাথার সামনের চুল গজানো যায়_
পেঁয়াজের রস এ গাজালো গন্ধ বিরক্তি কর লাগলেও চুল পড়া কমাতে নতুন চুল গজাতে কাজ করে।
মেথি নতুন চুল গজাতে কার্যকারী ভূমিকা রাখে।মেথি ব্যবহার করে মাথার সামনের চুল গজানো যায়।
চুল গজানোর জন্য রসুন ও কার্যকরী উপাদান ।সপ্তাহে দুই তিন দিন ব্যবহার করলে নতুন চুল গজানোর শুরু হবে।

চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর উপায়ঃ

সঠিক উপায় চুলের যত্ন নিলে চুল সুন্দর হবে। গজাবে নতুন চুল ও চুল পড়া বন্ধ হবে। অনেক উপকারী উপাদান ও সঠিক প্রয়োগের অভাবে ক্ষতিকর হয়ে ওঠে ।

পেঁয়াজের রস
পেঁয়াজের রস এ গাজালো গন্ধ বিরক্তি কর লাগলেও চুল পড়া কমাতে নতুন চুল গজাতে কাজ করে। কয়েকটি পিয়াজ ভালোভাবে বেটে নিয়ে এক মগ পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিন।এবার মিশ্রণটি মাথায় ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর হালকা গরম পানিতে ধুয়ে নেবেন। এভাবে ব্যবহার করুন সপ্তাহে দুই তিনবার এতে চুল ও স্ক্যাল্পের অনেক সমস্যা দূর হবে। গজাবে নতুন চুল।

মেথি
তুলে যত্নে উপকারী উপাদান মেথি। এটি নতুন চুল গজাতে কার্যকারী ভূমিকা রাখে। পরিষ্কার পানিতে মেথি ভিজিয়ে রাখা সারারাত। সকালে উঠে ব্লেন্ড করে নিন। এবার সেই ব্লেন্ড করা মেথি চুলে সরাসরি ব্যবহার করুন বা দই-মধুর সঙ্গে মিশিয়ে লাগাতে পারেন।শুঁকে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা কর এরপর হালকা কোন শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।

কালোজিরা ও মেথি
কালোজিরা ও মেয়েটি প্রথমে রোদের শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর গুড়া করে নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন।এই মিশ্রণটি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে কাচের বোতলে সংরক্ষণ করুন।এটি দুই সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকবে। সপ্তাহে তিনদিন এটি চুলে ব্যবহার করুন।

কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায়:

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন শারীরিক গঠন ভেদে কত বছর পর্যন্ত চুল গজাতে পারে সেটি নির্ভর করে। তবে বৃদ্ধ বয়সে মাথার চুল গজাতে পারে। এর কোন নির্দিষ্ট বয়স সীমা নেই। মাতৃ গর্ভ থেকে মানুষের চুল গজানো শুরু হয়। মানুষ মাত্রই গর্ভ থেকে চুল নিয়ে জন্মায়।

 এরপর নানা কারণে চুল ঝরে আবার পর্যায়ক্রমে গজায়।চুল ঝরে পড়া আর চুল গজানোর পার্থক্য দেখা দিলে চুলের ঘনত্বের রকমফের হয়।
ডার্মাটোলোজিস্টরা বলেছেন, চুল গজানোর চেয়ে চুল ঝরে পড়ার পরিমাণ বেশি হলে মাথায় টাক পড়া সমস্যা দেখা দেয়। এদিকে পুষ্টিবিদরা বলেছেন আশার কথা। পুষ্টিবিদদের মতে আছেন কিভাবে চুলের যত্ন নিচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে নতুন চুল গজাবে। যত্ন নিলেই সম্ভব নতুন গজানো।

মন্তব্য

সঠিক নিয়মে চুলের যত্ন নিলে চুল গজাবে। তাছাড়া কোন চিকিৎসার প্রয়োজন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

https://www.dyinamicit.com/p/blog-page_16.html

comment url