নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রাচীনকাল থেকে নিম পাতার বহুল ব্যবহার হয়ে আসছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। রূপচর্চার ক্ষেত্রে যত্নে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিভিন্নভাবে পাতা ব্যবহার হয়ে আসছে বহু যুগ
থেকে। নিম পাতার গুণ ও উপকারিতা অনেক। নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
.
ভূমিকা
নিম পাতা স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। নিম পাতার মধ্যে রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ। নিমের পাতা, ফল, ডাল এবং রস সবই কাজে লাগে। রূপচর্চায় নিম এর ব্যবহার হয়ে আসছে বহুদিন ধরে। ত্বক, চুল ও স্বাস্থ্য রক্ষার্থে নিমপাতার ব্যবহার হয়। নিম পাতা স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী।
নিম পাতার ব্যবহার
প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্নভাবে নিম পাতার ব্যবহার আসছে। নিম পাতার স্বাদ তেতো হলেও অনেক উপকারিতা রয়েছে। ত্বক, চুল ও স্বাস্থ্য রক্ষার্থে নিমপাতার ব্যবহার হয় ব্যাপকভাবে। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ত্বক চুল ও স্বাস্থ্য রক্ষার্থে নিম পাতার ব্যবহার
- মাথার ত্বকে অনেকেরই চুলকানি ভাব দেখা যায়। নিম পাতা ব্যবহারের ফলে এই সমস্যা দূর করা যায়। নিম পাতার রস মাথায় নিয়মিত লাগালে চুল শক্ত হয় চুলের শুষ্কতা কমে যায় এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
- নিম পাতা কিছু কিছু অনুজীব বিরোধী। এসব অনুজীবের মধ্যে রয়েছে ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়া। যার জন্য ত্বকের সুরক্ষায় পাতার ঝুড়ি নেই।
- ত্বকে ব্রণের সংক্রমণ হলেও নিম পাতার ব্যবহার বেশ কার্যকরী। সংক্রমণ স্থানে নিম পাতা থেঁতো করে লাগালে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
- নিয়মিত নিম পাতার সাথে কাঁচা হলুদ পেস্ট করে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি ও স্কিনটোন সুন্দর হয়। তবে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে সেটা হচ্ছে নিম পাতা ও হলুদ ত্বকে ব্যবহার করলে রোদ এড়িয়ে চলতে হবে। নিম পাতা ও হলুদের মিশ্রণে হলুদের পরিমাণ নিম পাতার চেয়ে কম হতে হবে।
- নিম পাতা পরিপাক তন্ত্রের গতি বাড়াতেও বেশ কার্যকারি। নিম পাতা খেলে শরীরের আজেবাজে ভিন্ন জিনিস ভালো হয় মানে শরীরে পরিপাকতন্ত্রের গতি বাড়াই এবং সেই সাথে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে দেয় ও শুদ্ধতা বাড়াই।
- যাদের স্কিনে ইরিটেশন এবং চুলকানি আছে তারা যদি গোসলের সময় নিম পাতা সেদ্ধ পানি গোসলের পানির সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করে তাহলে আশা করা যায় স্কিন ইরিটেশন ও এবং চুলকানির সমস্যার সমাধান হবে। এতে অনেক আরাম পাওয়া যায় আর গায়ে দুর্গন্ধের ব্যাপারটাও কমে যায়।
- কাটা ছেড়া বা পোড়া স্থানে নিম পাতার রস ভেষজ ওষুধের মত কাজ করে থাকে।
- নিম পাতা ফেস মাক্স হিসেবেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর জন্য প্রথমে আপনাকে নিমপাতা ভালো মতো শুকিয়ে নিয়ে গুড়া করে রেখে দিতে হবে। এবং আপনার সুবিধামতো যে কোন সময় এটি ফেস মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
- নিমের ডাল দাঁতের জন্য অনেক উপকারী। অপেক্ষা রাখে না। নিমের ডাল দিয়ে দাঁত মাজলে মুখের দুর্গন্ধ ও দাঁতের জীবাণুর থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
- নিম পাতা খেলে শরীরের আজেবাজে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে দেয় এবং রক্তের শুদ্ধতা বাড়ায়। ফলাফল হিসেবে শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ত্বক পরিষ্কার করে। এর জন্য প্রতিদিন নিমের পাতা ৩ থেকে ৪টি চিবিয়ে খেতে হবে। এখন মনে হতে পারে তাহলে তো মুখ ততো হয়ে যাবে। হ্যাঁ অবশ্যই। কিন্তু এটির একটি সমাধান রয়েছে। নিম পাতা পেটে ছোট ছোট বড়ি তৈরি করে রোদে শুকাতে দিতে হবে তবে শুকিয়ে গেলে কাচের বয়ামে সংরক্ষণ করুন।প্রতিদিন সকালে ২/৩ টি বড়ি পানি দিয়ে খেয়ে ফেলুন। খাওয়ার পর চাইলে একটু মধু খেতে পারেন।
- নিম পাতা স্বাদে তোতে হলেও এর গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। আপনারা জানেন ভেষজ ইদের জন্য অনেক উপকারী। আপনাকে সতেজ অসুস্থ রাখতে ভীষণ ভালো উপকারী যার তুলনা হয় না।
কিভাবে নিম চা বানাবেন
প্রথমে কিছু নিম পাতা ভালোমতো শুকিয়ে নিতে হবে। শুকনো নিম পাতা গুঁড়ো তাজা নিমের ৬/৭ টি কথা গরম পানিতে ছেড়ে ২/৩ মিনিট জল দিয়ে মধু মিশিয়ে চা বানিয়ে ফেলা যায়। তবে নতুনদের জন্য এর সময়সীমা ১ মিনিট।
আরো পড়ুনঃ চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
নিম পাতার গুণ ও উপকারিতা
নিম পাতা স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। নিম পাতার মধ্যে রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ। নিমের পাতা, ডাল এবং রস সবই কাজে লাগে। বাংলাদেশ সহ ভারতীয় উপমহাদেশে ঔষধি গাছ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে প্রায় ৫০০০ বছর ধরে। প্রকৃতি ওরা একই সঙ্গে সমস্যা এবং সমাধান ধারণ করে রেখেছে তার
উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে নিম। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিম পাতা ভীষণ উপকারী নিয়মিত নিম পাতার খাওয়ার অভ্যাস করলে ডায়াবেটিস রোগীদের রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে ব্লাড সুগার সহ অন্যান্য অনেক জটিলতা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক গন্ধের মধ্যে নিম পাতায় রয়েছে প্রচুর ঔষধি গুণাবলী।
রূপচর্চায় নিম এর ব্যবহার হয়ে আসছে বহুদিন ধরে। ত্বকের দাগ দূর করতে নিম খুব ভালো কাজ করে থাকে এছাড়াও নিম ত্বকে মশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। সাধারণ খাবারের পর পানি করেন। যেহেতু নিম তেতো স্বাদ যুক্ত তাই একটু মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। নিমের পেস্ট তৈরি করে ব্যবহারের মাধ্যমে
উকুনের সমস্যা দূর হয়। এছাড়া নিম পাতার রস রক্ত পরিষ্কার করে ও রক্তের শর্করার কমায়।
চিকিৎসকদের মধ্যে এলার্জি সমস্যা, একজিমা, ফোড়া কিংবা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা নিম খুব কার্যকরী। ত্বকে যেসব জায়গায় সমস্যা রয়েছে এখানের নিম পাতা পেস্ট করে লাগাতে পারেন।
নিমপাতা মুখে দিলে কি হয়
নিম পাতা ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী। ভালো রাখতে নিম পাতার ব্যবহার বহু পুরনো। নিম পাতা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে, ভালো রাখতে নানা ধরনের জীবাণু দূর করতে জীবনকে ভীষণ কার্যকারী। তবে সঠিক উপায় নিম পাতার ব্যবহার করতে জানতে হবে। এটি সব ঋতুতে ব্যবহার করা যায়। তাহলে ত্বকের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে জানুন-
- নিম পাতা ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
- ত্বকের দাগছোপ কমাতে নিম পাতা ভীষণভাবে সাহায্য করে।
- নিমপাতা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল। তাই নিম পাতা সহজেই ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে পারে।
- নিম পাতা বলিরেখা প্রতিরোধে কার্যকারী ভূমিকা রাখতে পারে।
নিম পাতার ফেসপ্যাক
ত্বকের যেকোনো সাধারণ সমস্যা কিংবা ক্ষত সবকিছুতেই নিমপাতা একইভাবে কার্যকরী। ত্বকে জ্বালাপোড়া কিংবা ইনফেকশন অনুভব করলে নিমপাতা ব্যবহার করলে ভীষণ ভালো কাজ করে। রুক্ষ ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতেও সাহায্য করেন নিম পাতা। এখন প্রশ্ন হলো কিভাবে নিম পাতার
ফেসওয়াশ তৈরি করবেন তাইতো। নিম পাতার ফেসপ্যাক তৈরি করার জন্য আপনাকে প্রথমে নিম পাতা ভালোভাবে শুকাতে হবে। তারপর তারপর শুকানো নিম পাতা গুড়া করতে হবে। এবার দুই টেবিল চামচ নিম পাতা গুড়া ও দুই টেবিল চামচ চন্দন পাউডার মিশিয়ে নিন। সাথে একটু মধু ও দেওয়া যেতে
পারে তবে এটি অপশনাল। এবার সবগুলো মিশ্রণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার তার সঙ্গে সামান্য পানি ও এক টেবিল চামচ গোলাপ জল যোগ করুন। এবার রিকুয়েস্ট প্যাক হিসেবে সমস্ত মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। তারপর অন্তত ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে। এভাবে সপ্তাহে ২/১ বার ফেস পাটি লাগাতে পারেন।
নিম পাতার ক্লিনজার
নিম পাতায় অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় ত্বকের অনেক সমস্যা করতে। ব্ল্যাকহেডস, মুখে কালো দাগ, ব্রণের মত বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে নিম পাতা ভীষণ কার্যকরী। ত্বকের অতিরিক্ত তেল পরিষ্কার করতেও নিমপাতা সাহায্য করে। ত্বকের লোমকূপে লুকিয়ে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতেও
নিমপাতা অনেক কার্যকরী। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে ক্লিনজার তৈরি করতে কি কি প্রয়োজন। ক্লিনজার তৈরি করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে কয়েকটি নিমপাতা নিতে হবে। এরপর একটি পরিষ্কার হাঁড়িতে পানি ফুটিয়ে এর ভেতর নিম পাতাগুলো আরো কিছুক্ষণ হল ভালোভাবে
ফুটানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর পানি ছেঁকে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে। এবার এই মিশ্রণটি একটি পরিষ্কার ও শুকনো বোতলে সংরক্ষণ করুন। পরিষ্কার তুলোর সাহায্যে মুখ ও গলায় লাগাতে হবে। এতে আপনার ত্বক নানা রকম ভাবে উপকৃত হবে।
খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। নিম পাতায় প্রচুর পরিমাণে আন্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ফাঙ্গাল, আন্টি ইনফ্লেমেন্টরি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিভাইরাল ইত্যাদি বিভিন্ন উপকারী উপাদান রয়েছে। যা রোগ জীবাণু ধ্বংস করতে ভীষণভাবে কাজ করে। এ
উপাদানগুলি এ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভিত্তি করতে, বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করতে এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি করতেও সাহায্য করে। সর্দি কাশি মতো রোগে নিম পাতার রস বেশ কার্যকারি। আয়ুর্বেদিকদের আয়ুর্বেদিক দৃষ্টিকোণ থেকে সকালে খালি পেটে নি ন খেলে শরীরে অর্ধেক রোগ নিরাময় হয়। খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে অনেক উপকার হয় উপকার হয়। খালি পেটে নিমপাতা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।
খালি পেটে নিম পাতা খাওয়ার উপকারিতা
অনেক আয়ুর্বেদিকগণ বলে থাকেন খালি পেটে নিম পাতা খেলে শরীরের অর্ধেক রোগ নিরাময় হয়ে যায়। নিম পাতায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ফাংঙ্গাল একটি বিভিন্ন উপাদান থাকায় শরীরের রোগ প্রতিরোধে নিম পাতার ভীষণভাবে সাহায্য করে। বিভিন্নভাবে নিম পাতা খাওয়া যায়। নিম পাতা অনেক উপকারী একটি উপাদান। তরুণ খালি পেটে নিম পাতা খাওয়ার উপকারিতা গুলো জেনে নেওয়া যাক -
- রক্ত পরিষ্কার রাখতে
- নিম পাতায় এমন ঔষধি গুন রয়েছে যা শরীরের রক্ত সম্পূর্ণ পরিষ্কার করে। রক্ত থেকে টক্সিন বের করে রক্তকে ডিটক্সিফাই করে। রক্ত পরিষ্কার থাকলে কোন রোগ হয় না।
- রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে
- ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরের শর্করা বেশি ঠাণ্ডা নানারকম সমস্যার সৃষ্টি হয় রক্তে শরকরা এর পরিমাণ বেড়ে যায়। শর্করা নিয়ন্ত্রণ রাখতে হলে খালি পেটে নিন পাতার রস খেতে হবে।
- পেটের জন্য উপকারী
- নিম পাতার শুধু আমাদের ত্বকের জন্য নয় এজন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। অ্যাসিডিটির জন্য বেশ কার্যকর। নিম পাতা পানিতে সিদ্ধ করে সকালে খালি পেটে পান করলে অ্যাসিডিটি ও পেটের নিরাময় হয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে উপকারী
নিমপাতার রয়েছে অনেক ধরনের ভিটামিন, মিরারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সর্দি, কাশির মতো রোগ নিরাময়ের জন্য নিম পাতা ব্যবহার করা হয়।
নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
নিম পাতার উপকারিতা
চুল
প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চায় নিম পাতার ব্যবহার হয়ে আসছে। উজ্জ্বল, সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন চুল পেতে নিমপাতার ব্যবহার বেশ কার্যকরী। চুলের খুশকি দূর করতে নিমপাতা ব্যবহার করা হয়। মাথার খুশকি দূর করার জন্য শ্যাম্পু করার সময় নিমপাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে চুলে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলতে হবে
আরো পড়ুনঃ প্রাকৃতিক উপায়ে নতুন চুল গজানোর উপায়
তাহলে খুশকি দূর হয়ে যাবে। একদিন নিমত ভালো করে বেটির চুলে লাগে এক ঘণ্টার মতো রাখতে হবে এক ঘন্টা পর ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে তাহলে দেখবেন চুল পড়া কমার সঙ্গে চুল নরম ও কোমল হবে।
ত্বক
রূপচর্চার গজে বহুদিন ধরে নিন ব্যবহার হয়ে আসছে। ত্বকের দাগ দূর করতে নিম খুব ভালো কাজ করে। এছাড়াও মশ্চারাইজার হিসেবে এটি কাজ করে। ব্রণ দূর করতে লাগালে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। নিয়মিত নিয়মিত সঙ্গে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি ও স্ক্রিন টোন সুন্দর হয়।
ভাইরাস প্রতিরোধ করে
প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশে ভাইরাস রোগ প্রতিরোধের জন্য নিমের ব্যবহার হয়ে আসছে বহু যুগ ধরে। আধুনিক চিকিৎসার উন্নতি হওয়ার আগে থেকেই চিকেন পক্স, হাম ও অন্যান্য চর্ম রোগ হলে নিম পাতা বেটে লাগানো হতো। নিম পাতা একটু করেছে পানি দিয়ে গোসল করলে ত্বকের চুলকানি ও জ্বালাপোড়া দূর হয়।
এলার্জি দূর করতে
এলার্জির সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন নিম পাতা ফুটিয়ে গোসল করতে হবে। কাঁচা হলুদের সাথে নিম পাতা বেটে শরীরে লাগিয়ে আবার নিম পাতা পানিতে সিদ্ধ করে দিয়ে গোসল করলে চুলকানির সমস্যা দূর হবে।
চোখের চুলকানি দূর করে
চোখে চুলকানি নিমপাতা পানিতে দশ মিনিট সিদ্ধ করে ঠান্ডা করে নিন এবার ঝাপটা দিন এতে আরাম পাবেন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
ডায়াবেটিস রোগ রাখার জন্য নিম পাতা এবং নিম ফল অত্যন্ত কার্যকারী। নিয়মিত নিম পাতার রস বা নিম ফল খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
দাঁতের রোগ নিরাময় করে
নিম পাতার ছাল বা ব্যাকোলের গুড়া অথবা ডাল দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে দাঁত মজবুত হয় এতে বিভিন্ন ধরনের দন্ত রোগ নিরাময় হয়।
নিম পাতার অপকারিতা
কোন কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়। নিম পাতার যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি অপকারি দিক ও রয়েছে।তাই অতিরিক্ত নিম পাতার ব্যবহার ক্ষতির কারণ হতে পারে। নিচে নিম পাতার ক্ষতিকারক দিকগুলো তুলে ধরা হলো -
- খালি পেটে বেশিদিন নিম পাতা খেলে হিতের বিপরীত হতে পারে। তাই দীর্ঘদিন নিম পাতা না খাওয়াই ভালো।
- কারো যদি এটি খাওয়ার পর বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, মাথা ব্যথার মতো সমস্যা হয় তাহলে তখন এটি খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
- গর্ভবতী মায়েদের জন্য নিম পাতা উপযোগী নয়। কারন এটি গর্ভপাতের কারণ হয়ে উঠতে পারে।
- যাদের নিম্ন রক্ত চাপের সমস্যা রয়েছে তারা নিম পাতা খাওয়া থেকে দূরে থাকুন।
- দিনে সর্বোচ্চ দুটি নিমপাতা খাওয়ার উচিত। এর অতিরিক্ত ব্যবহার উপকারের চেয়ে বেশি অপকার করবে।
- নিম পাতা মাঝে মাঝে বন্ধ্যাত্ব তার কারন হতে পারে। তাই যারা সন্তান নিতে চাচ্ছেন তারা নিম পাতা খাওয়া থেকে দূরে থাকুন।
- যেকোনো প্রকার অপারেশনে দুই সপ্তাহ আগে থেকে নিমের ব্যবহার বন্ধ করে দিতে হবে।
মন্তব্য
এতক্ষণ আমরা নিমপাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেক তথ্য জানলাম। আশা করি এইসব তথ্য জেনে উপকৃত হবেন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
https://www.dyinamicit.com/p/blog-page_16.html
comment url