পেঁপে উপকারিতা এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

প্রায় গ্রীষ্ম প্রধান অঞ্চল এবং গ্রীষ্ম প্রধান দেশগুলোতে একটা প্রধান ফল হচ্ছে পেঁপে। আপনার কি জানা আছে পেঁপে ফল প্রথম কোথায় উৎপন্ন হয়েছিল? পেঁপে ফলের প্রথম জন্মেছিল মেক্সিকোতে।
ক্রান্তীয় (গ্রীষ্মমন্ডলীয়) আমেরিকার দেশজ ফল হচ্ছে পেঁপে। আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা পেঁপে উপকারিতা এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, পেঁপের স্বাস্থ্য উপকারিতা, পেঁপের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া  সম্পর্কে জানব।
.

ভূমিকা 

পেঁপে অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। পর্তুগিজরা পেঁপের সূচনা করেছিল ক্রিস্টোফার কলম্বাস দ্বারা একে দেবদূতদের ফল বলে অভিহিত করা হয়েছিল। পেঁপের স্বাদ প্রায় কাঁকুড়ের বা ফুটির সাথে তুলনা করা হয়, কিন্তু এটি কম মিষ্টি। পেঁপে যখন পাকে তখন এর আসল স্বাদ উপলব্ধি করা যায়। পেঁপে দুই রঙের হয়ে থাকে। যখন এটি কাঁচা অবস্থায় থাকে তখন সবুজ রঙের হয় এবং যখন পাকা হয় তখন হলুদ খেয়ে কমলা এই জাতীয় রংয়ের হতে পারে।

পেঁপের পরিচিতি

পেঁপে বিশ্বব্যাপী একটি জনপ্রিয় ফল। পেঁপের উদ্ভিদবিজ্ঞানগত নাম হচ্ছে Carica papaya ( ক্যারিকা প্যাপায়া )। পেঁপে হচ্ছে ক্যারিকাসিয়ি প্রজাতির। পেঁপে সংস্কৃত নাম হচ্ছে কর্কঢী। সাধারণত পেঁপে কে পা-প বা প-প বলা হয়। কখনও কখনও একে 'গাছ ফুটি' হিসাবেও উল্লেখ করা হয়। পেঁপে গাছের ফল,

পাতা, ফুল, ডাটা, কান্ড, বীজ, শিকড় বা কাণ্ড প্রায় সব কিছুই ব্যবহার করা যায়। বিশ্বের প্রায় সব ক্রান্তীয় গ্রীষ্মমন্ডলীয় এলাকায় পেঁপে গাছ খুব ভালো জন্মে। দক্ষিণ আমেরিকা এবং মেক্সিকো দেশগুলোর দেশজ ফল হচ্ছে পেঁপে ফল। পেঁপে উপকারিতা এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে অনেক।

পেঁপের প্রচলিত দেশ

ভারত দেশের নানা প্রান্তে ফলানো হয় উৎপাদনকারী দের মধ্যে আছে দক্ষিণে অন্ধ্রপ্রদেশ কর্ণাটক এবং কেরালা,পূর্বে পশ্চিমবঙ্গ, ভারতে গুজরাট মহারাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রদেশ। বিশ্বে পেঁপের বৃহত্তম উৎপাদক হচ্ছে ভারত। ভারত থেকে প্রায় ৩ মিলিয়ন টন পেঁপে উৎপাদন করে যা পেঁপের সমগ্র বিশ্বে উৎপাদনের অর্ধেক। ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলো যেমন বাহরিন, সৌদি আরব, কুয়েট, কাতার, ইউএই (UAE) এবং নেদারল্যান্ডস এ ও ব্যাপক পেঁপের রপ্তানি হয়।

পেঁপের উপকারিতা ও অপকারিতা

পেটে একটি আদর্শ ফল যার সহজে বাড়ি বাগানে এবং বাড়ির পিছনে উঠোনে ফলানো যেতে পারে বা বাড়ির আশেপাশে লাগানো যায়। পেঁপে গাছ খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় এটি লাগানোর চার থেকে দশ মাসের মধ্যেই ফল ধরতে শুরু করে।পেঁপে দুই রঙের হয়ে থাকে। যখন এটি কাঁচা অবস্থায় থাকে তখন সবুজ

রঙের হয় এবং যখন পাকা হয় তখন হলুদ খেয়ে কমলা এই জাতীয় রংয়ের হতে পারে। স্বাস্থ্য উপযোগিতা একটি ব্যাপক বৈচিত্র্য রয়েছে পেঁপেতে। পেঁপের স্বাস্থ্য উপযোগিতা ব্যাপক ব্যক্তি এবং সাদ পেঁপে কে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং উপভোগ্য ফল হিসেবে পরিণত করে। পেঁপে সারা বছরই পাওয়া যায়।
 এটা একটা সুস্বাদু ও সতেজকারক ফল। পেঁপে ভিটামিন এ ভরপুর একটি ফল। এটি বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। একি তরকারি হিসেবে খাওয়া যায় আবার লবণ এবং গোলমরিচ আবার চিনি এবং লেবু ভালোভাবে মিক্স করে খাওয়া যায়। পাকা পেঁপে দিয়ে বিভিন্ন ধরনের জুস বানিয়েও খাওয়া যায়। আবার এটা থেকে 
আচার ও বানানো যায়। পেঁপের মধ্যে রয়েছে প্যাপাইন বা প্যাপেন নামক এনজাইম।যা প্রসাধুনিক দ্রব্য চিংগাম তৈরি করতে ওষুধ প্রস্তুতকারকশিল্প আঠালো বস্তু ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়। সারা বিশ্বে প্রায় 40 ধরনের পেঁপে চাষ করা হয়। এগুলো অনেকটা নাশপাতি আকারের ফল যা লম্বায় ২০ ইঞ্চি পর্যন্ত হতে 

পারে। পেঁপের মধ্যে শত শত নরম কালোজির মতো আঠালো পিস থাকে প্রতিটা গোটা ফল 0.49 কেজি থেকে 1 kg পর্যন্ত ওজন হতে পারে। বাজারে সাধারণত ফলগুলোর উচ্চতা ৭ ইঞ্চি এবং ওজনে প্রায় ১ কেজি হতে দেখা যায়। পেঁপে দিয়ে তরলকৃত পানীয় বা মিল্কশেক বানানো যায়। এতে প্রাকৃতিক ফাইবার,

ভিটামিন সি, ক্যারোটিন এবং অন্যান্য খনিজ লবণ পাওয়া যায়। এছাড়া পেঁপে গাছের বাকল, শিকড়, খোসা, কোমল মজ্জা সহ বিভিন্ন ঔষধি গুন সম্পূর্ণ বলে জানান গবেষকরা। পেঁপে উপকারিতা এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনেক। পেঁপে যেমন অত্যন্ত উপকারে একটি ফল তেমনি এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে।

পেঁপের স্বাস্থ্য উপকারিতা

পেঁপে অত্যন্ত উপকারি ফলগুলোর মধ্যে একটি । পেঁপের উপকারিতা অনেক। বিভিন্ন ক্ষেত্রে পেঁপের ব্যবহার করা হয়। চলুন পেঁপে স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক -
অ্যাজমা (হাঁপানি রোগ) এর জন্য পেঁপে
বেশ কিছু শাকসবজি এবং ফলের মধ্যে বিটাকারোটির নামক লাল কমলা প্রকৃতির একটি রঞ্জক পদার্থ পাওয়া যায়। যার মধ্যে একটি ফল হচ্ছে পেঁপে। পশ্চিম আফ্রিকার একটা অঞ্চল, টোগো, বহুরূপী চিকিৎসার জন্য গাছ গাছরা ভিত্তিক ব্যবহার এখনো চালিয়ে যাচ্ছে।একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল

এইটা দেখার জন্য যে টোগার এই গাছ-গাছা ভিত্তিক ঔষধি গুলো আজমা রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা যায় কিনা। তারা এই সমীক্ষার জন্য ৯৮ টি গাছ-গাছড়া ব্যবহার করেছিল।যেগুলোর মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ গাছ ছিল পেঁপে গাছ। এই সমীক্ষার মাধ্যমে গবেষক অ্যাজমা চিকিৎসা করার জন্য এই সমস্ত গাছগুলো ব্যবহার করে প্রাথমিক প্রমাণ দিতে সক্ষম হয়েছিলেন।
ত্বকের জন্য পেঁপের উপকারিতা
আমাদের ত্বকের জন্য পেঁপে অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। যা বিভিন্ন রূপচর্চার কাজে ব্যবহৃত হয়। পেঁপে রয়েছে ভিটামিন সি এবং লাইকোপিন। যা ত্বকে সুরক্ষা করে এবং অকাল বার্ধক্য কমাতে সাহায্য করে থাকে। আন্টি গবেষণায় দেখা গেছে লাইকোপিন এবং অন্যান্য আন্টি অক্সিডেন্ট গুলোর একটা
মিশ্রণ বলি রেখা কমাতে সাহায্য করে। এবং আরেকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ১০ থেকে ১২ সপ্তাহ ধরে লাইকোপিন সম্পূরকগুলির ব্যবহারে সূর্যের অতিরিক্ত প্রভাব দ্বারা সৃষ্ট ত্বকের লালচে ভাবে একটি লক্ষণীয় হ্রাস দেখাতে সক্ষম হয়েছিল।

ম্যালেরিয়া রোগের চিকিৎসার জন্য পেঁপে
ম্যালেরিয়া চিকিৎসার প্রতিরোধী আবিষ্কার করার জন্য পেঁপে নিয়ে গবেষণার শুরু করা হয়েছে। গবেষকগণ কিছু পরম্পরাগত গাছ-গাছরা ব্যবহার করেছেন যা দক্ষিণ পশ্চিম ভারতের মানুষরা ম্যালেরিয়া নিরাময় করার জন্য ব্যবহার করেন। এর মধ্যে সমস্ত গাছ-গাছের মধ্যে একটি ছিল পেঁপে গাছ। এই সমস্ত গাছ-গাছড়ার বিশেষ অংশগুলো ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল দেখাতে সক্ষম হয়েছে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে পেঁপে
ডেঙ্গু জ্বর হচ্ছে একটি ভাইরাস জনিত রোগ। এটি প্রধানত মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। ডেঙ্গু বিশ্বের বহু করে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই রোগ মৃত্যু পর্যন্ত ঘটায়। এই রোগের একটা প্রতিকার আবিষ্কার করার জন্য গবেষণা চলছে। একই সমস্যায় দেখা গেছে পেঁপে গাছের রস জুস আক্রান্ত রোগের প্লেটলেট সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সাহায্য হতে পারে। আবার একটি গবেষণায় দেখা গেছে পেঁপে পাতার নির্যাস জ্বর অনেকটা কমাতে সাহায্য করে।

আলজহাইমার্স এর জন্য পেঁপে
আলজহাইমার্স ডিজিজ (AD) হচ্ছে সর্বাধিক পরিচিত নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ যা বয়স্কদের স্মৃতি বর্ষ ঘটিয়ে থাকে। এডি থাকার রোগীরা স্মৃতির ক্রমাবনতি এবং অন্যান্য জ্ঞান সম্বন্ধীয় ক্রিয়া-কলাপে ভোগেন। যা পরিশেষে সম্পন্ন অক্ষমতা এবং মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আলজহাইমার্স রোগের চিকিৎসার জন্য পেঁপে অত্যন্ত ফলপ্রদ।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পেঁপে
নিয়মিত খাদ্যতালিকায় সামান্য কিছু পরিবর্তন দ্বারা ডায়াবেটিস রোগটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এর মধ্যে রয়েছে ফাইবার এর বর্ধিত গ্রহণ, ওজন কমাবার কৌশল গুলি, ফল, শাক- সবজি এবং ছুটি জাতীয় খাদ্য যোগ করা যেগুলো ইনসুলিনের ক্রিয়া ক্ষমতা বাড়াবার উপরে আরো বেশি প্রভাব থাকে। সাম্প্রতিক

সমীক্ষাগুলি ইঙ্গিত করে যে ফেনাময় পেঁপে প্রণালী (এফপিপি) সম্পূরক গুলি এই সমস্যার সমাধান করতে পারে। এটা অনুমান করা হয়েছে যে এফ সি পি এর মৌলিক প্রয়োগ স্বাস্থ্যবান ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যবান ব্যক্তিদের এবং সাথে টাইপ -২ ডায়াবেটিস থাকা রোগীদের ক্ষেত্রে প্লাজমা শর্করা মাত্রায় একটা উল্লেখযোগ্য যোগ্য হ্রাস করার ক্ষমতা রয়েছে।

প্রদাহের জন্য পেঁপে
পেঁপে হচ্ছে বিটা কারেক্টিন এবং অন্যান্য আন্টি অক্সিজেন সমৃদ্ধ একটি ফল। ক্রনিক প্রদাহ হচ্ছে বহু রোগের মূল কারণ এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং জীবনধারা একে আরও তীব্রত করতে পারে। সুমিত্রা গুলো দেখাচ্ছে যে স্বাস্থ্যবান পাখিদের ক্ষেত্রে একটি নয়ন সম্পর্কিত শাকসবজি এবং ফল বেশি খাওয়া প্রদাহে কমাতে পারে।

ত্বকের ক্ষত নিরাময়ে পেঁপে
পেঁপে গাছটির সম্পূর্ণ অংশ বিভিন্ন ঔষধি গুন সম্পূর্ণ বলে বিবেচনা করা হয়। পেঁপে গাছের বাকোল পাতা এবং বীজ সমতে ঔষধি গুণাগুণ সম্পূর্ণ। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপাদান যেমন খনিজ লবণ ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি এবং পাপাইন নামক একটি কথিত এনজাইম। এই দুইটা

মিলে এবং এনজাইম গুলোর কারণে পেপের অ্যান্টিভাইরাস (সংক্রমক রোগের জীবাণুনাশক) অ্যান্টিফাঙ্গাল (ছত্রাক প্রতিরোধী) এবং আন্টি ব্যাকটেরিয়াল (জীবাণু প্রতিরোধী) গুনাগুন সম্পূর্ণ। পেঁপের বীজগুঁড়ি জীবাণু দি দমন করতে সাহায্য করে এবং ত্রুনিক ত্বকের ক্ষত চিকিৎসা করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

হজমের জন্য পেঁপে
পেঁপের মধ্যে থাকা প্যাপাইন নামক এনজাইম হজমে সাহায্য করে। চিকিৎসা কত দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পাপাইন কে এর হজম কারক গুনাগুলির জন্য হজমকারক অতি উচ্চস্থানে রাখা হয়, যা খাবারে থাকা প্রোটিন হজম করতে সাহায্য করে কোষ্ঠকাঠিন্য, বুক জ্বালাপোড়া, পেট ফাঁপা, যন্ত্রণাদায়ক মলত্যাগ প্রতিরোধ করার জন্য এবং একটা নিয়মিত এবং সুস্থ পরিপাকনালীর উন্নয়ন পেঁপের মধ্যে সমৃদ্ধ ফাইবার এবং জলীয় উপাদানের কারণে।

পেঁপের পুষ্টি তথ্য

পেঁপে পানি উৎপাদনে সমৃদ্ধ। এবং এর সাথে আঁশ বাতন্তু উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্য ভোগা মানুষদের মানুষদের নিরাময়ের সাহায্য করতে পারে। পেঁপে ম্যাগনেসিয়াম ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়ামের মতো খনিজ রয়েছে। পেঁপের মধ্যে সোডিয়াম তুলনামূলক কম থাকে অধিক পটাশিয়াম উপাদান থাকা পক্ষে

আদর্শ হিসেবে উপস্থিত করে কার্ডিওভাসকুলার হৃদ রোগে ভুগছেন। ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি তে সমৃদ্ধ, পেঁপেকে ত্বক সুরক্ষা করতে এবং ত্বককে আর্দ্র ও স্বাস্থ্যকর রাখতে একটা উৎকৃষ্ট উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

প্রতি 100 গ্রাম পেঁপের মধ্যে পানির পরিমাণ 88.06 g, শক্তির পরিমাণ 43 KCal, প্রোটিন এর পরিমাণ 0.47, চর্বির পরিমাণ 0.26 g , 1.7 g, চিনির পরিমা 7.8।

পেঁপের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

পেঁপে যেমন অত্যন্ত উপকারে একটি ফল তেমনি এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে এগুলো হলো :
খাদ্যনালী নষ্ট
অতিরিক্ত মাত্রায় পেঁপে খাওয়ার ফলে এসোফেগাস, খাদ্যনালী যা আপনার গলার সাথে পাকস্থলী যুক্ত করে তা সম্ভব নষ্ট করতে পারে।

রক্তের শর্করা কমাতে
গবেষণায় দেখা গেছে কিছু কিছু সূত্র ইঙ্গিত দেই যে কম সরকরায় ভোগা ব্যাক্তিরা গ্যাঁজানো পেঁপে খাওয়ার জন্য শর্করা মাত্রায় আরো পতন অনুভব করতে পারেন। যে সমস্ত ব্যক্তি ইতিমধ্যে কম রক্তচাপ ভুগছে এটা ব্যাপকভাবে তাদের রক্তচাপ কমাতেও পারে।

এলার্জি এবং অস্বস্তি
কিছু লোকেী ক্ষেত্রে সম্ভবত এলার্জি সংক্রান্ত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। পেঁপের রস বা আঠা চামড়ায় অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। যখন বেশি সংখ্যক পেঁপে পাতা খাওয়া হয় তখন সেগুলি পাকস্থলীতে উত্ত্যক্ত
করতে পারে এটা হয় যে পেঁপে রস এবং পেঁপের পাতা মৌখিকভাবে নিলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেয়া হওয়ার প্রবণতা থাকে।এর মধ্যে থাকা পাপাইন নামক এনজাইম এর ফোলা, মাথা ঘোরা, মাথা ধরা, ফুসকুরি, চুলকানি ইত্যাদি সৃষ্টি করার প্রবণতা রয়েছে।

গর্ভস্রাব ঘটাতে
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য পেঁপে ক্ষতিকারক হতে পারে হট হতে পারে পরম ফল হিসেবে গণ্য করা হয়। কাঁচা ,আধা পাকা বেবি গুলিতে রস বা আঠা থাকে যা উক্ত ঘনত্বে বিদ্যমান সেটা জরায়ুগত সংকোচন ঘটিয়ে গর্ভপাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

মন্তব্য

পেঁপে একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল ও সবজি। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বিভিন্ন ভিটামিন। এতক্ষণ আমরা পেঁপে উপকারিতা এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সে সম্পর্কে অনেক তথ্য জানলাম। আশা করি এইসব তথ্য জেনে উপকৃত হবেন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

https://www.dyinamicit.com/p/blog-page_16.html

comment url