দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের লক্ষণ
আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ যারা বেশিরভাগ মানুষ নিজেদের দাঁত নিয়ে সচেতন নয়। দাঁতের কোন সমস্যা হলে সহজেই অনেকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে চান না। নিজে নিজে সমাধান করার চেষ্টা
করেন। যা একদম উচিত নয়। আপনাকে অবশ্যই আপনার দাঁত সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। দাঁতের মাড়িতে ব্যথা কেন হয়, দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের লক্ষণ এবংকরণীয় কি এসব সম্পর্কে তথ্য জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
.
ভুমিকা
দাঁত একটি অমূল্য সম্পদ। প্রচলিত একটি কথা আছে থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝি না। যা একেবারে সঠিক। দাঁতের যেকোনো সমস্যা হলে আমাদেরকে তার চিকিৎসা করানো প্রয়োজন। দাঁতের জীবনের সংক্রমণ দীর্ঘস্থায়ী হলে তা থেকে বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ দেখা দিতে পারে। তাই অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের লক্ষণ
মুখের ক্যান্সারের একটি ধরন হলো দাঁতের মাড়ির ক্যান্সার। এটি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং মারাত্মক আকর ধারণ করতে পারে। দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ গুলো সম্পর্কে সবার সচেতন থাকা গুরুত্বপূর্ণ। দাঁতের বাড়িতে ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো হলো -
- মাড়ি ফুলে যাওয়া
- মাড়ি থেকে রক্তপাত
- মাড়িতে লাল সাদা বা লালচে কালো দাগ
- খাবার চিবানো বা গিলতে সমস্যা হওয়া
- দাঁত হারানো বা দাঁত নড়বড় করা
- বাড়িতে খাওয়াবো ফোড়া যদি দীর্ঘদিন স্থায়ী হয় (যেমন এক সপ্তাহের বেশি)।
- ওজন হ্রাস
- মুখের ভেতর অস্বস্তি বা ব্যথা
- কানে ব্যথা
উপরে লক্ষণ গুলোর মধ্যে যদি আপনার মধ্যে কোনটি দেখা দেয় তবে যত দ্রুত সম্ভব একজন ডেন্টিস্টের শরণাপন্ন হন। মনে রাখতে হবে এগুলো কেবলমাত্র দাঁতের মাড়ি ক্যান্সারের সম্ভাব্য লক্ষণ এবং অন্যান্য চিকিৎসা অবস্থা এই লক্ষণ গুলো কারণ হতে পারে। তবে শুধুমাত্র একজন পেশাদার চিকিৎসাকই সঠিকভাবে অভিনয় করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ জন্ডিস রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
দাঁতের মাড়িতে ইনফেকশন হলে কি করনীয়
দাঁতে মাড়িত ইনফেকশন একটি সাধারণ সমস্যা। যেকোনো বয়সের মানুষের এই সমস্যা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে দাঁতের মাড়িতে ইনফেকশন হলে প্রচণ্ড ব্যথা, ফোলা ভাব, লাল ভাব এবং রক্তপাত হতে পারে দাঁত ও মাড়ির ক্ষতি করতে পারে এমনকি দাঁত হারানো কারণ ও হতে পারে। আমাদের সবার দাঁতের মাড়িতে ইনফেকশন এর কারণ লক্ষণ ইনফেকশন হলে কি করনীয় এসব বিষয়ে জানে থাকা প্রয়োজন। আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে আপনাকে জানানোর জন্যই আর্টিকেল। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন।
দাঁতের মাড়িতে ইনফেকশন কেন হয়
অনেকগুলো কারণে দাঁতের মাড়িতে ইনফেকশন হতে পারে। দাঁতের ক্ষয়ের মাধ্যমে দাঁতের উপর একটি পাতলা আবরণ এর জন্ম হয় যাতে ব্যাকটেরিয়া জন্মানো শুরু করে।
মাড়িতে ইনফেকশনের ফলে প্রচন্ড ব্যথা, ফোলা ভাব, লাল বর্ণ এবং রক্তপাত হতে পারে। এই ব্যাকটেরিয়া মাড়িতে প্রদাহ সৃষ্টি করে যা ইনথরশনের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
দাঁতের পাথর দাঁতের ক্ষয়ের ফলে তৈরি হওয়া ব্যক্তির আবরণ শক্ত হয়ে দাঁতে পাথরে পরিণত হয় দাঁতের পাথর৷ দাঁতের পাথর ও ইনফেকশন এর কারণে ডায়াবেটিস এজন্য ইনফেকশন খুবই থাকে।
দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার কারণ
সাধারণত দুইটি কারণের দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পরে। একটি হচ্ছে স্থানীয় ও আরেকটি হচ্ছে পদ্ধতিগত। চলুন এই দুইটি কারণ সম্পর্কে আলোচনা করা যাক -
১. স্থানীয় কারণ - মাড়িতে ডেন্টাল ফ্ল্যাট জমা থাকার কারণে মাড়িতে প্রদাহ সৃষ্টি এবং মাড়ি ফুলে যায়। তাই দাঁতের সঙ্গে সংযোগ নষ্ট হয়ে যায়। এ সময় দাঁত ব্রাশ করলে বা কোন শক্ত খাবার খেলে অথবা সামান্য আঘাতে মাড়ি থেকে রক্ত বের হয়। এ অবস্থাকে মেডিকেলের ভাষায় বলা হয় পেরিওডেন্টাল ডিজিজ। এর দুইটি স্তর রয়েছে প্রথম স্তরটি হচ্ছে জিনডিভাইটিস এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে পেরিওডনটাইটটিজ।
২. পদ্ধতিগত কারণ -যদি কারো লিউকোমিয়া (ব্লাড ক্যান্সার থাকে, রক্তের হিমোগ্লোবিন বা প্লেইটলেট কম থাকে যেমন ব্লাড ডিজঅর্ডার বা রক্তের ব্যাধি তাদের মাড়ি থেকে রক্ত পড়তে পারে। এছাড়া যারা হৃদরোগের কারণে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খায়, রক্ত পাতলা থাকার ওষুধ খায়, অ্যাসপিরিন অথবা
ডিসপিরিন বা ক্লোপিড জাতীয় ওষুধ খায় তাদের এই সমস্যা হতে পারে। আবার গর্ভকালীন মায়েদের এক ধরনের হরমোনের কারণে মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে। তবে ভয় পাওয়ার কারণ নেই
স্বাভাবিক প্রেগনেন্সির সময় এমন অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু অন্যান্য সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে রক্তক্ষরণকে খুব সহজভাবে চলবেনা এর জন্য রোগীর ইতিহাস বিভিন্ন রোগের উপস্থিতি ও ঔষধ সেবনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে দেখতে হবে। প্রয়োজনে রক্তের বিভিন্ন
পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হবে। এছাড়া যারা ধূমপানে অভ্যস্ত যাদের ডায়াবেটিকস রয়েছে তারাও ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক সময় ধূমপানের কারণে মাড়িতে প্রদাহ বা অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের কারণে মাড়িতে তীব্র প্রদাহ হয়। ফলে রক্তক্ষরণ হতে পারে। অবশ্যই ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে। ধূমপানের ফলে অনেক রোগ সৃষ্টি হয়।
দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার লক্ষণ
- মাড়ি থেকে দাঁতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া
- দাঁত ব্রাশ করলে বা শক্ত কোন খাবার চিবিয়ে খেলে রক্ত বের হওয়া।
- মারি লাল হয়ে যাওয়া ও ফুলে যাওয়া।
- অনেক সময় ঘুম থেকে উঠলে মুখ থেকে রক্ত আবার অনেক ক্ষেত্রে লালার সঙ্গে রক্ত মিশে গিয়ে বিছানার বালিশে রক্ত দেখা দিতে পারে।
দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধের চিকিৎসা
সাধারণত দাঁতের মাড়ি থেকে দুইটি কারণে রক্ত বের হয় বলে জানান চিকিৎসকরা। একটি হচ্ছে স্থানীয় ও আরেকটি হচ্ছে পদ্ধতিগত কারণ। যদি
স্থানীয় কারনে দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত বের হয় তাহলে ডেন্টাল ফ্লাগ (দাঁতের উপর লেগে থাকা খাদ্য কণা শক্ত আবরণ) পরিষ্কার করতে হবে। এর জন্যবিজ্ঞানসম্মত উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে ডেন্টাল স্কেলিং। আধুনিক আল্ট্রাসনিক স্কেলার যন্ত্রের মাধ্যমে দাঁতের সঙ্গে লেগে থাকার ডেন্টাল প্লাক বা শক্ত আবরণ
খুব সহজে পরিষ্কার ভাবে সরিয়ে দেওয়া যায়। যদি মারি প্রদাহের কারণে ফুলে যায় তবে উপযুক্ত এন্টিবায়োটিক প্রয়োগের মাধ্যমে মাড়ির শল্যচিকিৎসার প্রয়োজন হয় যাকে মেডিকেলের ভাষায় বলা হয় রুট প্লানিং বা জিনজিভেকটমি।এর ফলে পরবর্তীতে মাড়ির স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে আর রক্তক্ষরণ হওয়ার সুযোগ থাকে না।
আরো পড়ুনঃ চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
পদ্ধতিগত কারণে যদি দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত রক্তক্ষরণ হয় তাহলে অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সনাক্ত করবেন কোন কারণে আপনার দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত বের হচ্ছে। তাই যদি দাঁত মাড়ি থেকে রক্ত বের হয় তাহলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়া প্রতিরোধে করণীয়
দাঁত সম্পর্কে সচেতন থাকলে এবং দাঁতের বিশেষভাবে যত্ন নিলে দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়া যদি গুরুতর আকার ধারণ না করে তাহলে অনেকটা কমানো যায়। চলুন দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়া প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে জানা যাক -
১. নিয়মিত দাঁত ব্রাশের আগে ডেন্টাল ফ্লস (এক জাতীয় সিল্কের পিচ্ছিল সুতা) দিয়ে দুই দাঁতের ফাঁক থেকে খাদ্য কোন পরিষ্কার করা এবং এক জাতীয় মাউথওয়াস আয়োডিন দিয়ে কুলকুচি করা।
২. প্রতিদিন ভিটামিন সি জাতীয় হরমোন যেমন কমলা লেবু আমলকি জাম্বুরা কলা এবং মাল্টা ইত্যাদি ফল খেতে হবে এছাড়াও প্রতিদিন সালাত হিসেবে গাজর, লেবু, শসা, টমেটো খেতে হবে।
৩. মাড়ির রক্তক্ষরণ প্রতিরোধে প্রতিদিন দুই বেলা সকালের নাস্তার পরেও রাতে খাওয়ার পর যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করতে হবে।
৪. দাঁতের উপরের পাটি থেকে নিচের পাটি এবং নিচের পাটি থেকে উপরের পাটি এইভাবে নিচ বা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দাঁত ব্রাশ করতে হবে যাতে প্রত্যেকটি দাঁতের বাইরে ও ভিতরের পাটির প্লাক থেকে খাদ্য কনা পরিষ্কার হয়।
৫. ডায়াবেটিস থাকলে তা অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম,পরিমিত খাদ্য গ্রহণ ও ওষুধ সেবন করতে হবে।
৬. ধূমপান বা তামাক জাতীয় খাদ্য গ্রহণ বর্জন করতে হবে।
দাঁত মাজতে কি ধরনের ব্রাশ ব্যবহার করা উচিত
প্রত্যেকেরই দাঁত ও দাঁতের মাড়ির দিকে অনুযায়ী টুথব্রাশ ব্যবহার করা প্রয়োজন যেমনঃ নরম মধ্যম ও শক্ত টুথব্রাশ আর তো নির্ধারণ করে দেবেন ডেন্টিসরা। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নরম বা মধ্যধরনের ব্যবহার করতে দেখা যায়। একটি টুথব্রাশ এর সময়সীমা কতদিন বা টুথব্রাশ কতদিন পর্যন্ত ব্যবহার করা
যেতে পারে সে সম্পর্কে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে। দাঁতের যত্নের জন্য অবশ্যই টুথব্রাশ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি দুধ ব্রাশ দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত ব্যবহার করা যেতে পারে এরপর আপনাকে সে টুথব্রাশটি পরিবর্তন করে নতুন টুথব্রাশ ব্যবহার করতে হবে। আবার যখন টুথব্রাশের fiver
আরো পড়ুনঃ ড্রাগন ফল খাওয়ার ১০ উপকারিতা
বা ব্রিসল গুলো সোজা না থেকে বাঁকা হয়ে যায় তখনও টুথব্রাশ পরিবর্তন করা প্রয়োজন। যা আমাদের অনেকেরই অজানা। তবে দাঁতের যত্নের জন্য এসব তথ্য জানা অত্যন্ত প্রয়োজন। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে টুথব্রাশ করার জন্য কোন ধরনের টুথপেস্ট ব্যবহার করা প্রয়োজন। এর উত্তর হচ্ছে
সবার জন্য গ্রহণযোগ্য টুথপেস্ট হলো ফ্লুরাইড যুক্ত টুথপেস্ট অর্থাৎ যেসব টুথপেস্টে ফ্লুরাইড আছে। সেটি তোর জন্য স্বাস্থ্যসম্মত। কারণ ফ্লুরাইড দাঁতের ক্ষয় বা ডেন্টাল ক্যারিজ রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকে।
দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের কারণ ও করনীয়
মানুষের শরীরে বিভিন্ন অংশে যেমন ক্যান্সার হয় এমনি দাঁতের মাড়িতে ও মুখমণ্ডলের বিভিন্ন স্থানে ক্যান্সার হয়ে থাকে। যা আমাদের অনেকের অজানা। আমাদের মধ্যে দাঁতের সমস্যা দেখা দিলে আমরা খুব সহজে চিকিৎসকের কাছে যেতে চায় না। বলা যায় একপ্রকার অবহেলাই করা হয়। যা একেবারেই ঠিক নয়। যার ফলে সমস্যা বাড়তে বাড়তে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। এবং আমাদের অনেকের এটা জানা যে ক্যান্সারের আক্রান্ত ব্যক্তির সঠিক চিকিৎসা না হলে শেষ পরিণতি মৃত্যু।
ধূমপান, অ্যালকোহল, পান, জর্দা, সাদা পাতা, সুপারি, গুল, দীর্ঘদিন ধরে দাঁতের মাড়িতে ঘা বা ইনফেকশন ইত্যাদি কারণে দাঁতের টিউমার এবং টিউমার থেকে ক্যান্সারের সৃষ্টি হতে পারে ।
উপসর্গ
- মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া
- মাড়ি শক্ত হয়ে যাওয়া
- ক্ষতযুক্ত মাড়ি
দাঁতের মাড়ির ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার প্রথম দিকে ধরা পড়লে চিকিৎসা করা সহজ হয়। চিকিৎসা হিসেবে সার্জারি করা হয় । সার্জারির উদ্দেশ্য হলো ক্যান্সার নিরাময় করা যেন তা প্রাণঘাতী না হয়, ক্যান্সার যেন পুনরায় না হতে পারে সেজন্য, খাবার চিবিয়ে খাওয়ার ব্যবস্থা সহজতর করার জন্য, মুখমণ্ডলের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা।
দাঁতের মাড়ির ক্যান্সারের চিকিৎসা
দাঁতের মাড়ি ক্যান্সারের চিকিৎসা ব্যবস্থা নির্ভর করে সাধারণত ক্যান্সার কতটুকু ছড়িয়ে পড়েছে এবং কতটুকু গভীর হয়েছে সেটার উপর ভিত্তি করে।
- দাঁতের নিচের চোয়ালে ক্যান্সার হলে নিচের চোয়ালের আংশিক বা সম্পূর্ণ কেটে ফেলা ও দরকার হলে গলার আংশিক অংশ লিম্ফগ্রন্থিসহ কেটে ফেলার প্রয়োজন হতে পারে। অবশ্যই চিকিৎসক রোগীর অবস্থা বিবেচনা করে সার্জারি করবেন।
- দাঁতের উপরে চোয়ালে ক্যান্সার হলে উপরের চোয়ালের আংশিক অংশ বা সম্পূর্ণ অংশ কেটে ফেলতে হয়। ভয় পাওয়ার কারণ নেই। রোগীর অবস্থার উপর করে চিকিৎসক সার্জারি করবেন।
মন্তব্য
দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের লক্ষণ ,কারণ, দাঁতের মাড়ির ক্যান্সারের চিকিৎসা সর্ম্পকে ইতোমধ্যে আমরা অবগত হলাম। দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের লক্ষণগুলো যদি প্রকাশ পায় তাহলে অতিসত্বর চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে ও যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা শুরু করতে হবে কারণ দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের চিকিৎসা না করালে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় অনেক রোগীর অবহেলার কারণে মৃত্যু হতে পারে। তাই চিকিৎসার কোন বিকল্প নেই। এতক্ষণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।
https://www.dyinamicit.com/p/blog-page_16.html
comment url