অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায়
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ঘুমের স্বাভাবিক সময়ের সময় ঘুমালে অতিরিক্ত ঘুম হিসেবে ধরা হয়। সাধারণত ৯ ঘন্টার বেশি ঘুমালে সেটাকে অতিরিক্ত ঘুম বলা হয়ে থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে অতিরিক্ত ঘুমানোকে একটি রোগ হিসেবে দেখা হয়। মেডিকেল সাইন্সে এর নাম দেওয়া হয় 'হাইপারসোমনিয়া'। আজকের আর্টিকেলটিতে অতিরিক্ত ঘুম দূর করার উপায়, পড়তে বসলে ঘুম দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। অতিরিক্ত ঘুম দূর করার গোপন রহস্য জানতে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
.
আমরা যারা শিক্ষার্থী রয়েছি তাদের কমবেশি সবার একটি কমন সমস্যা হচ্ছে পড়তে বসলেই ঘুম আসে। আমাদের ছাত্র জীবনে পড়তে বসলে ঘুম আসেনি এমন কাউকে খুঁজে বের করা কঠিন। যারা অতিরিক্ত ঘুমানো সমস্যায় আছেন তাদের অবশ্যই জানা উচিত অতিরিক্ত ঘুমের কারণ গুলো কি অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় কি? ইত্যাদি সম্পর্কে।
অতিরিক্ত ঘুম কমানোর উপায় কি
অতিরিক্ত ঘুম কমাতে আপনাকে প্রথমত কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন করতে হবে। নিয়মিত সঠিক সময়ে ঘুমোতে যাওয়া এবং প্রতিদিন একই সময় ঘুম থেকে উঠার মাধ্যমে আপনার শরীর রাতে নির্দিষ্ট সংখ্যক ঘন্টা ঘুমাতে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে যার ফলে আপনার অতিরিক্ত ঘুম সাহায্য হবে। নিয়মিত কিছুদিন
এইভাবে নিজেকে অভ্যস্ত করলে আপনার মধ্যে পরিবর্তন দেখতে পাবেন। আট ঘন্টার বেশি ঘুমানো উচিত নয় আট ঘন্টা আপনার শরীরের ঘুমের জন্য যথেষ্ট। তাই আপনাকে নিজেকে নিজের জন্য ঘুমানোর সময় এবং ঘুম থেকে উঠার সময় ঠিক নিতে হবে। আপনি প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমোতে
আরো পড়ুনঃ পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
পারেন এবং একই সময় ঘুম থেকে উঠতে পারেন। এভাবেও যদি না হয় তাহলে ঔষধ সেবনের মাধ্যমে ঘুম কমানোর চেষ্টা করতে পারেন এর জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এখন অনেকে বলতে পারেন ঔষধ ছাড়া ঘুম কমানোর কোন উপায় নাই কি? তাহলে উত্তর হ্যাঁ অবশ্যই আছে। নিচে ওষধ ছাড়া ঘুম কমানোর উপায় গুলো তুলে ধরা হলো
ঔষধ ছাড়া ঘুম কমানোর উপায়
- ঘুমোনোর আগে অ্যালকোহল বা ক্যাফিন জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
- ঘুমের আগে চাপমুক্ত হতে হবে।
- ঘুমোনোর আগে একটি শান্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। যাতে সঠিক সময়ে ঘুমানো যায় এবং সঠিক সময়ে ঘুম থেকে জাগা যায়।
- ঘুমোনোর আগে হালকা কিছু ব্যায়াম করা যেতে পারে।
পড়তে বসলে ঘুম দূর করার উপায়
আমরা যারা শিক্ষার্থী রয়েছি তাদের কমবেশি সবার একটি কমন সমস্যা হচ্ছে পড়তে বসলেই ঘুম আসে। কি এই বিষয় নিয়ে অনেক চিন্তিত তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই আসলে আমাদের ছাত্র জীবনে পড়তে বসলে ঘুম আসেনি এমন কাউকে খুঁজে বের করা কঠিন। চিন্তার কোন কারণ নেই আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাকে পড়তে বসলে ঘুম দূর করার উপায় , অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় গুলো জানানোর চেষ্টা করব-
১.জোরে জোরে পড়া এবং বেশি বেশি লিখা
পড়ার সময় মনে মনে পড়াচ্ছে জোরে জোরে পড়লে আপনি নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পারবেন। যা আপনার পড়াশোনা সময় না ঘুমাতে সাহায্য করবে। সাথে একটি রাফ খাতা রাখতে পারেন আপনার পাশে রাখতে পারেন যাতে যা পড়ছেন তার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো লিখে রাখতে পারেন। যা পরবর্তীতে আপনার জন্য উপকারী হবে এক নজর দেখলে আপনার পড়া গুলো মনে থাকবে। এছাড়া জোরে জোরে পড়লে সেই পড়া স্মৃতি ধারণ করতে পারে বেশি।
২. আপনার পড়ার বিষয়গুলো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বারবার পড়ুন
কখনো কখনো একই বিষয় দীর্ঘ সময় পড়লে ঘুম আসতে পারে। পড়তে পড়তে ঘুম আসলে অন্য কোন বিষয়ে পড়ুন বা আপনার পছন্দের বিষয় পড়তে পারেন এছাড়া গভীর রাতে জটিল বিষয়গুলো না পড়াই ভালো।
৩. পড়ার সময় আরাম করা যাবে না
পড়ার সময় আরাম করতে গেলে ঘুম আসার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই পড়ার সময় আরাম করা থেকে বিরত থাকতে হবে। পড়াশুনার সময় ঘুমিয়ে যাওয়ায় একটা বড় কারণ হচ্ছে খুব স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা। এর জন্য আপনাকে বিছানায় পড়ালেখা করা উচিত না। ঘুমানোর জায়গা এবং আপনার পড়ার জায়গা আলাদা রাখুন। এই ফলে আপনার মস্তিষ্ক দুইটির মধ্যে পার্থক্য করতে পারবে।
৪. ঘন ঘন মুখ ধোয়া
জেগে থাকার জন্য একটি সার্বিক ব্যবহারিক হচ্ছে যখন ঘুম পাবে তখনই মুখ ধুয়ে নেওয়া। এটি অন্যতম পরীক্ষিত অদূত এবং এটি সম্ভবত অভিভাবকরা সবচেয়ে বেশি পরামর্শ দিয়ে থাকেন যখন আপনার চোখ ভারি লাগবে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া আপনি দাঁত ব্রাশ ও করতে পারেন।
৫. নিজের সঙ্গে কথা বলুন
নিজের সঙ্গে কথা বলা পাগলামির মত শোনাতে পারে। কিন্তু এটি নিজেকে জাগ্রত রাখতে পড়াশোনার সময় নিজের সাথে কথা বলুন। আন্ত বিশ্বাস বেড়ে ওঠে এমন ধরনের কথা বলুন আপনি নিজের সাথে নিজে।
৬.চুইংগাম খেতে পারেন
চুইংগাম আপনার দাঁতগুলোর জন্য খুব খারাপ। তবে আপনার পড়ার সময় সঙ্গে একটি প্যাকেট রাখতেই পারেন। যাতে ঘুম আসলে এটি খেতে পারেন। আপনার মুখ যদি অবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে তবে পড়াই মনোযোগ হারানো ঝুঁকি কম থাকে।
৭. ক্যাফিনেটেড পানি ও পান করা যেতে পারে
কফি বা অন্যান্য পানিও পান করতে পারেন এটি আপনার শক্তি বাড়িয়ে তুলনে। তবে মাথায় রাখা উচিত যে এ এনার্জি অল্পের জন্য স্থায়ী হতে পারে। এছাড়া খুব বেশি ক্যাফিন আপনার শরীরের পক্ষে খারাপ। আপনার একদিনে 500 থেকে 600 মিলিগ্রামের বেশি ক্যাফিন পান করা উচিত নয়।
৮. অন্যদের সঙ্গে অধ্যায়ন
যদি আপনি এক অধ্যয়ন না করেন তবে সম্ভাবনা রয়েছে যে আপনার ঘুম কম পাবে। একদল বন্ধু-বান্ধব নিয়ে পড়াশোনা হতে পারে তবে পরীক্ষার জন্য এটি আরো ভালোভাবে আপনাকে সহায়তা করতে পারে আপনার বন্ধুরা আপনাকে প্রস্তুতির নিয়ে কুইজ করতে পারে বা এমন ধারণাটি বুঝাতে সাহায়তা করতে পারে যা আপনার কাছে এখনো পরিষ্কার নয়। তবে যদি আপনার সবার সাথে পড়তে অসুবিধা হয় তাহলে আপনি একাই পড়তে পারেন।
৯. গান শুনতে পারেন
পড়ার সময় আপনি কিছু সঙ্গীত রাখতে পারেন যা আপনার মস্তিষ্কের অংশগুলোকে ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করবে। আর যদি সে গান শুনেও আপনার ঘুম আসে তাহলে আপনি সেই গান পরিবর্তন করে অন্য গান শুনতে পারেন।
১০. একটানা অনেকক্ষণ পড়া যাবে না
একটা না অনেকক্ষণ পড়লে আপনার পড়ায় মনোযোগ হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। একটানা সর্বোচ্চ ২ ঘণ্টা এর বেশি পড়া উচিত নয় ২ ঘন্টা পর পর বা ২৫ মিনিট পর পর ৫ মিনিট করে বিরতি নিতে পারেন। এতে পড়ার মনোযোগ নষ্ট হবে না। এই পাঁচ মিনিট সময় আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারেন শ্বাস প্রশ্বাস নিতে পারেন, ব্যায়াম করতে পারেন, কিছু খেতে পারেন।
১১. টেবিল থেকে উঠুন এবং কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করুন
Power ন্যাপ নেওয়া ছাড়াও পড়াশোনা সময় আপনি যদি ঘুম অনুভব করেন তাহলে কিছুক্ষণের জন্য হাঁটাহাঁটি করতে পারেন আবার আপনার প্রিয় গান ছেড়ে না আসতে পারেন বাইরে দশ মিনিটের জন্য ঘুরে আসতে পারেন তিনি পড়াশোনা করতে পারেন। আপনার যেটা করতে ইচ্ছা করে করতে পারেন। একটানা অনেকক্ষণ পড়া অতিরিক্ত ঘুম আসার লক্ষণ।
১২.পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান
পড়াশোনার সময় আপনি ঘুমিয়ে পড়ার আরেকটি কারণ হলো আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করছেন না। তবে গবেষণার হিসাবে, ডিহাইড্রেশন আক্ষরিকভাবে আপনার মস্তিষ্কে সংকচিত করতে পারে, পড়ার সময় পর্যন্ত পানি পান না করলে আপনার মনোযোগ হারাতে পারে এটি মোকাবেলা করতে আপনার পড়ার টেবিলে সবসময় ঠান্ডা পানির বোতল রাখা প্রয়োজন।
১৩.স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
পড়াশোনা সবাই নিজেকে ঘুমিয়ে পড়া থেকে বিরত রাখতে পুষ্টি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে পাশাপাশি সালাদ মসুর ডাল এবং প্রচুর ফল ও শাক সবজি সমৃদ্ধ একটি সুষম এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য তৈরি তালিকা তৈরি করতে হবে। সাধারণত যেসব খাবারে মেঘ বেশি থাকে আমাদের তন্দ্রাচ্ছন্ন বা অলস করে
ফেলে। তবে চর্বিযুক্ত প্রোটিন গুলো শক্তির জন্য দুর্দান্ত। তাই অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।
আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাকে পড়তে বসলে ঘুম দূর করার উপায় গুলো জানানো হলো।
এখন আলোচনা করা যাক হাইপোসোমনিয়া নিয়ে। সাধারণত আট ঘন্টার চেয়ে বেশি ঘুমালে এটি হাইপোসোমনিয়া হিসেবে গণ্য হয়। নিচে হাইপারসোমনিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো :
হাইপারসোমনিয়া
হাইপারসোমনিয়া হচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী স্নায়ুতন্ত্রের ব্যাধি, একজন ব্যক্তি দীর্ঘদিন রাতের ঘুম অথবা দিনের বেলা অত্যাধিক ঘুম ভাব উপলব্ধি করেন। যারা অশান্ত বা অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে ক্লান্ত বোধ করেন তাদের তুলনায় যারা হাইপারসমোনিয়ায় ভোগেন তারা সারারাত ঠিক মতো ঘুমানো সত্বেও দিনের বেলা লম্বা ঘুম দিতে বাধ্য হয়। হাইপারসমোনিয়া প্রায়শ অন্য রোগের সাথে জড়িত আর তার রোগীর দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলে থাকে।
হাইপারসমোনিয়ার প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গ গুলো কি কি
চলুন জেনে নেওয়া যাক হাইপারসোমিয়া রোগের প্রধান লক্ষণ এগুলো সম্পর্কে -
- সারারাত ঘুমানোর পরেও দিনের বেলা অল্প সময়ের জন্য ঘুমিয়ে নিলে তবুও ঘুমভাব কম হয় না আর লম্বা সময় ঘুমানোর পর কারো প্রায়শই বিভ্রান্তিবোধ এবং অস্বস্তি লাগতে পারে।
- দিনের বেলা সব সময় অত্যাধিক ঘুমানো বা ঘুমভাবের অভিযোগ।
- খাওয়া-দাওয়া, কাজকর্ম এমনকি কথোপকথন এর মধ্যে অসময়েও বারবার হালকা ঘুমিয়ে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে।
অন্যান্য উপসর্গ
- অস্থিরতা
- উদ্যম কমে যাওয়া
- উদ্বিগ্নতা
- মন্থর চিন্তা-ভাবনার প্রক্রিয়া বা কথাবাত্রা যা সারাদিন ধরে থাকে।
- বিরক্তি বেড়ে যাওয়া।
- কোন সামাজিক অথবা পারিবারিক সামাজিক সমাবেশ এবং পেশাদারী পরিবেশে কাজ করতে অসুবিধা হওয়া।
অতিরিক্ত ঘুমের প্রধান কারণ গুলো কি কি
যারা অতিরিক্ত ঘুমানো সমস্যায় আছেন তাদের অবশ্যই জানা উচিত অতিরিক্ত ঘুমের কারণ গুলো কি কি? কেন অতিরিক্ত ঘুম হয় ইত্যাদি জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন। হাইপারসোমনিয়া রোগের কারণ অন্যান্য স্নায়বিক ব্যাধির মতো ভালোভাবে জানা যায়নি। তবে গবেষণা দেখা গেছে শরীরের একটি নির্দিষ্ট অণু বেশি মাত্রায় শরীরে উৎপাদন হশে তন্দ্রা ভাব বাড়িয়ে দেয়।
সাধারণ কারণগুলো হলো
- ঘুমের ব্যাধি (যেমন ন্যারকোলেপ্সি এবং অ্যাপনিয়া)
- মাদক অথবা মদ্যপানের অপব্যবহার
- অটোনমিক স্নায়ুতন্ত্রের অকার্যকারিতা
অন্যান্য কারণগুলো হলো
- কেন্দ্রীয় স্নায়ু তন্ত্রে অথবা মস্তিষ্কে আঘাত
- নির্দিষ্ট কিছু ঔষধ খাওয়া বা কিছু ওষুধ বন্ধ হওয়া হাইপারসোমিয়ায় পরিণত হতে পারে যেমন অ্যান্টি ডিপ্রেসেন্ট, উদ্বেগ কমানোর এজেন্ট, অ্যান্টিহিস্টামিন প্রভৃতি।
- কিছু ব্যাধি যেমন একাধিক স্কেলেরোসিস, ডিপ্রেশন, মৃগী অথবা ওবেসিটি, এনসেফালাইটিস এর মত অসুখ ও হাইপারসোমনিয়ায় মতো হাইপোসোমনিয়ার কারণ হতে পারে।
- জেনেটিক্যালি কারণেও হাইপারসোমনিয়া হতে পারে বলে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে। হাইপারসোমনিয়া রোগটি সাধারণত কৈশোর অবস্থার আগেই ধরা পড়ে।
কিভাবে বুঝবেন আপনার হাইপারসোমনিয়া হয়েছে
- উপসর্গ এবং ঘুমানোর অভ্যাস মূল্যায়ন করার জন্য পরিবারের সদস্য উপস্থিতিতে বিশদে চিকিৎসাজনিত জেনে নিলে রোগ নির্ণয়ে করা সাহায়তা পাওয়া যায়।
- চিকিৎসাজনিত অবস্থায় অন্তর্নিহিত কারণ নির্ণয়ের উদ্দেশ্যে আপনাকে হয়তো পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হতে পারে।
- যে সমস্ত ওষুধের কারণে হাইপারসোমনিয়া হচ্ছে তা দূর করতে সে ওষুধ বন্ধ করতে হতে পারে।
হাইপারসমোনিয়ার অনুসন্ধানে অন্তর্ভুক্ত
- মাল্টিপল স্লিপ লেটেন্সি টেস্ট (MSLT)।
- সারারাতে ঘুমানোর পরীক্ষা অথবা পলিসোমনোগ্রাফি(PSG) টেস্ট।
- জেগে থাকা বা সচেতনতা পরীক্ষার রক্ষণাবেক্ষণ।
- হাইপারসোমনিয়ার চিকিৎসা প্রণালী নির্ভর করে উপসর্গ থেকে উপশম প্রদান এবং অন্তর্নিহিত কারণে চিকিৎসার উপর।
- কগ্নিটিভ বিহেভরিয়াল থেরাপি (SBT) সহায়ক হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে হাইপারসোমনিয়া এমন রোগিদের জন্য।
- অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট এবং সচেতনতা বর্ধক এজেন্ট এর মতো ঔষধ।
নিজের যত্ন নেওয়া
- মদ এবং ক্যাফিন জাতীয় খাদ্য এড়িয়ে চলা
- ঘুমানোর ধরনে প্রভাব ফেলে এমন কারণ এড়িয়ে চলা (যেমন রাত অব্দি জেগে কাজ করা বা সামাজিক কাজকর্মে অংশ নেওয়া)।
লেখকের মন্তব্য
আর্টিকেলটিতে বিভিন্ন কারণে অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় কি, পড়তে বসলে ঘুম দূর করার উপায় কি সে সম্পর্কে উপরে জানলাম। আমরা যারা শিক্ষার্থী রয়েছি তাদের কমবেশি সবার একটি কমন সমস্যা হচ্ছে পড়তে বসলেই ঘুম আসে। অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায়ের জন্য প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আশা করি এইসব তথ্য জেনে উপকৃত হবেন। এতক্ষণ আমার ওয়েবসাইটের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
https://www.dyinamicit.com/p/blog-page_16.html
comment url