চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় পানীয় গুলোর মধ্যে চা একটি ।অনকের দিনের শুরুটা হয় চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে ও চা অনেক জনপ্রিয় । তুমুল জনপ্রিয় চায়ের মধ্যে রয়েছে র চা ও দুধ চা। স্বাস্থের কোন চা বেশি উপকারি জানেন কি?
শরীরের জন্য কোন চা বেশি বেশি উপকারি তা জানতে চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ,দুধ চা খাওয়া উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে নিচের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
.
ভূমিকা
লাল চা শুধু স্বাদেই নয় ,গুণেও এর পরিচয় পাওয়া যায়।ক্লান্তি দূর করতে এক কাপ চায় তুলনা হয় না। চায়ের গুণ সম্পর্কে আমাদের অনেকেই খুব বেশি জানি না। আজকাল বিজ্ঞানীরা বলেন, ক্যান্সার রোধ চায়ের উপকারিতা অনেক। চায়ের কিছু উপাদান প্রাণী কোষে ডিএনএ সুরক্ষায় কাজ করে। এর ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।
লাল চায়ের উপকারিতা
- লাল চায় অনেক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়।হাল আমলে অনেকেই এন্টিঅক্সিডেন্ট এর জন্য গ্রিন টি এর শরণাপন্ন হন।গ্রিন টিয়ের মধ্যে প্রচুর এন্টি অক্সিডেন্ট আছে অবশ্যই। কিন্তু লাল চা কোন অংশে কম যায় না। অন্তত লাল চা সহজলভ্য এবং অনেকেরই ক্রয় ক্ষমতার ভেতরে থাকে। ফলে ফলে দিনে বেশ কয়েক কাপ লাল চা খাওয়া যায়।
- লাল চা খেলে শরীর আর্দ্র থাকে লাল চায় প্রচুর উপকারিতা রাসায়নিক উপাদান শরীরে প্রবেশ করে এ সকল উপাদান শরীরে বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে। ফলে হাড় সতেজ থাকে, মন ভালো থাকে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
- খালি পেটে লাল চা খেলে অনেক সময় অস্বস্তি হয়। এভাবে এতে শরীরের ক্ষতি হচ্ছে বড় ধরনের সমস্যাটা মাথা চড়া দিল নাকি!ব্যাপারটি এমন নয়, লাল চা খালি পেটের ক্ষতি করবে ব্যাকটেরিয়া দাঁড়াতে সাহায্য করে খাদ্য মাল্টিতে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়াকে খুব সহজে কুপোকাত করে দিতে।
- বিশেষত নিয়মিত লাল চা পান করলে কোলেস্টেরল,ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটুকু হ্রাস পায়।
লাল চায়ের অপকারিতা
চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে হবে। সঠিক সময়ে বা সঠিক উপায়ে চা পান না করলে তার শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ঘটায় পাশের শরীরের অন্য খাবার গুলো থেকে বঞ্চিত ও বাধা সৃষ্টি খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চা পান করা উচিত না এতে নিম্নোক্ত সমস্যাগুলো হতে পারে -
- চা শরীরে থায়ামিন বা ভিটামিন বি শোষণ রোধ করে যা বেরি বেরি রোগের অন্যতম কারণ।
- চা খাবার থেকে আমিষ ও ভিটামিন শোষণ করে এবং শরীর এই খাবারগুলোকে হজম করতে পারে না। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
- চা খাবার থেকে আয়রন শোষণ করে।কারণ চা বা কফিতে রয়েছে পলিফেনন জেস্টানিন নামক উপাদান যা আয়রন শোষণ করে বা জেস্টানিনের সঙ্গে আয়রন মিশে শরীর থেকে বের হয়ে যায়।
- চায়ের মধ্যে অ্যাসিডাম টেনিকামস ও জেসথিয়োফিলিনস নামক উপাদান রয়েছে যা পাকস্থলীর হজম প্রক্রিয়া বা ব্যাহত করে।
লিকার চা পানের উপকারিতা
লিকার চা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে হবে। চলুন লিকার চা পানের উপকারিতা সম্পর্কে জানা যাক,
- ইমিউনিটি বাড়ায় -রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে লিকার যাক কার্যকারের ভূমিকা রাখে। এ নিয়ে অতীতেও গবেষণা হয়েছে লিকার চা খেলে আন্টি অক্সিডেন্ট পাওয়া যাবে যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- হার্টের সুস্থতা-অনেকেই মনে করে পর চা পান করলে রাতে ঘুমের সমস্যা হয় তবে লিকার চা খেলে দেহে ফ্লাভানয়েডস পাওয়া যায়। এটি হার্টের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
- সুগার নিয়ন্ত্রণের কার্যকর -ডায়াবেটিস রোগীরা চাইলে লিকার করতে পারেন এতে চায় তৃষ্ণা মেটাবে এবং আন্টি অক্সিজেন পাওয়া যাবে।
- পেট ভালো রাখে -পাওয়া যায় এটি আপনার পেটের জন্য উপকারে আমাদের বহু সমস্যা কমাতে উপাদান কার্যকর ভূমিকা রাখে তবে লিকার রস চিপে না দেওয়াই ভালো এতে গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা হতে পারে।
লিকার চা এর উপকারিতা
- প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে -ব্ল্যাক টি এর মধ্যে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যার শরীর থেকে ২৭ পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। যাদের বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য লিকারটা হওয়া খুব ভালো ভালো লাগলেও আজ থেকে দুধ চা খাওয়া বন্ধ করুন এবং চিনি ছাড়া চা খাওয়ার অভ্যাস করুন।
- ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমে -চিনি ছাড়া লিখার চা এবং গ্রিন টি যদি নিয়মিত খাওয়া যায় তাহলে কিন্তু ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমে অনেকটা।
- ত্বকের জন্য ভালো - চায়ের মধ্যে যেকোনো ক্যাফেইন থাকে তা কিন্তু চুলের জন্য খুব ভালো। তবে দুধ চিনি দিয়ে কড়া চা একদম নয়।সকালে এক কাপ চিনি ছাড়া ব্ল্যাক টি খান।
- কোলেস্টেরলের সমস্যায় -কোলেস্টেরল বাড়লে হাট স্টোকের মতো সমস্যার সম্ভাবনা থাকে খুব বেশি। সম্প্রীতি একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যারা নিয়মিত ব্লাক টি খান তাদের মধ্যে অনেকেই কোলেস্টেরলের সমস্যা কিন্তু অনেকটাই কম। সেই সঙ্গে হার্টের সমস্যা থেকেও রেহাই মিলে। যাদের গরম একটু মোটা দিকে তারা অবশ্যই লিকার চা খাবেন।
- একাগ্রতা বাড়ে -সব সময় এক মনে কাজ করা সম্ভব নয়। এর জন্য একটা ট্রি ব্রেক তো সকলের জন্য জরুরী।এদের মন ভালো থাকে।
চা খেলে কি ক্ষতি হয়
ঘন ঘন চা খাওয়ার ফলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে হবে। প্রতিদিন তিন থেকে চার কাপের বেশি চা খাওয়া একেবারে উচিত নয়। বেশি বেশি চা খেলে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে,
- ত্বকে ক্যান্সার -বিভিন্ন গবেষণা দেখা গিয়েছে,ত্বকের ক্যান্সারের নেপথ্যে রয়েছে ঘনঘন দুধ চা খাওয়ার অভ্যাস ।
- অ্যালার্জি -ঘন ঘন চার ত্বকে এগজিমা, ডার্মাটাইসের মতো সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। ঘরে ত্বক লাল হয়ে যাওয়া ঘন ঘন র্যাশ বেরোনো কিংবা ব্রণের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- প্রদাহ -চায় আদা কিংবা ছোট এলাচ দিয়ে চা খেতে পছন্দ করে অনেকেই। কিন্তু দুই প্রদানের গুণের সাথে গন্ধে অতুলনীয় হয়ে উঠে চা। কিন্তু বারবার এই জাতীয় চা খেলে ত্বকে প্রদাহ বেড়ে যেতে পারে।
দুধ চা খাওয়া উপকারিতা ও অপকারিতা
চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে হবে।নিয়মিত দুধ চা খেলে শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। কফির মতো চায়প ও ক্যাফেইন থাকে। যার শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে চলাই ভালো। অতিরিক্ত দুধ চা খেলে অ্যাংজাইটিস সমস্যা দেখা দিতে পারে। মাথায় কোর্সগুলোর উত্তেজিত রাখে।দুধ চা খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলো ফুসকুড়ি। নিয়মিত দুধ চা খেতে ফুসকুড়ির মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মন্তব্য
উপরে আমরা চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানলাম। র চা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কিন্তু দুধ চা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।তাই র চা খাওয়া উচিত। লাল চা সহজলভ্য এবং অনেকেরই ক্রয় ক্ষমতার ভেতরে থাকে। ফলে ফলে দিনে বেশ কয়েক কাপ লাল চা খাওয়া যায়।নিয়মিত দুধ চা খেলে শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।তাই লাল চা খাওয়ায় স্বাস্থের জন্য উপকারি।
https://www.dyinamicit.com/p/blog-page_16.html
comment url