অতিরিক্ত মাথা ব্যথা হলে করণীয়
অধিকাংশ মানুষের কমবেশি সবারই কখনো না কখনো মাথা ব্যথা হয়ে থাকে। কারো কারো ক্ষেত্রে তীব্র অসহনীয় ব্যথা হয়। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে মৃদু সহনীয় ব্যথা হয়। তবে বেশিরভাগ মানুষই মাথা ব্যথা হলে নিজে নিজে নাপা বা অন্যান্য ব্যথা নাশক ওষুধ খেয়ে থাকেন। যা একেবারে সঠিক নয়।
তাহলে অতিরিক্ত মাথাব্যথা হলে করণীয় কি এটা আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে। অতিরিক্ত মাথা ব্যথা হলে করণীয় সম্পর্কে জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটির সাথে থাকুন।
.
মাথা যন্ত্রণা কমানোর ঘরোয়া উপায়
মাথা যন্ত্রণা কমানোর বেশ কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে । মাথা যন্ত্রণা কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায় নিচে দেওয়া হলোঃ
আকুপ্রেশার
আকুপ্রেশার পদ্ধতি ব্যবহার করে অনেকে বহু বছর ধরে মাথা ব্যাথা দূর করে আসছেন। আকুপ্রেশার পদ্ধতি মূলত বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি এবং তরজনের মাঝখানের অংশে অন্য হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে ও তর্জনী দিয়ে চাপ দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মাসাজ করা। এতে মাথাব্যথা থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাওয়া যায়। এটি একটি ছোট্ট ঘরোয়া পদ্ধতি যা সহজে মাথা যন্ত্রণা সারাতে সাহায্য করে।
লবঙ্গ
দ্রুত মাথাব্যথা সারাতে লবঙ্গ ভীষণভাবে কার্যকরী। এর জন্য একটি পাতিলে কিছু লবঙ্গ নিয়ে গরম করে নিতে হবে তারপর একটি রুমালের মধ্যে গরম লবঙ্গ গুলো নিয়ে কিছুক্ষণ সময় ঘ্রাণ নিতে হবে। এতে অনেক সময় মাথা যন্ত্রণা দূর হয়ে যায়।
লবণযুক্ত আপেল
অতিরিক্ত মাথা ব্যথা হলে ঘরোয়া পদ্ধতি হিসেবে এক টুকরো আপেলে একটু লবণ ছিটিয়ে চিবালে অনেক সময় মাথা যন্ত্রণা দ্রুত দূর হয়।
আদা
ঘরোয়া পদ্ধতি হিসেবে মাথাব্যথা হলে এক টুকরো কাঁচা আদা মুখের মধ্যে নিয়ে চিবুলে অনেক সময় মাথা ব্যথা দূর হতে সাহায্য করে।
পানি পান
অনেক সময় দেখা যায় শরীর অনাদ্র থাকার কারণে মাথাব্যথা হয়ে থাকে। তখন একটু পানি পান করলে শরীরে আদ্রতা ফিরে আসে এবং মাথা যন্ত্রণা সেরে যায়।
মাথা ব্যথার কারণ ও প্রতিকার
স্নায়ু রোগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মাথা ব্যথা রোগটি দেখা যায়। মাথা ব্যথার ফলে একজন মানুষের কর্ম ক্ষমতা ও সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশ্বব্যাপী মাথাব্যথা রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অসংখ্য। মোট বয়স্ক ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সি জনসংখ্যার প্রায় ৪৬ শতাংশ মাথাব্যথা অন্তত একবার হলেও আক্রান্ত হয়।
মাথা ব্যথা বিভিন্ন কারনে হতে পারে। মাথাব্যথায় আক্রান্ত রোগীদের প্রায় ৭০ শতাংশ মাংসপেশি সংকোচন জনিত ব্যথা বা টেনশন টাইপ হেডেক, ১১ শতাংশ আধকপালি মাথাব্যথা বা মাইগ্রেন, ৩ শতাংশ স্থায়ী মাথাব্যথা বা ক্রনিক ডেইলি হেডেক এ আক্রান্ত হয়। বিভিন্ন কারণে মাথাব্যথা হতে।
মাথা ব্যথা কত প্রকার
মাথাব্যথা প্রধানত দুই প্রকার।
১. প্রাইমারি হেডেক। যেমন - ক্লাস্টার হেডেক, মাইগ্রেন, টেনশন টাইপ হেডেক ইত্যাদি।
২. সেকেন্ডারি হেডেক। যেমন - স্ট্রোক, মস্তিষ্কের টিউমার, সাইনুসাইটিস, মাসটয়ডাইটিস, মাথায় আঘাত জনিত ব্যথা ইত্যাদি।
১. প্রাইমারি হেডেক
প্রাইমারি হেডেকের মধ্যে রয়েছে মাইগ্রেন, টেনশন টাইপ হেডেক, ক্লাস্টার হেডেক। নিচে এইসব মাথাব্যথা লক্ষণগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো :
মাইগ্রেন
পুরুষের তুলনায় মাইগ্রেন সবচেয়ে বেশি মহিলাদের মধ্যে দেখা যায়। প্রায় ১১ শতাংশ বয়স্ক মানুষের এই ধরনের মাথাব্যথা হয়ে থাকে। সাধারণত থেকে বছর বয়স থেকে মাইগ্রেনের লক্ষণগুলো দেখা যায় এবং এটি প্রায় ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত স্থায়ী হয়। মাথা ব্যথার একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে মাইগ্রেন।
মাইগ্রেনের প্রধান লক্ষণ হলো মাথার যেকোনো একমাস মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথা অনুভূত হাওয়া। মস্তিষ্কের অস্বাভাবিক কার্যক্রমের ফলে মাইগ্রেন রোগের সৃষ্টি হতে পারে। তবে এর সঠিক কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। মাথার যেকোনো এক পাশ ডান পাশ বা বাম পাশ থেকে ব্যথা শুরু হতে পারে। তাই
আরো পড়ুনঃ হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হলে করণীয় কি
মাথার ডান পাশ অথবা বাম পাশ ব্যথা হলে বুঝবেন এটি মাইগ্রেনের কারণে হতে পারে। এছাড়া আরো অনেক কারণ থাকতে পারে। যদি মাথাব্যথা সঙ্গে জ্বর ইনফেকশন, মেনিনজাইটিস, মাথার ভেতর রক্তপাতের লক্ষণ দেখা যায় তাহলে অতি দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। অতিরিক্ত মাথা ব্যথা হলে অবশ্যই পরামর্শ নিবেন। অতিরিক্ত মাথা ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করতে হবে। নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও বাজে অভ্যাস পরিবর্তন করার চেষ্টা করতে হবে।
মাইগ্রেনের লক্ষণগুলো নিম্নরূপ-
- মাথায় অত্যন্ত তীব্র ব্যথা হয়। এমন অবস্থায় কোন কাজ করা যায় না।
- মাথার যেকোনো এক পাশ ব্যথা। একবার এক পাশে ব্যথা হলে পরেরবার অন্য পাশেও ব্যথা হতে পারে।
- ব্যথার সঙ্গে বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে।
- রক্তনালী সংকোচন প্রসারণ বা টনটন প্রকৃতির ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
- আলো বা শব্দের তীব্রতায় ব্যাথার তীব্রতা বেড়ে যায়।
- অন্ধকার ঘরে শুয়ে থাকলে ব্যথা তীব্রতা কমতে পারে।
- ব্যথা শুরু আগে চোখের সামনে আঁকাবাঁকা লাইন ,আলোর নাচানাচি ইত্যাদি দেখে রোগী বুঝতে পারে যে তার মাইগ্রেন হতে যাচ্ছে।
টেনশন টাইপ হেডেক
টেনশন টাইপ হেডেক বেশি মহিলাদের মধ্যে দেখা যায় এবং এটি মাইগ্রেনের মতো কৈশোর থেকে শুরু হয়। প্রায় ৭০ শতাংশ বয়স এ ধরনের মাথা ব্যথায় ভুগে থাকেন। এই ব্যথা সাধারণত মাংস পেশির সংকোচনে কারণে হয়ে থাকে।
টেনশন টাইপ হেডেকের নিম্নরূপ-
মাইগ্রেনের মতো ব্যথা ততটা তীব্র হয় না।
মাথার সম্পূর্ণ অংশ ব্যথা হয়।
এই ব্যথা কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েকদিন পর্যন্ত হতে পারে।
দুশ্চিন্তা, মানসিক বা পারিবারিক বা পেশাগত চাপের সঙ্গে এই ব্যথার সম্পর্ক রয়েছে।
একটা চাপে মতো ব্যথা অনুভূত হয়ে থাকে।
মাথাব্যথা সঙ্গে বমি ভাব বা বমি হয় না।
ক্লাস্টার হেডেক
ক্লাস্টার হেডেক তুলনামূলকভাবে অনেক কম দেখা যায়। এই ধরনের ব্যথার হার০.১ শতাংশ। ক্লাস্টার হেডেক সাধারণত ২০ বছর বয়সের পর দেখা যায়। পুরুষদের মধ্যে এই ব্যথার প্রকোপ বেশি।
ক্লাস্টার হেডেকের লক্ষ নিম্নরূপ-
অত্যন্ত তীব্র ব্যথা হয়।
চোখের চারপাশে বা পিছনে ব্যথা হতে পারে।
চোখ লাল হয়ে যায় এবং পানি পড়ে চোখের উপরের পাতা পড়ে যেতে পারে।
ক্ষণস্থায়ী কিন্তু বারবার ব্যথা অনুভূত হয়।
প্রতিদিন একই সময় বা দিনে কয়েকবার ব্যাথা বা কয়েক সপ্তাহব্যাপী স্থায়ী হয়। এরপর ব্যথা চলে যাই এবং পর এক মাস বা বছর পর আবার আসল ভাবে ব্যথা শুরু হয়।
প্রাইমারি হেডেক এর চিকিৎসা দুইটি স্তরে করতে হয়। যথাঃ
১. মাথাব্যথা তাৎক্ষণিক নিরাময় করা : মাথাব্যথা জন্য বিভিন্ন বেদনাশক ঔষধ সেবন করা যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে এসব বেদনার ওষুধের সঙ্গে অবশ্যই পেপটিক আলসার বিরোধী ওষুধ সেবন করতে হবে। কিন্তু অতিরিক্ত বেদনা নাশক ঔষধ সেবন করা যাবে না। অতিরিক্ত বেদনা নাশক ঔষধ সেবনও মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে। এছাড়াও অতিরিক্ত বেদনাশক ঔষধ খেলে কিডনির সমস্যা হতে পারে। তাই অতি প্রয়োজন ছাড়া বেদনা শো করছে সেবন করা উচিত নয়।
২. প্রফাইলেটিক চিকিৎসা : যাতে বারবার মাথা ব্যথা না হয় এবং ব্যথা তীব্রতা যেন কম থাকে সেজন্য দীর্ঘমেয়াদি যে ওষুধ সেবন করতে হয় তাকে প্রফাইলেটিক চিকিৎসা বলে। এসব কিছু ওষুধের নাম হচ্ছে অ্যামিটিপটাইলিন, প্রপানলল, সোডিয়াম ভ্যালপ্রোয়েট, নরট্রিপটাইলিন, টোপিরামেট। তবে এইসব ওষুধ নিজে নিজে খাবেন না অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। ওষুধ সেবনের পাশাপাশি নিজেদের কিছু খারাপ অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন, অতিরিক্ত ধূমপান, চা-কফি পান, মদ্যপান, রোদ বা অতিরিক্ত গরম আবহাওয়া, অতিরিক্ত শারীরিক, মানসিক পরিশ্রম , ক্ষুধার্ত থাকলে, অতিরিক্ত মানসিক চাপ ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। তাই সবার উচিত অভ্যাস বা অসুবিধা পরিবর্তন বা সমাধান করে মাথা ব্যথার সমস্যার সমাধান করা।
২.সেকেন্ডারি হেডেক
শারীরিক বা মাথার বিভিন্ন রোগের কারণে ব্যথা হতে পারে। এসব মাথাব্যথা কে সেকেন্ডারি হেডেক বলা হয়। যেমন- সাইনুসাইটিস, মাসটয়েডাইটিস, মস্তিষ্কে আবরণী প্রদাহ ( ব্যাকটেরিয়া বা টিউমারফুলার মেনিনজাইটিস), মস্তিষ্কের টিউমার, স্ট্রোক বা রক্ত ক্ষরণ, মাথায় আলোর জনিত কারণ ইত্যাদি।
রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা
অতিরিক্ত মাথা ব্যথা হলে করণীয় কি তা সর্ম্পকে অব্যশই সজাগ থাকতে হবে। বেশিরভাগ রোগীই মাথা ব্যথার জন্য সহজে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয় না। তারা নিজেরাই ব্যথা নাশক ওষুধ খেয়ে ব্যথা নিবারণ করে থাকে। যা একে বারেই ঠিক নয়। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো
জায়গাতেও প্রায় ৫০ শতাংশ রোগী মাইগ্রেনের পরামর্শ নিয়েছে।অনেক সময় দেখা যায় সেকেন্ডারি হেডেকের রোগীদের যখন খুব বেশি শারীরিক সমস্যা দেখা দেই (যেমন- দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, হাতে বা পায়ে মুখে অবশ বা খিঁচুনি হওয়া, অতিরিক্ত বমি, তীব্র মাথাব্যথা) তখনই শুধু চিকিৎসকের পরামর্শ জন্য যায়।
মাথাব্যথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। অতিরিক্ত মাথাব্যথা হলে কি করনীয় তা অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে। এখন চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেক উন্নত। উন্নত চিকিৎসা বিজ্ঞানে মাথা ব্যথার সহ বিভিন্ন রোগ নির্ণয় করা সহজে সম্ভব। অতিরিক্ত পরিমাণে মাথা ব্যথা হলে সিটি স্ক্যান এমআরআই বা পিইটি স্ক্যানের
মাধ্যমে মাথা বিভিন্ন অংশের সুস্পষ্ট ইমেজ বা ছবি পাওয়া যায় যার ফলে চিকিৎসক সহজে মাথাব্যথার কারণ উদঘাটন করতে পারেন।মাথা ব্যথার কারণ বা ধরন অনুযায়ী মাথাব্যথা চিকিৎসা দিতে হয়। এজন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন রোগ নির্ণয় করা।
সেকেন্ডারি হেডেক এর চিকিৎসা
মাথা বা ঘাড়ের রোগের কারণে সেকেন্ডারি হেডেক হয়ে থাকে। সেকেন্ডারি হেডেকে চিকিৎসার জন্য সাধারণত যে কারণে মাথাব্যথা হচ্ছে সে কারণে চিকিৎসা করতে হয়। এর জন্য অবশ্যই একজন নিউরোলজিস্ট এর তত্ত্বাবধানে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করে সে অনুযায়ী চিকিৎসা করলে রোগ নিরাময় সম্ভব হবে।
সেকেন্ডারি হেডেক এর মারাত্নক কারণ গুলো হলো-
মস্তিষ্কের বাইরের পর্দার প্রদাহ (meningitis) , মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ ( intracranial hemorrhage), মস্তিষ্কের বাইরের রক্তক্ষরণ (subarachnoid hemorrhage), মস্তিষ্কের টিউমার |(brain tumor), চোখের প্রেসার (glaucoma), খিচুনি পরবর্তী মাথাব্যথা (postictal headache) ।
কিছু কিছু উপসর্গ বা লক্ষণ আছে যা দিয়ে আমরা এ মারাত্মক সেকেন্ডারি হেডেকের কারণগুলো ধারনা করতে পারি এবং দ্রুত পরীক্ষা নিরীক্ষা ও চিকিৎসা করাতে পারি। এগুলোকে red flags বলে। যেমন -
- ৫০ বছরের পর নতুন করে মাথা ব্যথা
- এইচ আই ভি বা ক্যান্সার রোগের নতুন করে মাথা ব্যথা
- হঠাৎ তীব্র মাথাব্যথা
- মাথায় আঘাতের পর তীব্র মাথাব্যথা
- বেশি ঘন ঘন অধিতর তীব্র মাথাব্যথা
- হাত বা পা অচল হওয়া
- জ্বর,ঘাড় শক্ত ও rash হয়ে যাওয়া
- মাথার ডান পাশে ব্যথা হলে করণীয়
মাথার বাম পাশে ব্যথা হলে করণীয়
মাথার যেকোনো একপাশ ব্যথা হলে এটি মাইগ্রেনের কারণে হচ্ছে বলে ধারণা করা হয়। মাইগ্রেনের কারণে মাথার যেকোনো এক পাশ থেকে ব্যথা শুরু হয়। এটা হতে পারে ডান পাশ অথবা বাম পাশ। মাথার ডান পাশ বা বাম পাশ থেকে ব্যথা শুরু এবং আস্তে আস্তে পুরো
মাথা ব্যথা হতে পারে। এছাড়া আরো অনেক কারণ থাকতে পারে। তাই অতিরিক্ত মাথা ব্যথা হলে মাথার বাম পাশ ব্যথা করলে এটি মাইগ্রেন এর কারণে হচ্ছে বলে ধারণা করা যায়। মাইগ্রেন হলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা করাতে হবে।
মাথার ডান পাশে ব্যথা হলে করণীয়
মাইগ্রেনের প্রধান লক্ষণ হলো মাথার যেকোনো একমাস মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথা অনুভূত হাওয়া। মস্তিষ্কের অস্বাভাবিক কার্যক্রমের ফলে মাইগ্রেন রোগের সৃষ্টি হতে পারে। তবে এর সঠিক কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। মাথার যেকোনো এক পাশ ডান পাশ বা বাম পাশ থেকে ব্যথা শুরু হতে পারে। তাই
মাথার ডান পাশ অথবা বাম পাশ ব্যথা হলে বুঝবেন এটি মাইগ্রেনের কারণে হতে পারে। এছাড়া আরো অনেক কারণ থাকতে পারে। যদি মাথাব্যথা সঙ্গে জ্বর ইনফেকশন, মেনিনজাইটিস, মাথার ভেতর রক্তপাতের লক্ষণ দেখা যায় তাহলে অতি দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। অতিরিক্ত মাথা ব্যথা হলে অবশ্যই পরামর্শ নিবেন। অতিরিক্ত মাথা ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করতে হবে। নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও বাজে অভ্যাস পরিবর্তন করার চেষ্টা করতে হবে।
মন্তব্য
অতিরিক্ত মাথা ব্যথা হলে করণীয় হচ্ছে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া। নিজে নিজে ব্যাথা নাশক ওষুধ না খেয়ে চিকিৎকের শরণাপন্ন হলে মাথাব্যথা সঠিক কারণ সম্পর্কে জানা যাবে এবং সঠিক চিকিৎসা করানো যাবে। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
https://www.dyinamicit.com/p/blog-page_16.html
comment url