তাৎক্ষনিক ভাবে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়
উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘটক হিসেবে পরিচিত সারা বিশ্বে পরিচিত। বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ উচ্চ রক্তচাপ সমস্যায় ভুগে থাকেন। হঠাৎ করে উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে গেলে রোগের মারা যাওয়া সম্ভব নাথাকে। আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাকে জানাবো তাৎক্ষণিকভাবে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কি খাবেন, উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ ইত্যাদি সম্পর্কে। এর জন্য পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
ভূমিকা
উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘটক হিসেবে পরিচিত সারা বিশ্বে পরিচিত। বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ উচ্চ রক্তচাপ সমস্যায়উচ্চমাধ্যম খাবারের তালিকা।তাই তাৎক্ষণিকভাবে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় গুলো আপনাকে জেনে থাকা প্রয়োজন। উচ্চ রক্তচাপ যদি কন্ট্রোলে না থাকে তাহলে মারাত্মক বিপদ হতে পারে।
.
উচ্চ রক্তচাপ কি
যদি হৃদপিন্ডের ধমনীতে রক্ত প্রবাহের চাপ অনেক বেশি থাকে সেটিকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসার বলা হয়।
কিভাবে বুঝবেন আপনার উচ্চ রক্তচাপ
স্বাভাবিক রক্তচাপে চেয়ে বেশি রক্তচাপ থাকলে অর্থাৎ রক্তচাপ যদি ১২০/৮০ মিলিমিটার মার্কারি এর চেয়ে বেশি হয় তাহলে সেটিকে উচ্চ রক্তচাপ হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে এটি হিসাব করা হয় বয়সের সঙ্গে। বয়স ভেদে রক্তচাপ ভিন্ন হয়। আবার স্বাভাবিকের চেয়ে রক্তচাপ কম থাকলে সেটিকে নিম্ন
রক্তচাপ বলা হয়। একজন সুস্থ মানুষের নিম্ন রক্তচাপ ১১০/৮০ মিলিমিটার মার্কারি। দুইটি মানের মাধ্যমে রক্তচাপ রেকর্ড করা হয় যেটা সংখ্যা বেশি সেটাকে বলা হয় সিস্টোলিক প্রেসার আর যেটা সংখ্যা কম সেটাকে বলা হয় ডায়াস্টলিক প্রেসার।
মানুষের প্রতিটি হৃদ স্পন্দন এবং হৃদপিন্ডের সংকোচন প্রসারণ এর সময় একবার সিস্টোলিক প্রেসার এবং একবার ডাস্টলিক পেশার হয়।
আরো পড়ুনঃ সজনে পাতার উপকারিতা কি
একজন সুস্থ মানুষের স্বাভাবিক রক্তচাপ ১২০/৮০ মিলিমিটার মার্কারি হয়। যদি কারো ব্লাড প্রেসার রিডিং ১৪০/৯০ এর চেয়ে বেশি হয় তাহলে বুঝতে হবে তার উচ্চ রক্তচাপ।
অন্যদিকে রক্তচাপ যদি ৯০/৬০ এর আশেপাশে থাকে তাহলে তাকে লো ব্লাড প্রেসার হিসেবে গণ্য করা হয়।
তবে আগেই বলেছি বয়স ভেদে রক্তচাপ খানিকটা কম বেশি হতে পারে। তাৎক্ষনিক ভাবে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় সম্পর্কে জানা উচিত।
মানুষের শরীরের জন্য উচ্চ রক্তচাপ কিংবা নিম্ন রক্তচাপ কোনটাই ভালো না।
তাৎক্ষনিক ভাবে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় কি
রক্তচাপ বেড়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে উচ্চ রক্ত চাপ কমানোর উপায় কি সে সম্পর্কে অবশ্যই আপনাকে জানা লাগবে যদি আপনি ব্লাড প্রেসারের রোগী হয়ে থাকেন অথবা আপনার বাসায় উচ্চ রক্তচাপ রোগের সদস্য থাকে। চলুন তাৎক্ষণিকভাবে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার উপায় গুলো সম্পর্কে জানা যাক -
- প্রথমত দুশ্চিন্ত কমানোর জন্য আপনি জোরে শ্বাস নিয়ে দুই সেকেন্ড পর আস্তে আস্তে শ্বাস ছাড়ুন।
- রক্তচাপ বেড়ে গেলে না ভাবে স্বাভাবিক অবস্থায় থাকার চেষ্টা করুন।
- যদি সম্ভব হয় কিছুক্ষণ সময় শান্ত হয়ে শুয়ে থাকুন।
- আপনি ব্লাড প্রেসার এর জন্য যে ওষুধ খেতেন বা খাবেন সেইটা ব্লাড প্রেসার বাড়ছে বুঝতে পারলে সঙ্গে সঙ্গে ওষুধটি খেয়ে ফেলুন।
- মাথায় বরফ বা পানি দিয়ে সামরিক উপশম পাওয়া যায়।
- কোন সুস্থ ব্যক্তির হুট করে রক্তচাপ বেড়ে গেলে তাকে অবশ্যই বিশ্রাম নিতে হবে।
- রেড মিট, চিংড়ি, ডিমে উচ্চ মাত্রায় লবণ রয়েছে তাই এমন স্ন্যাকস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- প্রতিদিন একটি করে রসুনের কোয়া খেতে পারেন। এতে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।।
ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোল এ না আসলে অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যত দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবেন তত রোগীর জন্য ভালো। তা না হলে ব্লাড প্রেসার অতিরিক্ত হয়ে গেলে রোগী মারা যেতে পারে।
তেঁতুল পানি কি হাই ব্লাড প্রেসার কমায়
আমাদের মধ্যে অনেকে পেশার বাড়লে তেঁতুলের শরবত পরামর্শ দিয়ে থাকে। কিন্তু চিকিৎসা শাস্ত্রে এ নিয়ে কোন নীতিমালা নেই তেতুলে থাকা অ্যাসিড রক্তকে কিছুটা লঘু করে দেয় এবং এতে ব্লাড প্রেসার কমে। তেঁতুলে পটাশিয়াম থাকায় উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে আনতে কিছুটা ভূমিকা রাখতে পারে তবে এটা
আরো পড়ুনঃ কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
কোন স্থায়ী ও সমাধান দেই না। তাই চিকিৎসকের পরামর্শে যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। হুট করে রক্তচাপ বেড়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে রক্তচাপ কমানোর উপায় কি সেগুলো আমরা ইতিমধ্যে জানলাম। জীবন ধারায় কিছু স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন আনলে সেটা উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। আপনার শারীরিক যে কোন সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কি খাবেন
আপনার খাওয়া দাওয়া এবং কিছু নিয়ম অনুসরণ করে চললে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক উচ্চ রক্তচাপে কোন কোন খাবার খাওয়া যাবে -
- প্রতিদিনের খাবার তালিকায় কিছু ফলমূল যেমন আমলকি, নাশপাতি, বেদানা,পেঁপে, পেয়ার এই ফলগুলোর যেকোনো একটি করে রাখতে পারেন।
- প্রতিদিন এক কাপ দুধ খাওয়া যেতে পারে।
- পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খেলে উঁচু রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকে। ডাবের পানি, কলা, টমেটো ইত্যাদিতে বিদ্যমান।
- তৈলাক্ত মাছ পরিহার করে অন্য ছোট মাছ খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
- বেশি বেশি শাকসবজি সবজি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় প্রচুর শাকসবজি যেমন ফুলকপি, মটরশুটি, কলমি শাক, পালং শাক, বাঁধাকপি, টমেটো কুমড়া, বেগুন রাখতে হবে।
উচ্চ রক্তচাপ হলে যেসব খাবার খাবেন না
- প্রথমত খাবারে লবনই পরিমাণ কমাতে হবে। কাঁচা লবণ একেবারে খাওয়া যাবে না এবং রান্না করা খাবারে লবণের পরিমাণ কমাতে হবে।
- ভাত খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে
- প্যাকেট জাত খাবার বাদ দিতে হবে।
- চর্বি বা ফ্যাট জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে যেমন :গরুর মাংস, খাসির মাংস, কেক,মাখন, পেস্টি ইত্যাদি। অতিরিক্ত কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার খাওয়া যাবেনা।
উচ্চ রক্তচাপের কারণ
সাধারণত উচ্চ রক্তচাপ বেশ কিছু কারণে জন্য হয়ে থাকে। এগুলো হলো -
- শারীরিক পরিশ্রম না করলে বা নিয়মিত ব্যায়াম না করলে।
- বংশগতি কারণে যেমন পরিবারের কারো উচ্চ রক্তচাপ থাকলে।
- অতিরিক্ত ওজন বাই স্থলতার কারণে।
- সাধারণত মানুষের চল্লিশ বছর পর থেকে উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে।
- ধূমপান বা মদ্যপান বা অতিরিক্ত ক্যাফিন জাতীয় খাদ্য বা পানীয় খেলে।
- প্রতিদিন 6 গ্রাম বা এক চামচের বেশি লবণ খেলে।
- শারীরিক ও মানসিক চাপে থাকলে।
- দীর্ঘদিন ধরে ঘুমের সমস্যা হলে।
উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ
একেবারে সুনির্দিষ্ট কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় না তবে কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে যেগুলো দেখে আন্দাজ করা যায় হয়তো উচ্চ রক্তচাপের কারণে এমন সমস্যা হচ্ছে। উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ গুলো হল :
- বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
- রাতে ভালো ঘুম না হওয়া
- প্রচন্ড মাথা ব্যথা, মাথা ঘুরানো বা মাথা গরম হয়ে যাওয়া।
- অনেক সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলা।
- মাঝে মাঝে কানে শব্দ হওয়া।
- অল্পতেই রেগে যাওয়া বা অস্থির হয়ে শরীর কাঁপতে থাকা।
উপরের এসব লক্ষণ গুলো দেখা দিলে নিয়মিত রক্তচাপ পরিমাপ করতে হবে, রক্তচাপ পরিমাপ করে যদি দেখেন যে আপনার রক্ত উচ্চ রক্তচাপ তাহলে ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ সেবন করতে হবে।
উচ্চ রক্তচাপ হলে কি সমস্যা তৈরি হয়
প্রচুর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ না থাকলে শরীরে অনেক জটিলতা দেখা দিতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ হলে কি কি সমস্যা তৈরি হয় তা আপনার জানা প্রয়োজন। তাহলে আপনি তাৎক্ষণিকভাবে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় গুলো সম্পর্কে অবগত থাকতে পারবেন। চলুন ও চরক্ত চাপ হলে কি সমস্যা তৈরি হয় তা জানা যাক -
- উক্ত রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত থাকলে হার্ট অ্যাটাকের বা হার্ট ফেইলর হতে পারে। অনন্তর রক্ত চাপের কারণে হৃদযন্ত্রের বেশি দুর্বল হয়ে যেতে পারে। যার ফলে হৃদযন্ত্র রক্তপাম না পেরে হৃদপিণ্ড কাজ করা বন্ধ করতে পারে এবং ফলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
- উচ্চ রক্তচাপের কারণে কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- উচ্চ রক্তচাপের কারণে মস্তিষ্ক বা রক্তক্ষরণ হতে পারে। এমন সময় রোগের মৃত্যুর সম্ভাবনাও থাকে।
- বিশেষ ক্ষেত্র উচ্চ রক্তচাপের কারণে রেটিনায় রক্তক্ষরণ হয়ে একজন মানুষ অন্ধত্বও বরণ করতে পারে।
অধিকাংশ চিকিৎসকগণ বলেন উচ্চ রক্তচাপের কারণ নির্দিষ্ট করে জানা যায় না। উচ্চ রক্তচাপে সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হলো অনেক সময় উচ্চ রক্তচাপের কোন প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যায় না। যার জন্য রোগী সহজে বুঝতে পারে না যে তার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হয়েছে। লক্ষণ না থাকলেও দেখা যায়
আরো পড়ুনঃ ওজন কমানোর উপায় ডায়েট
শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে এবং রোগী হয়তো বুঝতেই পারেন না যে তার মারাত্মক শারীরিক ক্ষতি হচ্ছে। যারা অপেক্ষাকৃত বয়স্ক মানুষ রয়েছে তাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বেশি দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বয়স ৪০ হওয়ার পর থেকে কয়েক মাস অন্তর অন্তর ব্লাড প্রেসার মাপানো
উচিত। যেহেতু অনেক সময় লক্ষণ প্রকাশ পায় না তাই ব্লাড প্রেসার মাপিয়ে নিজেকে সতর্ক থাকতে হবে। যারা দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন তাদের প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার প্রেসার মেপে দেখা উচিত।
তবে একবার রক্তচাপ বেশি দেখলে বলা যাবে না বা চিন্তার কারণ নেই যে তারা উচ্চ রক্তচাপ হয়ে গেছে। পরপর তিন মাস যদি কারো রক্তচাপ পরীক্ষা করে দেখা যায় যে তার বেশি তাহলে ধরে নিতে হবে তার উচ্চ রক্তচাপ।
উচ্চ রক্তচাপ হলে কি করবেন
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে উচ্চ রক্তচাপে কেমন ধরনের খাবার খাওয়া উচিত বা কেমন জীবন যাপন করা উচিত? এটি যদি আপনার মনে প্রশ্ন জাগে তবে অবশ্যই এটি একটি পজিটিভ দিক। কারণ উচ্চ রক্তচাপে শুধু নিয়মিত ওষুধ সেবন করলে হয় না কিছু নিয়ম-কানুনও মেনে চলতে হয়। এগুলো হলো -
- লবণে সোডিয়াম অংশ বাড়িয়ে দেয় যার ফলে রক্তের আয়তন ও চাপ বেড়ে যায়। তাই উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের জন্য খাবারে লবন এর পরিমাণ কমাতে হবে।
- ধূমপানে শরীরে নানা ধরনের বিষাক্ত পদার্থের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় শিরা নানারকম রোগ দেখা দিতে পারে।
- উচ্চ রক্তচাপ হলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে শরীরের অতিরিক্ত ওজনের কারণে যন্ত্রের অতিরিক্ত পরিশ্রম হয়। বেশি ওজনের মানুষের মধ্যে সাধারণত উচ্চ রক্তচাপে সমস্যা বেশি দেখা যায়।
- মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা কম কর করতে হবে। উত্তেজনা রাগভীতি অথবা মানসিক চাপের কারণে রক্তচাপ সাময়িকভাবে বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। দীর্ঘ সময় ধরে মানসিক চাপ অব্যাহত থাকলে দীর্ঘ মেয়াদি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা তৈরি হতে পারে।
- উচ্চ রক্তচাপে আগে থেকেই খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা প্রয়োজন কারণ উচ্চ রক্তচাপ হঠাৎ করে বেড়ে গেলে আপনি তাৎক্ষণিক উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় সম্পর্কে আপনি অবগত নাও থাকতে পারেন। অতিরিক্ত তেল, চর্বি জাতীয় খাবার, মাংস, মাখন বা তেলে ভাজা খাবার উত্তর রক্তচাপ রোগীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার কারনে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। কারণ অতিরিক্ত কোলেস্টেরলে রক্তনালীর দেয়াল মোটা ও শক্ত করে ফেলে। ফলে উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে।
- লবণযুক্ত লবণ যুক্ত স্নাক্স বা হালকা নুডুলস, পাস্তা,।অতিমাত্রায় বিট লবণ ও চাট মসলা যুক্ত ফুচকা বাদাম ফ্রেন্ডস ফ্রাই ফাস্ট কুকিজ চানাচুর পপকন নিমকি বিভিন্ন রকম প্রসেডড ফুট যেমন আলিপুরি ভেলপুরি সিঙ্গারা ইত্যাদি।
- ফল লবণ দিয়ে খাওয়ার এটা আছে, রেডিমেডে মসলা আচার তৈরি চাটনি মেয়োনিজ সয়া সস, টমেটো সস বারবিকিউ সস সালাদ রেসিং ইত্যাদি উচ্চ রক্তচাপের কারণে হতে পারে।
- উচ্চমাত্রায় লবণযুক্ত পানিও বোরহানি, বোরহানি ঘোল পরিহার করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ জন্ডিস রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
মন্তব্য
উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘটক হিসেবে পরিচিত সারা বিশ্বে পরিচিত। বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ উচ্চ রক্তচাপ সমস্যায়উচ্চমাধ্যম খাবারের তালিকা ।আশা করি এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে ওজন কমানোর উপায় ডায়েট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এরকম নিয়মিত আর তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
https://www.dyinamicit.com/p/blog-page_16.html
comment url