চোখ ভালো রাখার উপায় কি
চোখ ভালো রাখার উপায় কি- মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে চোখ। যদিও মানব দেহের সবগুলো অঙ্গই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস কম্পিউটার ল্যাপটপ মোবাইল ইত্যাদির অতিরিক্ত ব্যবহার দিন দিন মানুষের দৃষ্টিশক্তি কমিয়ে দিচ্ছে। তবে দৃষ্টিশক্তির কমলে চলবে না। এর জন্য দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখার উপায় কি সে গুলো জানতে হবে। চোখ ভালো রাখার উপায় কি, চোখ ভালো রাখার ব্যায়াম সম্পর্কে জানতে আজকের বিশেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
চোখ একটি সংবেদনশীল অঙ্গ। শরীরের সাথে চোখের ওপরও দৈনন্দিন জীবনে কর্মকাণ্ডের প্রভাব পড়ে। চোখ মানুষদের অত্যন্ত মূল্যবান একটি সম্পদ। তাই চোখের যত্ন করা আমাদের প্রত্যেকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চোখের ও যত্নের কারণে অনেক সময় চোখ বিকল হয়ে যেতে পারে। আজকে আর্টিকেলটিতে চোখ ভালো রাখার উপায় কি সে গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
.
চোখ ভালো রাখার উপায় কি
আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন মাঝে শরীর আরো পাশাপাশি আমাদের চোখের যত্ন প্রয়োজন। আমাদের নিজেদের চোখ ভালো রাখা আমাদের দায়িত্ব। চোখ ভালো রাখার উপায় কি সেগুলো জানা যাক -
চোখের ব্যায়াম
চোখের ব্যায়াম কথাটা শুনে হয়তো অনেকে মনে করবেন ব্যায়ম হয় নাকি ? উত্তর হচ্ছে হয় চোখেরও ব্যায়াম হয়। চোখের ব্যায়াম করার জন্য প্রতিদিন সকালবেলায় সবুজ গাছপালা, প্রকৃতির কিছুক্ষণ দিকে তাকানো। প্রতিদিন অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিট এইভাবে সবুজ প্রকৃতির দিকে তাকাতে হবে। এটাই হলো চোখের ব্যায়াম। চোখ ভালো রাখার জন্য এই অভ্যাসটা জারি রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। আরো বেশ কয়েকটি রয়েছে সেই সবগুলো যা ব্যায়ম সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পরিষ্কার হাতে চোখ স্পর্শ করা
অনেক সময় এমন হয় যে চোখের উপর অনেক চাপ পরে। চোখের চাপ কমানোর জন্য হাত দিয়ে মেসেজ করলে চোখের চাপ কমানো সম্ভব হয়। চোখ হাত দিয়ে স্পর্শ করার আগে অবশ্যই হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর হাত দুটি দুই হাতের সাথে ভালো করে বসে গরম করে নিতে হবে। এরপর গরম তালুর উপরের অংশ চোখে উপরে রাখতে হবে। এরপর বড় বড় শ্বাস নিতে হবে ও নাক দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়তে হবে। এই উপায়ে ঘুমের সমস্যা কমবে।
আরো পড়ুন: অতিরিক্ত মাথা ব্যথা হলে করণীয়
ঠান্ডা পানির ঝাপটা দেওয়া
বর্তমান সময়ে আমরা বেশিরভাগ মানুষ ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের প্রতি আসক্ত হয়ে যাচ্ছি। ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকতে হয়।নদীর্ঘ সময় টিভি দেখলে, টানা অনেকক্ষণ কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখে ক্ষতি হয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতে কম্পিউটার মোবাইল ফোনে একটানা অনেকক্ষণ কাজের মাঝে অন্তত 20 মিনিট পর পর চোখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিতে হবে। এত চোখ অনেকটা ভালো থাকবে।
সানগ্লাস ব্যবহৃত করা
চোখের সুরক্ষার জন্য ব্যবহার করা অত্যন্ত প্রয়োজন। আমরা যখন বাইরে বের হই সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি রয়েছে আমাদের চোখে পড়লে চোখের ক্ষতি হতে পারে। তাই চোখ ভালো রাখার জন্য জন্য এবং চোখের সুরক্ষার জন্য রৌদ্রে বের হলে চোখে সানগ্লাস ব্যবহার করা ভালো। এতে চোখ সুরক্ষিত থাকবে ক্ষতিকর রৌদ্রের অতি বেগুনে রশি থেকে। এবং চোখকে সূর্য তাপ থেকে রক্ষা করবে। এর জন্য ইউভি প্রটেকশনযুক্ত সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে।
প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খেতে হবে
শরীর এবং চোখ সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খেতে হবে। বিভিন্ন পুষ্টিগুণ এর অভাব পূরণের জন্য শাকসবজি খাওয়ার বিকল্প নেই। চোখ সুস্থ রাখতে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খাওয়া প্রয়োজন। শাকসবজিতে থাকা উপাদানগুলো চোখের সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভিটামিন এ জাতীয় খাদ্য খাওয়া
চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করার জন্য ভিটামিন এ জাতীয় খাদ্য অত্যন্ত প্রয়োজন। ভিটামিন এ জাতীয় খাদ্য খেলে চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি পায়। চোখে স্বাস্থ্য ভালো থাকো। পুঁটির মাছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ পাওয়া যায়। স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য পুঁটির মাছ খাওয়া প্রয়োজন। পুঁটির মাছ খেলে রাতকানা রোগও ভালো হয়। যাদের রাতকানা রোগের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত পুঁটির মাছ খেতে পারেন। এতে রাতকানা রোগের সমস্যা দূর হবে।
নিয়মিত চোখ চেকআপ করা
চোখ ভালো রাখার জন্য নিয়মিত চোখের চেক করা প্রয়োজন। চোখ নিয়মিত চেকআপ করলে আপনি খুব সহজেই চোখের কোনো সমস্যা হলে সচেতন হতে পারবেন। চোখের মধ্যে এমন অনেক সময় বহু সমস্যা সৃষ্টি হয় কিন্তু সেটা আগে থেকে বোঝা যায় না। নিয়মিত চোখ চেকআপের ফলে চোখে কোন ধরনের সমস্যা হলে আপনি সেটা ধরতে পারবেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শে সে সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। তাই আমাদের চোখ ভালো রাখার জন্য এবং চোখের সুরক্ষার জন্য নিয়মিত চোখের চেকআপ করা প্রয়োজন।
চোখ ভালো রাখার ব্যায়াম
চোখ ভালো রাখার উপায় কি, চোখ ভালো রাখার ব্যায়াম সম্পর্কে জানা আমাদের সকলের প্রয়োজন। চোখ ভালো রাখার জন্য চোখের বেশ কয়েকটি ব্যায়াম রয়েছে। চোখের ব্যায়াম করলে চোখ ভালো থাকে। মানুষের শরীরে চোখ সব থেকে স্পর্শকাতর অংশ। বিভিন্ন সময় আমাদের চোখের উপর চাপ
পড়ে কিন্তু সেই ব্যাপারে আমরা সবসময় অবহেলা করি। অনেকক্ষণ ধরে মোবাইল ফোন চালালে, দীর্ঘক্ষণ ঘন ঘন রুম মিটিংয়ে থাকলে, দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারে কাজ করলে, একটানা অনেকক্ষণ টিভি দেখলে চোখের উপর ভীষণ চাপ পড়ে। যা আমাদের চোখে স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আমরা যেমন শরীর ত্বকের যত্ন নিয়ে থাকি টেনে চোখের যত্ন নেওয়াও অবশ্যক। চোখের যত্নে বেশ কয়েকটি ব্যায়াম রয়েছে। ব্যায়ামগুলো সম্পর্কে জানা যানা যাক-
চোখের খাবার
চোখ সুস্থ রাখার জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ও ভিটামিন এ জাতীয় খাদ্য খাওয়া প্রয়োজন। চোখে সুরক্ষার জন্য দৈনন্দিন হাজী জালিকায় ডিমের কুসুম, পুঁটির মাছ, আলু, মিষ্টি কুমড়া, গাজর, হলুদ, মরিচ, সবুজ শাকসবজি খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। হলুদ ও সবুজ শাকসবজি অনেক রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। দীর্ঘদিন এইসব খাবার না খেলে ভিটামিন ও পুষ্টির অভাবে অন্ধত্ব দেখা দিতে পারে। মাছ বা মাছের তেলের ক্যাপসুল তোকে ছানি পড়া রোধে প্রতিরোধ হিসেবে কাজ করে।
২২২আরো পড়ুন: ড্রাগন ফল খাওয়ার ১০ উপকারিতা
জুমিং
চোখে ক্লান্ত দূর করার জুম করা একটি দুর্দান্ত চোখের যোগ ব্যায়াম। এই ব্যায়ম কিভাবে করবেন চলুন জানা যাক, এই গানটি করার জন্য প্রথমে আপনাকে সোজা হয়ে বসতে হবে। এরপর আপনার হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুল সোজা উপরের দিকে ধরতে হবে। এরপর আপনার হাত দূরে দূরে বাঁকাতে থাকুন এবং আপনার হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুলটি প্রায় তিন ইঞ্চি দূরে না হওয়া পর্যন্ত কাছে নিয়ে আসুন। তারপর স্টার্টিং পয়েন্টে ফিরে যান এভাবে তিনবার পুনরাবৃত্তি করতে থাকুন।
পেন্সিল পুশ আপ
চোখ ভালো রাখার উপায় গুলোর মধ্যে এটি একটি। নিয়মিত এই ব্যায়াম করলে চোখের স্বার্থে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এই ব্যায়ামটি করার জন্য চোখের একদিকে তাকানো এবং চারপাশে ত্রিমাত্রিক দৃশ্য পাওয়ার ক্ষমতাকে বাইনোকুলার ভিশন বলা হয়। এই দৃশ্যটি কিছু মানুষের জন্য ত্রুটিপূর্ণ হতে পারে। পেন্সিল পুশ আপ এই ধরনের ত্রুটিগুলো সংশোধনের জন্য একটি দুর্দান্ত উপায়। এর জন্য কয়েকটি পদক্ষেপ অনুসরণ করতে পারেন -
- আপনার চোখের সামনে একটি কলম বা একটি পেন্সিল হাতের দৈর্ঘ্যে রাখুন।
- তারপর পেন্সিল বা কলমটি খুব ধীরে ধীরে চোখের কাছে নিয়ে আসুন এবং যখন আপনি পেন্সিলের একটি দ্বিগুণ চিত্র দেখতে পাবেন তখন থামবেন ।
- এরপর আবার আগের অবস্থানে পেন্সিল কে নিয়ে যান।
নিয়মিত দিনে কয়েকবার করে এই অনুশীলনটি করুন। এতে উপকার পাবেন।
পামিং
চোখের ব্যায়ামের একটি সহজ পদ্ধতি হচ্ছে পামিং। চোখের ব্যায়ামের জন্য পামিং হলো একটি সহজতর ব্যায়াম পদ্ধতি।যা চোখের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে ও দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। পামিং কিভাবে করবেন তাইতো? পামিং করার জন্য প্রথমে হাত ভালো হবে পরিষ্কার করে এরপর দুই হাতের তালু জোরে জোরে ঘষুণ। এরপর হাতের তালুতে তাপের সৃষ্টি হবে। এরপর হাতের কালো কয়েক সেকেন্ড দুটি চোখের ওপর আলতো করে রাখুন। এভাবে থেকে ৫-৭বার একই কাজ করুন।
২০/২০/২০
২০/২০/২০ দেখে অবাক হচ্ছেন! অবাক হওয়ার কিছু নেই। হয়তো অনেকেরই তারিখ ভাবতে পারে কিন্তু এটি তারিখ নয়। এটা দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটার, মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকার সময় দূরত্বের একটি হিসাব। আচ্ছা চলুন বুঝিয়ে বলা যাক, মোবাইল ফোনে কাজ করা, ভিডিও দেখা বা ভিডিও কলে কথা বলা, দীর্ঘক্ষন কম্পিউটারে কাজ করা,টিভি দেখার সময় প্রতি ২০ মিনিটে ২০ সেকেন্ডের জন্য ফুট দূরত্বের কিছু দেখা। অর্থাৎ এসব কাজ করার সময় প্রতি ২০ মিনিট পরে ২০ সেকেন্ডের জন্য ২০ ফুট দূরত্বে অন্যদিকে তাকাতে হবে।
ফোকাসিং
এই বান্টি চোখের নমনীয়তা বাড়াতে এবং ফোকাস উন্নত করতে অত্যন্ত কার্যকরী। কাছাকাছি এবং দূরে ফোকাসিং ব্যায়মের জন্য আপনাকে প্রথমে ঘরের মেঝেতে বসতে হবে যার আকার হবে 6 মিটার/ 6 মিটার। তারপর একটি পেন্সিল হাতে নিন এবং আপনার নাক থেকে প্রায় ৬ ইঞ্চি দূরে রাখুন। পেন্সিলের
ডগাটির দিকে ভালোভাবে তাকান এবং প্রায় ১০ থেকে ২০ ফুট দূরে একটি বস্তুর দিকে দ্রুত তাকান এবং কয়েক সেকেন্ড পরে কয়েক সেকেন্ডের জন্য আবার পেন্সিলের দিকে তাকান। এইভাবে দশবার পুনরাবৃত্তিকরুণ। নিয়মিত কিছুদিন এরকম করে ব্যায়াম করলে চোখের ফোকাসিং বাড়বে।
চোখ মিটমিট করা
চোখ ভালো রাখার উপায় গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে এই ব্যায়ামটি। বারবার চোখের পলক ফেলাও অপরিহার্য কারণ এটি চোখ জুড়ে বিতরণ করে থাকে। যারা কম্পিউটার কাজ করেন দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার ফলে পর্যাপ্ত ভাবে চোখের বরফ ফেলতে পারেনা।যার কারণে আপনার চোখে হতে পারে শুষ্কতা, জ্বালা এবং জলন্ত সংবেদন। এটি প্রতিরোধ করতে চোখের পলকে ছোট বিরতি দিন, চোখ বন্ধ করে কয়েক সেকেন্ড এইভাবে থাকুন। এইভাবে একাধিকবার পুনরাবৃত্তি করতে থাকুন।
আরো পড়ুন: কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
চোখের ব্যায়াম করার সুবিধা
চোখ ভালো রাখার জন্য চোখের ব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চোখে ব্যায়াম করলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। এগুলো হলো-
- চোখের ব্যায়াম করলে তা চোখের চাপ সাহায্য করে।
- দৃষ্টিশক্তি ফোকাস বাড়ানোর জন্য চোখের পেশিকে প্রস্তুত করতে সাহায্য করে।
- নিয়মিত চোখের ব্যায়াম করলে এটি দুর্বল বেশি কে শক্তিশালী করতে এবং রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- চোখের ব্যায়াম করার ফলে আলোর প্রতি চোখের সংবেদনশীলতা হ্রাস পায়।
- দীর্ঘকাল ধরে দৃষ্টিশক্তি দৃষ্টির সমস্যা গুলোর জন্য একটি প্রাকৃতিক নিরাময় হিসেবে ব্যায়াম অত্যন্ত উপকারী।
মন্তব্য
চোখ ভালো রাখার উপায় কি - চোখ ভালো রাখার জন্য চোখের ব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আজকের আর্টিকেলতে চোখ ভালো রাখার উপায় কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। আশা করি উপকৃত হবেন। এতক্ষণ এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
https://www.dyinamicit.com/p/blog-page_16.html
comment url