ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা
ডায়াবেটিস হলে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা প্রয়োজন হয়। খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। স্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আজকের আর্টিকেলটিতে ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা সম্পর্কে জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
সময়মত খাবার খাওয়া
আপনি যদি ডায়াবেটিস তাহলে আপনাকে অবশ্যই সময়মতো খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। প্রতিদিন নিয়মিত সময়ের মধ্যেই সকলের নাস্তা দুপুরের ও রাতের খাবার খেতে হবে। কোন বেলার খাবার যেন বাদ না পড়ে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
ভূমিকা
আমাদের শরীরে রক্তে যখন গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায় তখন আমরা ডায়াবেটিস হয়েছে বলে বিবেচনা করি। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য প্রতিদিন একই ধরনের খাবার না খেয়ে একটু পরিবর্তন করে নানা রকম ফলমূল শাকসবজি ও কিছু শ্বেত সার জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য কেমন হওয়া উচিত
টাইপ-২ ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত হলে অনেকে মনে করেন কিছু খাবার একেবারে ছেড়ে দিতে হবে। কিন্তু ব্যাপারটা মোটে এরকম নয়। আপনি বিভিন্ন রকমের খাবার খেতে পারবেন তবে অল্প পরিমাণে। খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয়ে অবশ্যই আপনাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। এগুলো হলো :সময়মত খাবার খাওয়া
আপনি যদি ডায়াবেটিস তাহলে আপনাকে অবশ্যই সময়মতো খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। প্রতিদিন নিয়মিত সময়ের মধ্যেই সকলের নাস্তা দুপুরের ও রাতের খাবার খেতে হবে। কোন বেলার খাবার যেন বাদ না পড়ে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
আরো পড়ুনঃ সজনে পাতার উপকারিতা কি
বৈচিত্র্যময় খাবার
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য প্রতিদিন একই ধরনের খাবার না খেয়ে একটু পরিবর্তন করে নানা রকম ফলমূল শাকসবজি ও শ্বেত সার জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হন তাহলে আপনাকে লালাটা রুটি, লাল চালের ভাত, অল্প পরিমাণে আলু খাওয়ার অভ্যাস
প্রতিদিন অন্তত পাঁচ পরিবেশন ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এক পরিবেশন সমান হচ্ছে এক হাতের তালুতে যে পরিমাণ খাবার নেওয়া যায়।তাহলে বুঝতে পারছেন আপনাকে কি পরিমাণ খেতে হবে।
প্রোটিন শরীরের পেশিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে মাছ,মাংস ও ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। কিন্তু স্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস গড়ে তুলতে খাদ্য তালিকা থেকে লাল মাংস (যেমন: গরুর, খাসি ও ভেড়ার মাংস) ও প্রক্রিয়াজাত মাংস (সসেজ, পেপারনি) এর পরিমান কমাতে হবে কারণ এগুলো খাওয়ার সাথে
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য প্রতিদিন একই ধরনের খাবার না খেয়ে একটু পরিবর্তন করে নানা রকম ফলমূল শাকসবজি ও শ্বেত সার জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হন তাহলে আপনাকে লালাটা রুটি, লাল চালের ভাত, অল্প পরিমাণে আলু খাওয়ার অভ্যাস
করতে হবে। তবে সবকিছু পরিমিত পরিমানে খাওয়া প্রয়োজন। একেবারে পেট ভরে খাওয়া যাবে না। অল্প অল্প করে বারবার খেতে হবে।
যেসব খাবার কমাতে হবে
চিনি, লবণ ও চর্বি জাতীয় খাবারের পরিমাণ একেবারেই কমিয়ে দিতে হবে। চিনি দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এতে আপনার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা মান বাড়িয়ে দেয়। তাই যতটুকু না খেলে নয় ঠিক ততটুকু খাওয়া উচিত।
আপনি যদি নতুন ডায়াবেটিকস রোগে আক্রান্ত রোগী হন তাহলে আপনার খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করতে অনেক সমস্যা হবে। তাই একেবারেই পরিবর্তন না করে প্রতি সপ্তাহে একটু একটু করে পরিবর্তন করার চেষ্টা করতে হবে। একটু একটু করে পরিবর্তন করলে পরিবর্তন সম্ভব। একেবারে সম্পূর্ণ খাদ্যাভাস বদলে ফেলা খুব একটা সহজ নয়। যা করাই ভালো।
বয়স, লিঙ্গ, শারীরিক পরিশ্রম, ওজন ইত্যাদির বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আপনার দৈনন্দিন কতটুকু খাবার ও পানিও প্রয়োজন তা নির্ভর করে। সুষম খাদ্য ঘোষ এর অর্থ হলো নির্দিষ্ট কিছু খাবার বেশি পরিমাণে এবং অন্যান্য খাবারগুলো কম পরিমাণে খাওয়া ধোনের খবর দিয়ে সব পুষ্টি উপাদানের করতে
যেসব খাবার কমাতে হবে
চিনি, লবণ ও চর্বি জাতীয় খাবারের পরিমাণ একেবারেই কমিয়ে দিতে হবে। চিনি দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এতে আপনার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা মান বাড়িয়ে দেয়। তাই যতটুকু না খেলে নয় ঠিক ততটুকু খাওয়া উচিত।
আপনি যদি নতুন ডায়াবেটিকস রোগে আক্রান্ত রোগী হন তাহলে আপনার খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করতে অনেক সমস্যা হবে। তাই একেবারেই পরিবর্তন না করে প্রতি সপ্তাহে একটু একটু করে পরিবর্তন করার চেষ্টা করতে হবে। একটু একটু করে পরিবর্তন করলে পরিবর্তন সম্ভব। একেবারে সম্পূর্ণ খাদ্যাভাস বদলে ফেলা খুব একটা সহজ নয়। যা করাই ভালো।
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা যা যা থাকতে হবে
একটি স্বাস্থ্যকর ও সুষম ডায়েটের জন্য প্রধান পাঁচটি গ্রুপ বা পদের খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এগুলো হলো -- শাকসবজি ও ফলমূল
- প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার (যেমনঃ মাছ, মাংস, ডিম, শিম অন্যান্য বিন, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, ডাল)।
- শ্বেতসার সমৃদ্ধ খাবার যেমন: লাল চালের ভাত বা বাদামী চালের ভাত, লালা আটা, লাল আটার রুটি বা পাউরুটি)।
- বিভিন্ন ধরনের তেল মাখন ঘি।
- দুধ ও দুগ্ধ জাত খাবার যেমন: ছানা, পনির, দই ।
বয়স, লিঙ্গ, শারীরিক পরিশ্রম, ওজন ইত্যাদির বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আপনার দৈনন্দিন কতটুকু খাবার ও পানিও প্রয়োজন তা নির্ভর করে। সুষম খাদ্য ঘোষ এর অর্থ হলো নির্দিষ্ট কিছু খাবার বেশি পরিমাণে এবং অন্যান্য খাবারগুলো কম পরিমাণে খাওয়া ধোনের খবর দিয়ে সব পুষ্টি উপাদানের করতে
পারে না তার স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের মূল হলো বৈচিত্র্য৷ তাই স্বাস্থ্যকর বৈচিত্র্য নিয়ে আসতে হলে প্রতিদিন মূল পাঁচটি গ্রুপের প্রতিটি থেকে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
এখন প্রতিটি গ্রুপের খাবার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। বিস্তারিত জানতে ওয়েবসাইটটির সাথেই থাকুন। চলুন পাঁচটি গ্রুপের খাদ্যের ভূমিকা, উপকারিতা, কি পরিমানে খাওয়া যায় এসব ভেবে স্থলে আলোচনা করা হলো-
এখন প্রতিটি গ্রুপের খাবার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। বিস্তারিত জানতে ওয়েবসাইটটির সাথেই থাকুন। চলুন পাঁচটি গ্রুপের খাদ্যের ভূমিকা, উপকারিতা, কি পরিমানে খাওয়া যায় এসব ভেবে স্থলে আলোচনা করা হলো-
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা
শাকসবজি ও ফলমূল
আমাদের অনেকের মধ্যে একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে ডায়াবেটিকস থাকলে ফলমূল খাওয়া যাবে না। যা একটি ভুল ধারণা। শরীরে ভিটামিন, খানিজ পদার্থ, ক্যালোরি, প্রোটিন, ফাইবার ইত্যাদির অভাব পূরণ করতে শাকসবজির ফলমূলের কার্যকারিতা অনেক। শাকসবজি ফলমূলে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ
প্রোটিন ফাইবার পরিপূর্ণ থাকে এবং এগুলোতে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। এগুলো প্রত্যেক বেলার খাবারের নতুন স্বাদ ও বৈচিত্র যোগ করতে সাহায্য করে। ফ্রোজেন, শুকনো কিংবা ক্যান ও টিনের বোতলে প্রক্রিয়া জাত, টাটকা সব ধরনের ফল খাওয়া যায়। শরীরে বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থের চাহিদা
ও ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের রঙ- বেরঙের ফল খাওয়া অত্যন্ত ভালো। তবে ফলের জুস ও স্মুদি না খাওয়া ভালো। কারণ এতে কম আঁশ থাকে। কেউ যদি খাদ্য তালিকা শর্করার পরিমাণ কমিয়ে আনতে চায় লো-কার্ব মেনে চলতে চায়, তাহলে আপনি খাদ্য তালিকা থেকে ফল ও
শাকসবজি বাদ দিতে চাইবেন। কিন্তু এমনটা না করে, এগুলো প্রতিদিন খাদ্য তালিকা গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় নীচের তালিকা থেকে তুলনামূলক ভাবে কম সরকার যুক্ত ফলমূল ও শাকসবজি বেছে নিতে পারেন।
শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়ার উপকারিতা
- শরীরকে হার্টের বিভিন্ন সমস্যা স্ট্রোক ও কয়েক ধরনের ক্যান্সার থেকে সুরক্ষিত রাখতে।
- পরিপাকতন্ত্রকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে থাকে।
- শরীরে ভিটামিন, খনিজ লবণ, ফাইবারের অভাব পূরণ করে।
- শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের কার্যকারিতা বজায় রাখতে।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে।
প্রতিদিন অন্তত পাঁচ পরিবেশন ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এক পরিবেশন সমান হচ্ছে এক হাতের তালুতে যে পরিমাণ খাবার নেওয়া যায়।তাহলে বুঝতে পারছেন আপনাকে কি পরিমাণ খেতে হবে।
ডায়াবেটিস রোগী কোন কোন ফল ও শাকসবজি খেতে পারবে
- শর্করাযুক্ত ফলের ভালো উৎস হচ্ছে বরই ও তরমুজ। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা এই ফলগুলো খেতে পারেন। যারা দেশের বাইরে থাকেন তারা বিদেশি ফলের মধ্যে পীচ বিভিন্ন বেরি, আভাকাডো খেতে পারেন।
- খিচুড়ি, পাস্তা, ও অন্যান্য রান্নায় গাজর মটরশুটি বরবটি ব্যবহার করে খাবার অভ্যাস করুন।
- খেজুর, আলুবোরখা এগুলো খেতে পারেন।
- কম শর্করা যুক্ত শাকসবজি যেমন শসা, মাশরুম,বাঁধাকপি, ফুলকপি, লেটুসপাতা, পালং শাক খেতে পারেন।
- ভাতের সাথে মটরশুটি মাংসে বেশি করে পেঁয়াজ, একমুঠো পালং শাক যোগ করে খেতে পারেন।
- এক ফালি জাম্বুরা বা বাঙ্গি ফল খেতে পারেন সাথে একটু ছেড়ে নিতে পারেন যেকোনো ধরনের মৌসুমী ফল খাওয়াই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
প্রোটিন শরীরের পেশিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে মাছ,মাংস ও ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। কিন্তু স্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস গড়ে তুলতে খাদ্য তালিকা থেকে লাল মাংস (যেমন: গরুর, খাসি ও ভেড়ার মাংস) ও প্রক্রিয়াজাত মাংস (সসেজ, পেপারনি) এর পরিমান কমাতে হবে কারণ এগুলো খাওয়ার সাথে
ক্যান্সার ও হার্টের রোগের সম্পর্ক রয়েছে। সামুদ্রিক মাছ সহ বিভিন্ন তৈলাক্ত মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ রয়েছে যা হার্টকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে। অন্যান্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে বরবটি, শিম, ডাল, অন্যান্য বীনজাতীয় খাবার ইত্যাদি।
যেগুলো উদ্ভিজ্জ প্রোটিন সেগুলোও প্রতিদিন অল্প অল্প পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করুন। এবং যেগুলো প্রাণিজ প্রোটিন সেগুলো সপ্তাহে দুই একদিন খেতে পারেন। প্রতিদিন মাংস খাওয়ার প্রয়োজন নেই।
আলু, রুটি, নান রুটি, পাস্তা, পাউরুটি, কাঁচা কলা হচ্ছে শ্বেতসার খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম। এগুলো সবগুলোতে শর্করা রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরের ভেতরে ভেঙে গ্লুকোজ এ পরিণত হয়। গ্লুকোজ আমাদের দেহের কোষগুলোর জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। কিন্তু এখানে একটি সমস্যা হচ্ছে
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের উপকারিতা
- প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার পেশিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তৈলাক্ত মাছ বা সামুদ্রিক মাছ আটকে সুস্থ রাখতে সাহায্য কর।
- শরীরের প্রোটিনের অভাব পূরণ করে।
যেগুলো উদ্ভিজ্জ প্রোটিন সেগুলোও প্রতিদিন অল্প অল্প পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করুন। এবং যেগুলো প্রাণিজ প্রোটিন সেগুলো সপ্তাহে দুই একদিন খেতে পারেন। প্রতিদিন মাংস খাওয়ার প্রয়োজন নেই।
ডায়াবেটিস রোগী কোন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন
- প্রাণিজ প্রোটিনের পরিবর্তে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। মাংসের পরিবর্তে ডাল বা শিমের বিচি খেতে পারেন।
- ডিম সেদ্ধ, ডিম ভাজি খেতে খেতে পারেন।
- নাস্তা ছোট এক মুঠ বাদাম খাওয়া যেতে পারে, প্রয়োজনের সালাদের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
- কম তেল মসলায় রান্না গ্রিল ও ব্রেক করা মাছ-মাংস খেতে পারেন।
আলু, রুটি, নান রুটি, পাস্তা, পাউরুটি, কাঁচা কলা হচ্ছে শ্বেতসার খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম। এগুলো সবগুলোতে শর্করা রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরের ভেতরে ভেঙে গ্লুকোজ এ পরিণত হয়। গ্লুকোজ আমাদের দেহের কোষগুলোর জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। কিন্তু এখানে একটি সমস্যা হচ্ছে
কিছু শ্বেতসার জাতীয় খাবার খুব দ্রুত রক্তের গ্লুকোজের বা সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের রাখা, বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। এইসব খাবার কে উচ্চ 'গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI)' যুক্ত খাবার। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের খাবারগুলো খাওয়া ভালো। লাল
আরো পড়ুনঃ জন্ডিস রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
চালের ভাতে বাসমতি চালের ভাতে আটার রুটি ও পাস্তাদের লাল আটার পাউরুটিতে কম পরিমাণে শ্বেতসার রয়েছে। এবং এগুলোতে আঁশ এর পরিমাণ বেশি থাকে যা আপনার পরিপাকতন্ত্রকে ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। আপনি যদি খাবারে শর্করার পরিমাণ কমাতে চান তাহলে আগে আপনাকে সাদা চালের ভাত ও সাধারণ আটা ময়দা রুটি ও পাউরুটি খাওয়া কমাতে হবে।
ডায়াবেটিস রোগীদের দৈনন্দিন খাদ্য দলকে কিছু চর্বি জাতীয় খাবার থাকা অবশ্যই প্রয়োজন।তবে স্যাচুরেটেড ফ্যাট প্রয়োজন খুব কম পরিমাণে। কারণ স্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টরলের মাত্রা বাড়ায় যা পরবর্তীতে হাটের বিভিন্ন রোগ বা স্ট্রোকের ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
শ্বেতসার সমৃদ্ধ খাবারের উপকারিতা
- কিছু নির্দিষ্ট শ্বেতসার রয়েছে যা রক্তের সুগারের মাত্রা কে ধীরে ধীরে প্রভাবিত করে।
- গোটা শষ্যদানা হার্ট কে সুরক্ষিত রাখে।
- শ্বেতসার জাতীয় খাবারের আঁশ পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
কি পরিমাণ শ্বেতসার সমৃদ্ধ খাবার খাবেন
- প্রতিদিন কিছু পরিমাণ শ্বেতসার জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
- ডায়াবেটিকস রোগী কোন শ্বেতসার সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারবেন।
- লাল আটার রুটি, পাস্তা নুডলস।
- লাল চালের ভাত।
- খোসাসহ সেদ্ধ বা বেক করা মিষ্টি আলু।
- বিভিন্ন ধরনের শস্য দানা থেকে বানানো মাল্টিগেইন ও হোল্গ্রেইন পাউরুটি।
ডায়াবেটিস রোগীদের দৈনন্দিন খাদ্য দলকে কিছু চর্বি জাতীয় খাবার থাকা অবশ্যই প্রয়োজন।তবে স্যাচুরেটেড ফ্যাট প্রয়োজন খুব কম পরিমাণে। কারণ স্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টরলের মাত্রা বাড়ায় যা পরবর্তীতে হাটের বিভিন্ন রোগ বা স্ট্রোকের ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
কিছু স্যাচুরেটেড ফ্যাট যুক্ত তেল হচ্ছে মাখন, নারিকেল তেল ও পামওয়েল। এগুলো অধিক স্যাচুরেটেড ফ্যাট যুক্ত তেল। এগুলো স্বাস্থ্যকর বিকল্প হল কম স্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে (যেমন ভেজিটেবল অয়েল বাদাম থেকে তৈরি পিনাট বাটার, আমন্ড বাটার)।
বনির দুই দুধ এই প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন থাকে যা আপনার বেশি হার গঠনের জন্য খুবই কার্যকরী কিন্তু কিছু বুদ্ধিজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে চর্বি ও বিশেষ করে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যার রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টরের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই বিকল্প গুলো বেছে নেওয়া প্রয়োজন। তবে সে বিকল্প খাবার যেন অবশ্যই অতিরিক্ত চিনি মুক্ত হয় সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।
বিভিন্ন ধরনের তেল মাখন ঘি এর উপকারিতা
- আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট বা অসম্পৃক্ত আপনার হাটকে সুস্থ রাখে।
- ডায়াবেটিস রোগে কোন তেল খেতে পারেন
- টোস্টের সাথে সাধারণ মাখনয় পরিবর্তে পিনাট বাটার খেতে পারবেন।
- সালাতে অল্প পরিমাণ অলিভ অয়েল দিয়ে খেতে পারে।
- রান্নায় খুব অল্প পরিমাণে তেল দিয়ে রান্না করতে হবে।
বনির দুই দুধ এই প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন থাকে যা আপনার বেশি হার গঠনের জন্য খুবই কার্যকরী কিন্তু কিছু বুদ্ধিজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে চর্বি ও বিশেষ করে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যার রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টরের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই বিকল্প গুলো বেছে নেওয়া প্রয়োজন। তবে সে বিকল্প খাবার যেন অবশ্যই অতিরিক্ত চিনি মুক্ত হয় সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।
দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারের উপকারিতা
- শরীরের পেশিকে কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
- দাঁতের গঠনও হাড়ের জন্য ভীষণ কার্যকরী।
- শরীরে ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের অভাব পূরণ করে।
কি পরিমান দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার খাবেন
- একজন মানুষের প্রতিদিন গড়ে ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন হয়।
- ডায়াবেটিকস রোগী কোন দুধ ও দুধজাত খাবার খেতে পারেন
- এক গ্লাস দুধ সরাসরি খেতে পারেন বা গন্ধ ভালো না লাগলে এতে অল্প পরিমাণে দারচিনি দিয়ে নিতে পারেন ওটস বা নাস্তায় সিরিয়ালের সাথে মিশিয়ে দুধ খেতে পারেন ।
- গাজর ও শশার সাথে পনির খাওয়া যেতে পারে।
- সন্ধ্যা রাস্তার সাথে লাচ্ছি মাঠা বা সাধারণত খাওয়া যেতে পারে।
- ফল বা তরকারির সাথে টক দই মিশিয়ে খেতে পারেন।
ডায়াবেটিস হলে খাবার খাওয়া কমানোর উপায়
- আপনাকে সর্ব প্রথম সম্পূর্ণভাবে বাড়িতে রান্না করা খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এতে আপনি কি পরিমাণে লবণ খাচ্ছেন তা সঠিক খেয়াল রাখতে পারবেন।
- খাবারের সাথে কাঁচা লবণ খাওয়া বন্ধ করতে হবে এই পরিবর্তে গোল মরিচ গুঁড়া এবং অন্যান্য মসলা ও হার্ব ব্যবহার করে স্বাদে নতুনত্ব আনা যেতে পারে।
- চিনি ছাড়া চা কফি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। এগুলো ফলের জুস বা স্মুদির থেকে ভালো কারণ তাতে অতিরিক্ত ক্যালোরি বা শর্করা থাকে না।
- দোকানের মিক্স মসলা না কিনে বাড়িতে বিভিন্ন সস, মাইনেট মসলা তৈরি করে খেতে পারেন।
https://www.dyinamicit.com/p/blog-page_16.html
comment url