দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়

মানুষের শরীরে যখন ইনসুলিন নামক হরমোনের নিঃসরণ কমে যায় তখন ডায়বেটিস রোগটি হয়। ডায়াবেটিস জিনগত হলেও মানুষ সবচেয়ে বেশি টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়। অনেক সময় দেখা যায় ডায়াবেটিস অতিরিক্ত কম বা অতিরিক্ত বেশি হলে রোগীর প্রাণের আশঙ্কা থাকে তাই আপনাকে
দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায় সম্পর্কে অবগত থাকা প্রয়োজন।দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়, ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায় গুলো জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

ভূমিকা 

বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিসের বিস্তার পুরো বিশ্ব জুড়ে। শরীরে যখন ইনসুলিন নামক হরমোন সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না তখন ডায়াবেটিস রোগের উৎপত্তি হয়। অনেক সময় ডায়াবেটিস রোগীর হঠাৎ করে ডায়াবেটিসের মাত্রা অনেক বেড়ে যায় আবার অনেক সময় ডায়াবেটিসের মাত্রা অনেক বেশি কমে যায়। এমন অব্যস্থায় আমাদেরকে দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায় সম্পর্কে জেনে থাকা প্রয়োজন। 

ডায়াবেটিস কি

ডায়াবেটিস হলো এমন একটি রোগ যা রক্তে সুগারের মাত্রা তুলনায় অনেক বাড়িয়ে দেয়। মানুষের শরীরে ইনসুলিন নামকও হরমোনের কারণে ডায়াবেটিসের লক্ষণ প্রকাশ পায়। ইনসুলিন নামক হরমোন এর মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায় তখন আমরা সেটিকে ডায়াবেটিস বলে বিবেচনা করি। এই ইনসুলিন হরমোনটি রক্তের সুগারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।

ডায়াবেটিস কত প্রকার

ডায়াবেটিস প্রধানত দুই প্রকার। যথা:
  • টাইপ-১
  • টাইপ-২
টাইপ-১ ডায়াবেটিস
আমাদের শরীরে যখন কম ইনসুলিন তৈরি করে একেবারেই তৈরি হয় না এ অবস্থায় ইনসুলিন আমাদের রক্তে সুগার এর সঠিক মাত্রা বজায় রাখতে পারে না। একে টাইপ-১ ডায়াবেটিস বলে এটি প্রায় বাচ্চাদের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।

টাইপ-২ ডায়াবেটিস
টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আমাদের শরীরে অগ্নাশয় ভালোমতো কাজ করে এবং ইনসুলিন তৈরি করে কিন্তু এটা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেনা। এর মানে আমাদের রক্ত শর্করা যেমন নিয়ন্ত্রণ হওয়া উচিত তেমন হয় না। পরবর্তীতে এটি বাড়তে থাকে এর ফলে আমাদের কিডনি, হার্ট, চোখের সমস্যায় সমস্যা হতে পারে।  

ডায়াবেটিসের লক্ষণ

  • মানুষের শরীরে প্রায় ৭০ % পানি  দ্বারা পূর্ণ। যখন কারো ডায়াবেটিস হয় তখন প্রস্রাব এবং ঘামের মাধ্যমে পানি বেরিয়ে যায়। যার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।
  • ডায়াবেটিস রোগীদের চোখে আকৃতি পরিবর্তনের কারণে দৃষ্টি শক্তি ঝাপসা এবং চোখের মনি ফুলে যায়। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করলে চিরদিনের মত দৃষ্টিহীন হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে।
  • অগ্নাশয় পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি না হওয়ার কারণে শরীরে উৎপন্ন গ্লুকোজ অন্য অকার্যকর হয়ে পড়ে। ফলে যখন এটি প্রসবের মাধ্যমে নির্গত হয় তখন আমাদের শরীরে শক্তির অভাব হয়। এর ফলে দুর্বলতা অলসতা এবং ক্লান্তি দেখা দেয়। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা ঘন ঘন খিদে অনুভব করে কারণ তাদের খাওয়ার থেকে  শরীরে অতিরিক্ত শক্তির প্রয়োজন হয়।
  • ডায়াবেটিস রোগীদের শরীর অতিরিক্ত পানি প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। যার ফলে পানির ঘাটতি দেখা দেয় এইজন্য ডায়াবেটিস ঘন ঘন পানি তৃষ্ণা অনুভব করে।
  • ডায়াবেটিস স্নায়ুর ক্ষতি করতে পারে এবং মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করতে পারে। তাই সম্ভাব্য রোগীদের তাৎক্ষণিক স্মৃতিশক্তি হ্রাস হয়ে থাকে।
  • অনেক সময় রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ যার ফলে শরীরে ক্ষত বা ঘা ঠিক হতে অনেক সময় লাগে।
  • যখন রক্তে খুব বেশি গ্লুকোজ থাকে তখন এটি আশেপাশে গ্লুকোজ বহনকারী টিউব গুলোতে আঘাত করতে পারে শরীর ক্লান্ত এবং মাথা ঘোরা বোধ হয় এবং রোগী কিছুটা কাঁপতে পারে কারণ শরীর সঠিক পুষ্টি পায় না।
  • যখন কারো ডায়াবেটিস থাকে তখন তার শরীরে যে অতিরিক্ত ইনসুলিন রয়েছে কাজে আসে না ফলে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন হয়।

দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কতগুলো উপায়

নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ
ডায়াবেটিস রোগীদের ডেইলি  কিছু ওষুধ নেওয়ার প্রয়োজন হয়। এই ওষুধগুলো একজন ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ তবে কোনো ওষুধ খাবার আগে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা আবশ্যক ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়।
ইনসুলিন ইঞ্জেকশন গ্রহণ 
যদি ডায়াবেটিস রোগীর হঠাৎ করে ডায়াবেটিসের মাত্রা অনেক বেড়ে যায় তাহলে রোগীকে এমার্জেন্সি ভাবে ইনসুলিন এর ইঞ্জেকশন করাতে হবে। কারণ সঠিক সময় ইনজেকশন না করালে এবং দ্রুত ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ না করলে রোগীর প্রাণের অসংখ্য থাকে। তাই যখন বুঝবেন রবির ডায়াবেটিসের তখন পরামর্শে ইনসুলিনের ইঞ্জেকশন নিতে হবে। এই ব্যাপারে কোনরকম অবহেলা করা যাবে না। 

সুগার বা চিনি খাওয়া 
যদি কারো ডায়াবেটিসের মাত্রা অনেক কমে যায়। অনেক সময় ডায়াবেটিসের মাত্রা অনেক বেশি কমে যে শরীর নীল হয়ে যেতে পারে। এমন অবস্থায় রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব চিনি বা সুগার খাওয়াতে হবে। এটি অনেক সময় ম্যাজিকের মতো কাজ করে। রোগী চিনি খাওয়ার সাথে সাথে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠে।

ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায়

ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত রোগীদের ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে অনেক সময় প্রাণের আশঙ্কা থাকে। অনিয়মিত খাওয়া দাওয়া মাত্রারিক্ত ফাস্টফুড খাওয়ার অতিরিক্ত চিনি কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাদ্য ডায়াবেটিসের মাত্রা অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। তাই
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে এই সব খাদ্যাভ্যাস থেকে পরিবর্তন আনতে হবে। দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় কিছু নিয়ম অনুসরণ করে চললে ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে থাকে। চলুন ওষুধ ছাড়া ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণের উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক এজন্য আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ুন।

ব্যায়াম
নির্দিষ্ট মাত্রার ব্যায়াম করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের থাকতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যায়াম করলে মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য উন্নত হয় এবং সুগার স্তর নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে।

ওজন নিয়ন্ত্রণ
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয় হচ্ছে ওজন নিয়ন্ত্রণ । শরীরের অতিরিক্ত ওজন নির্মূল করা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে নিয়মিত ব্যায়াম করলে পর্যায়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ হয়ে যায়।
নিয়মিত ব্লাড সুগার চেকআপ
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো নিয়মিত ব্লাড সুগার চেকআপ করা। আপনি আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করে প্রতি মাসে বা প্রতি তিন মাসে ডায়াবেটিস চেকআপ করতে পারেন এটি আপনার ব্লাড সুগারের রিপোর্ট অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করবে।

প্রচুর পরিমাণে পানি পান
প্রচুর পরিমাণে পানি পান ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রস্রাব করার সময় ডায়াবেটিকস রোগীদের শরীরের অতিরিক্ত গ্লুকোজ বেরিয়ে যায়। এছাড়া পানি শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন পুষ্টির যদি বজায় রাখে তাই প্রচুর পরিমানে পানি পান করলে ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ থাকতে পারে।

পুষ্টিকর খাবার
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অবশ্যই তাদের খাবারের বিষয় কঠোরভাবে সচেতন হতে হবে। তবে কোন খাবারে অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া যাবেনা। ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিনের সঠিক খাবার তালিকা তৈরি করতে হবে। অল্প করে বারবার খেতে হবে। অল্প করে বারবার খাবার খেলে শরীরের মধ্যে
গ্লুকোজের মাত্রা ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ হয়। হালকা এবং অত্যাধিক তেল হীন উভয় ধরনের খাবার গ্রহণ করা সামগ্রিক সুস্থতার জন্য উপকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে। অল্প করে বারবার খাওয়ার অভ্যাস এর মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। কোলেস্টেরল এর মাত্রা সঠিক থাকে।।

কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বর্জন
কার্বোহাইড্র দুই ধরনের রয়েছে প্রথম প্রকার চাল এবং চিনির মতো সাধারণ কার্বোহাইডেট যেগুলো দ্রুত আমাদের দেহে ভেঙে যায়। এবং দ্রুত শক্তি দিতে সাহায্য করে। দ্বিতীয় প্রকার কমপ্লেক্স কার্বোহাইডেট যেমন ভেঙ্গে যেতে বেশি সময় নেয় এবং ধীরে ধীরে আমাদেরক শক্তি যোগায়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করার জন্য জটিল কার্বোহাইড্রেট মুক্ত খাবার খাওয়া অবশ্যই।

মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকা
অনেক সময় দেখা গেছে এর আরেকটি কারণ হলো মানসিক চিন্তা নানান পরিস্থিতির মধ্যে অযথা চিন্তা ও মানসিক চাপ ডায়াবেটিস বাড়িয়ে দেয় এটি শরীরের শর্করার পরিমাণ বাড়ায় তারপর সুযোগ ডায়াবেটিস বেড়ে যায় তাই মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে হবে।

পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম
সুস্থ থাকার জন্য ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত। পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমালে শরীর ভালো কাজ করে না এবং শরীরের শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। যার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। তাই সুস্থ থাকার জন্য এবং ডায়াবেটিসের রাতে প্রতি রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো প্রয়োজন।

ধূমপান মদ্যপান এড়িয়ে চলা
সিগারেট খাওয়া এবং অ্যালকোহল পান করার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সময় কঠিন হয়ে ওঠে এবং অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য ধূমপান ধূমপান মদ্যপান এড়িয়ে চলতে হবে।

ডুমুর খাওয়া
পুষ্টিবিদদের মতে, নিয়মিত ডুমুর খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের উপর দারুন প্রভাব ফেলে। ডুমুরের মধ্যে পাওয়া যায় বেশি পরিমাণে ফাইবার। হাইবার রক্তে শর্করার মাত্র নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ রিসার্চ ফার্মেসি এন্ড বায়োসাইন্সে একটি গবেষণা অনুযায়ী প্রকাশিত হয়, ডুমুরে হাইপোগ্লাইসেমিক উপাদান ডায়াবেটিকস প্রতিরোধ করতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিয়মিত ডুমুর খাওয়া অনেক উপকারী।

চিয়া সিডস
চিয়া সিডসে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার বিদ্যমান। ফাইবার আমাদের শরীরে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ওজন নিয়ন্ত্রণেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে চিয়া সিডস। তাই নিয়মিত চিয়া সিডস খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

ফ্লাক্সসিডস
তিসি বীজ বা ফ্ল্যাক্সসিডস শরীরের জন্য অনেক উপকারী। ফ্ল্যাক্সসিডস নিয়মিত খেলে ব্লাড সুগার, ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে। কোলেস্টেরলের সমস্যাতেও এটি ভালো কাজ করে। ইনসুলিন ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে ফ্লাক্স সিডস এর ভূমিকা অনেক।

চর্বিযুক্ত মাছ
স্যালমন, সার্ডিন, হেরিং ইত্যাদি সহ বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ হচ্ছে চর্বিযুক্ত মাছ। যেসব মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ইপিএ ও ডিএইচএ এর বড় উৎস সেই সব মাছ পারে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে। ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকলে ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য অনেক ভালো একটি দিক। এছাড়া এসব মাছ খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।

ডিম
মানবদেহের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে ডিম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। সিদ্ধ ডিম খাওয়া সব থেকে ভালো। হার্টের রোগীরাও ডিম খেতে পারেন। এই যে তাদের কোন সমস্যা হবে না।

শাকসবজি
শরীরে বিভিন্ন ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদানের জন্য শাকসবজির খাওয়ার বিকল্প নেই। প্রতিদিন নিয়ম করে শাকসবজি খেতে হবে মাছ মাংসের পরিবর্তে সমপরিমাণ সবজি খেতে এতে শরীর সুস্থ থাকবে এবং ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

ভিটামিন সি
প্রতিদিন শাকসবজি খাওয়ার পাশাপাশি ভিটামিন সি এবং আন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। শরীর, হার্ট, চোখ সবকিছু ভালো রাখতে সাহায্য করবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করবে।
করলা
ডায়াবেটিস কমাতে একটি ঘরোয়া উপায় হচ্ছে করলা খাওয়া। করলা ইনসুলিন -পলিপেপটাইড-পি সমৃদ্ধ, যার কারনে এটি হাইপারগ্লাইসেমিয়ার মাত্রা বৃদ্ধি করার ক্ষমতা রাখে।

টক দই
টক দই মানবদেহে রক্তের গ্লুকোজ বা সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে, ওজন কমাতে অনেক উপকারি। নিয়মিত টক দই খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

মেথি
মেথি ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে নিয়ন্ত্রণ করে গ্লুকোজের সহনশীলতা উন্নত করতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করে কারণ এর মধ্যে বেশি ফাইবার বেশি থাকে। মেথি ছেলে হজম শক্তি রস হয় রক্তে সুগার সঠিকভাবে শুষে যায়। এটু টাইপ- ১ এবং টাইপ টু- ডায়াবেটিস উভয় উভয়ের কার্যক্রম

নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখে। ডায়াবেটিস হ্রাস করার ঘরোয়া উপায় হিসেবে দুই চামচ মেথি না সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন এবং প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেয়েটির পানি পান করুন এছাড়া প্রতিদিন বীজ বুড়া গরম বা ঠান্ডা পানি বা দুধের সাথে খান।

আমের পাতা
আমের কথা ডায়াবেটিস রোগীদের দেহে ডায়াবেটিসের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।রক্তে ইনসুলিনের মাত্র নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের শুকনো ও কোমল ব্যবহার করা যেতে পারে এবং চিকিৎসার জন্য তাজা আম পাতা কার্যকর ঘরোয়া উপায়।আমার পাতায় রয়েছে ভিটামিন সি ভিটামিন

এ এবং ট্যানিন শরীর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ডায়বেটিসের প্রাথমিক চিকিৎসায় সহায়তা করে ডায়াবেটিস কমাতে আমের পাতা গুলো ধুয়ে শুকিয়ে গুড়া করে নিন। প্রতিদিন সকালে এবং রাতে এই গুড়া পানি দিয়ে পান করুন।এছাড়া এক গ্লাস পানিতে কিছু তাজা আমের পাতা সিদ্ধ করে সারা রাত ঠান্ডা হতে দিন সকালে খালি পেটে পানি পান করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

ডায়াবেটিস গাছ গাইনূরা প্রোকাম্বেন্স

গাইনূরা প্রোকাম্বেন্স নামক একটি ঔষধি গাছ আছে যা ডায়বেটিস সারাতে সারা বিশ্বের বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এন্টি ভাইরাস হিসেবেও এটির ব্যবহার রয়েছে। যাদের ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল রয়েছে তারা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই গাছের দুইটি করে পাতা সেবন করলে এসব রোগ থেকে বাঁচা যাবে বলে ধারণা করেন গবেষকগণ। তবে যারা ইনসুলিন ব্যবহার করেন এবং গাছটিকে আক্রান্ত তারা সকালে খালি পেটে দুইটি পাতা এবং রাতে শোবার আগে দুটি পাতা সেবন।

মন্তব্য

যারা বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যার মধ্য দিয়ে জীবন যাপন করেন তাদের বেশ কিছু নিয়মকানুন মেনে চলা উচিত। ডায়াবেটিস সমস্যায় ভুগছেন এমন মানুষদেরকে ধূমপান এবং মধ্যপান বর্জন করতে হবে। নিয়মিত ব্লাড সুগার মাপাতে হবে। ব্লাড সুগার বেশি থাকলে ডাক্তারের পরামর্শের ওষুধ খেতে হবে দিনে

অন্তত ঘন্টাখানে হাঁটাহাঁটি করতে হবে। ডায়াবেটিস অতিরিক্ত মাত্রা বেড়ে গেলে দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায় হচ্ছে ইনসুলিন ইনজেকশন নেওয়া। এতক্ষণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

https://www.dyinamicit.com/p/blog-page_16.html

comment url