গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক। গর্ভবতী মহিলাদের তাদের খাওয়া-দাওয়া হইছে প্রতি যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটু চেঞ্জ এনে পুষ্টিকর খাদ্য তালিকায় যোগ
করতে হবে। ভিটামিন সি এর একটি ভালো উৎস হচ্ছে কমলা লেবু। গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার উপকারিতা জানতে , গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার ১২ টি কার্যকর উপকারিতা পুরো আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

গর্ভকালীন সময়ে শাকসবজি, তাজা ফল খাওয়া সব সময় গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় কমলালেবু খেলে সন্তানের মস্তিষ্ক ভালোভাবে বিকশিত হতে সাহায্য করে।
.

গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়া যাবে কি 

গর্ভবতী মায়েরা গর্ভাবস্থায় তাদের খাদ্য তালিকা নিয়ে কিন্তু বেশ চিন্তিত থাকে। তাদের জন্য কোন খাবার পুষ্টি সমৃদ্ধ হবে, কোন খাবার খাওয়া ঠিক কোন খাবার খাওয়া ঠিক নয় এসব নিয়ে গর্ভবতী মায়েরা এসব চিন্তিত থাকে। এইসব খাবার গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে কমলা লেবু। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে
গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়া যাবে কিনা সেটা নিয়ে। হচ্ছে হ্যাঁ অবশ্যই খাওয়া যাবে। কৃষকরা গর্ভবতী মেয়েদেরকে নিয়মিত কমলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাই চিন্তার কোন কারনে গর্ব অবস্থায় কমলা লেবু আপনার ও আপনার বাচ্চার শরীরের জন্য উপকারী। গর্ভাবস্থায় নিয়মিত কমলা লেবু খেলে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধের করে সাহায্য করে।

কমলা সেবনের সেরা সময় কখন

কমলা লেবু যেকোনো সময় খাওয়া যেতে পারে। এটি খালি পেটেও খাওয়া যায়। গর্ভাবস্থায় কমলা লেবু খাওয়ার উপকারিতা অনেক। যেহেতু কমলা লেবু খাওয়ার নির্দিষ্ট কোন সময় নেই সেহেতু যেকোন সময় কমলালেবু খাওয়া যাবে।আপনি আপনার ইচ্ছা মত যেকোনো সময় খেতে পারেন।

গর্ভবতী থাকাকালীন কতগুলো কমলা খাওয়া যাবে

একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য দৈনিক ভিটামিন সি এর প্রয়োজনীয় পরিমাণ হল ৮৫ মিলিগ্রাম। ভিটামিন সি পাওয়া যায় এমন খাদ্য বা ফল এই পরিমাণ খেলে একজন গর্ভবতী মহিলার এর ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ হয়। কমলা লেবুতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এর জন্য গর্ভবতীথাকাকালীন সময়ে আপনি প্রতিদিন তিনটি করে কমলালেবু খেলে শরীরে ভিটামিন সি এর

চাহিদা পূরণ হবে। তবে আপনি যদি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ অন্য কোন খাবার খেয়ে থাকেন তাহলে এর পরিমাণ কমাতে হবে। কারণ অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া যাবে না। বেশি কমলা লেবু খেলে আবার এসিডিটি সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই বেশি মত পরিমাণে খাওয়ায় উত্তম। কেউ যদি ডায়েটে থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শে তার খাদ্য তালিকায় কতগুলো কমলার যোগ করতে পারবে সেটা জানতে হবে।

গর্ভাবস্থায় কমলা সেবনের স্বাস্থ্যের উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর খাবার খাওয়া মা ও বাচ্চা জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চা ও মায়ের সুস্থতা এবং সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার বিকল্প নেই। গর্ভাবস্থায় কমলালেবু খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার। কমলা লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি, আয়রন, ড্রি ফলিক অ্যাসিড ইত্যাদি। গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক।

গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার ১২ টি কার্যকর উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক। চলুন গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার ১২ টি কার্যকর উপকারিতা সম্পর্কে জানা যাক,

রক্ত স্বল্পতা
গর্ভকালীন সময়ে একটি মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে রক্তস্বল্পতা। এই সময় বেশিরভাগ মেয়েদের রক্তস্বল্পতার সমস্যা দেখা দেয়। কমলা লেবু আমিনিয়া বড় রক্তস্বল্পতা দূর করতে একটি কার্যকরী ফল। নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার খেয়ে যেসব খাবারে রক্তস্বল্পতা দূর হয়। এছাড়া ডাক্তারের পরামর্শ ওষুধ সেবন করে রক্তস্বল্পতার সমস্যা দূর করতে হবে। গর্ভাবস্থায় রক্তস্বল্পতা সমস্যা দূর না করলে এ মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। তাই অবশ্যই চিকিৎসিতো পরামর্শ নিন।

লিভারের কার্যক্ষমতা স্বাভাবিক রাখতে
বর্তমানে আমাদের অনেকের মধ্যে লিভারের সমস্যা দেখা দেয়। লিভারের একটি রোগ হচ্ছে জন্ডিস। গর্ভবতী মায়েদের গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন কারণে বাচ্চাও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। জন্ডিস রোগ সারাতে কম লাভ হব একটি কার্যকর খাদ্য। তাই গর্ভকালীন সময় লিভারকে স্বাভাবিক রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গর্ভাবস্থায় যদি আপনার জন্য কোন রকম সমস্যা সৃষ্টি হয় তাহলে আপনার সন্তান দুজনের জন্যই সেটা ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। নিয়মিত প্রতিদিন কমলা হলে এই সমস্যা থেকে অনেকটা দূরে থাকা যায়। তাই গর্ভাবস্থায় খাওয়ার উপকারিতা অনেক।

শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে
কমলালেবু হচ্ছে ভিটামিন বি-6 এবং ফলিক এসিডের ভালো উৎস। তাই গর্ভাবস্থায় নিয়মিত কমলা লেবু সেবন করলে গর্ভে থাকা শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের সহায়তা করে এবং নিউরাল টিউবের ত্রুটিগুলো রোধ করে, যা শিশুর মস্তিষ্ক এবং মেরুদন্ডের অস্বাভাবিকতা গুলোর কারণ হিসেবে পরিচিত। কমলার মধ্যে থাকা ফোলেট উপাদানটি রক্ত কোষের গঠনে, একটি স্বাস্থ্যকর অমরা বিকাশে, নতুন কোষ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত মাত্রায় ফোলেট গ্রহনের ফলে উচ্চওজন যুক্ত শিশুর জন্ম হতে পারে।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে
কমলা রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, পটাশিয়াম ইত্যাদি। এই সকল ভিটামিন উপাদান গুলো দৃষ্টি শক্তির জন্য অনেক উপকারী। গর্ভাবস্থায়ও দৃষ্টিশক্তির জন্য এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিদিন একটু পরে কমলা খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারলে দৃষ্টি শক্তির উন্নতি হবে।

মূত্রকৃচ্ছতা দূর করতে
গর্ভবতী মায়ের গর্ভকালীন সময় মূলত স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি প্রসবের চাপ বেশি থাকে। অনেক সময় কিছু ব্যতিক্রমও দেখা যায় মূত্র কৃচ্ছতার লক্ষণ দেখা দেয়।যা একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য ভালো নয় বেশ ক্ষতিকর। কারণ হলো গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি হওয়া সম্ভব থাকে। এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অনেক সময় চেষ্টা করা নিয়মিত আমলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। যার ফলে আপনি ডিহাইড্রেশনে ভুগবেন না এবং যথাযথভাবে সুস্থ থাকতে পারবো।

কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে
গর্ভকালীন সময়ে আরেকটি জটিল সমস্যা হচ্ছে কোষ্ঠকাঠিন্য। গর্ভকালীন সময় অনেকে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভোগান্তির শিকার হয়ে থাকে। আপনি যদি গর্ভবতী হন এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের শিকার হন তাহলে আপনাকে নিয়মিত কমলা লেবু খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। নিয়মিত কমলা খেলে মানব দেহে

পরিপাকতন্ত্র সতেজ এবং সক্রিয় থাকে। এজন্য গর্ভাবস্থায় সব ধরনের ঝুঁকি মোকাবেলা করতে প্রয়োজন কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে নিজেকে রক্ষা কর। তাই গর্ভাবস্থায় নেয়ার মতো কামলা লেবু খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
আলসার দূর করতে
আলসারের সমস্যা দূর করতে কমলা লেবুর বেশ কার্যকারী। গর্ভাবস্থায় কমলালেব লেবু আলসার দূর করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা নিয়মিত নিয়মিত কমলা লেবু খায় তাদের আলসারের সংক্রমণ বেশিরভাগ কমে যায়। তাই আপনার যদি গর্ভাবস্থায় আলসারের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে নিয়মিত কমলা লেবু খেতে পারেন এতে উপকার পাবেন।

অনিদ্রা থেকে মুক্তি পেতে
অনেকের মধ্যে অনিদ্রার সমস্যা রয়েছে। কিন্তু গর্ভাবস্থায় যদি আপনি পরিমিত না ঘুমান তাহলে বাচ্চার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। একজন গর্ভবতী মায়ের পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজন। কমলা লেবুতে রয়েছে ফ্লেবোনয়েড যা নিউরোট্রান্সমিটারকে সতেজ করে যার ফলে অনিদ্রায় থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যাদের অনিদ্রার সমস্যা রয়েছে গর্ভবতী অবস্থায় থাকাকালীন তাদেরকে একটু সচেতন থাকতে হবে এবং অনিদ্রা দূর করতে হবে।আর এর জন্য প্রতিদিন নিয়মিত কমলালেবু খেতে পারেন।

হৃদপিন্ডের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে
কমলা হার্টকে স্বাভাবিক রাখতে বিশেষভাবে সহায়তা করে। গর্ভাবস্থায় শরীরের প্রতিটি অঙ্গের উপরেই বিশেষভাবে নজর রাখতে হয় মানে সুস্থ রাখার জন্য নজর রাখতে হয়। শরীরের একটি বিশেষ অঙ্গ হচ্ছে হার্ট। গর্ভাবস্থায় হার্টের জানো কোন সমস্যা তৈরি না হয় সেদিকে বিশেষ ভাবে নজর রাখতে হবে।।তাই হার্ট কে সুস্থ রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম করতে পারেন। এর মধ্যে একটি হচ্ছে নিয়মিত কমলা লেবু খাওয়া। প্রতিনিয়ত কমলা খেলে হৃদপিন্ডের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে
একজন গর্ভবতী মহিলার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের দিকেও বিশেষভাবে নজর রাখতে হবে। যাতে রক্তচাপ অতিরিক্ত কমে না যায় আবার অতিরিক্ত বেড়ে না যায়। কারণ দুইটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। কমলা লেবুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত কমলা লেবু

খেলে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ থাকে। এইজন্য আপনি যদি এই গর্ভবতী মহিলা হয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে আর এই জন্য সর্বোত্তম উপায়গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে নিয়মিত কমলা লেবু খাওয়া।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে
কমলা লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করতে বিশেষভাবে কার্যকারী। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সুষম খাদ্যের দিকে নজর রাখতে হবে। একজন গর্ভবতী মায়ের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি রাখতে হবে যাতে বিভিন্ন রোগ থেকে নিজেকে

সহজে রক্ষা করতে পারা যায়। কারণ গর্ভবতী মা যদি নিজের সুস্থ না থাকে তাহলে গর্ভে থাকা বাচ্চার বিভিন্ন ধরনের সৃষ্টি হতে পারে। এইজন্য পোষ্টিকর খাবার ফলমূল শাকসবজি খেতে হবে। ফলমূলের মধ্যে নিয়মিত কমলা লেবু খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।

হাইড্রেট রাখতে
প্রতিদিনের নিয়মিত তরল গ্রহণের অবদানের পাশাপাশি কমলদ শরীরের তরল ভারসাম্য বজায় রাখতে সোডিয়াম ও পটাশিয়াম সরবরাহ করে। কমলা ৪৪% জলীয় উপাদানের সাথে দেহে পানির ভারসাম্য বজায় এবং হাইড্রেট রক্তের সাহায্য করে।

গর্ভাবস্থায় কমলার জুস খাওয়া

যারা কমলার খোসা ছাড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ সময় ধরে খাওয়ার ধৈর্য পান না তারা কমলার জুস করে খেতে পারেন এতে সহজেই কম সময়ের মধ্যে খেতে পারবেন। এর জন্য প্রতিদিন দুই গ্লাস পর্যন্ত কমলার জুস খেতে পারেন। এটি ক্যালসিয়ামের একটি ভালো উৎস।আপনি পাস্তুরাইজ কমলার জুস খেলেও কোন
সমস্যা নেই। পাস্তুরাইজ কমলার দোষ খেলে তা আপনার হাড়কে শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করবে। আপনি যদি ল্যাকটোজ অসহিষ্ণু হয়ে থাকেন তাহলে আপনি বল বৃদ্ধিকারী (ফরটিফাইড) কমলার জুস খেতে পারেন কারণ এটি দুধের একটি ভালো বিকল্প এবং প্রান্তকালীন অসুস্থতা নিরাময়ের সহায়তা করতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় কমলার জুস খাওয়া অনেক উপকারী।

গর্ভাবস্থায় কমলার বীজ খেয়ে ফেললে করণীয় কি

অনেক সময় কমলার সাথে ভুল করে কমলার বীজও খাওয়া হয়ে যায়। যার কারণে অনেক সময় আমরা চিন্তিত থাকি যে এতে কোন সমস্যা হবে কিনা। চিন্তার কারণে স্বাভাবিক অবস্থায় বা গর্ভাবস্থায় কমলার বীজ সেবন করলে কোন ক্ষতিকর প্রভাব পরেনা। তবে যদি অনেক বেশি বীজ খেয়ে ফেলেন আপনি
 
তাতে একটু বিষম ও খেতে পারেন। এর জন্য খুব ছোট ছোট বীজ যুক্ত এবং সহজে খোসা ছাড়িয়ে নেওয়া যেতে পারে এ ধরনের ট্যাঞ্জারাইনের না সাতসুমাসের মতো ছোট কামড়াগুলো বেছে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। নিয়মিত কামলা খেলে একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য বহুবিধ উপকার নিয়ে আসতে পারে। সবশেষে বলা যায় বিষ খেয়ে থাকার জন্য চিন্তার কারণ নেই সুবিধা হয় না।

গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার সামান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী কিন্তু পাশাপাশি এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। প্রতিটা খাদ্যের যেমন উপকারিতা আছে তেমনি কিছু অপকারিতা ও রয়েছে। গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত কমলা লেবু খেলে সামান্য কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। কমলা একটি ঠান্ডা জাতীয়
ফল। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা থাকতে পারে এছাড়া সামান্য কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যাদের একটুতে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে তারা এত কমলা
খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কমলা লেবু সব সময় পরিমাণ মতো পর্যাপ্ত মাত্রায় খাওয়ায় উত্তম। তাই যারা গর্ভবতী মায়েরা আছেন তারা একটি নির্দিষ্ট পড়ে অনেক হওয়ার অভ্যাস করুন।

মন্তব্য

নিয়মিত গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার উপকারিতা অনেক। গর্ভাবস্থায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ও ত্বকের সমস্যা দূর হয়, শর্করার মাত্রা কমাতে এবং অন্যান্য নানান উপকার করতে সাহায্য করে। আজকের আর্টিকেল গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল। আশা করি আপনার ভালো লাগবে এবং উপকৃত হবেন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

https://www.dyinamicit.com/p/blog-page_16.html

comment url