পরিবেশ দূষণের ১২টি কারণ

চারপাশে যা কিছু আছে তা নিয়ে আমাদের পরিবেশ। বিভিন্ন কারণে পরিবেশ দূষিত হতে পারে। পরিবেশকে বিষাক্ত করে তোলে এমন পদার্থ দ্রব্য নির্গত হলো তাকে পরিবেশ দূষণ বলে। পরিবেশ দূষণ
বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। আজকের আর্টিকেলটিতে পরিবেশ দূষণের ১০ টি কারণ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। পরিবেশ দূষণের ১২টি কারণ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

যখন পরিবেশের কোনো উপাদানের ভৌত ও রাসায়নিক এবং জৈবিক ও তেজস্ক্রিয় পরিবর্তন ঘটে যা মানুষসহ পরিবেশে মধ্যে বসবাসকারীর উপর নেতিবাচক ও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে তখন সে অবস্থাকে পরিবেশ দূষণ বলে।
.

পরিবেশ দূষণের কারণসমূহ

প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। বিশ্বের নানাবিধ সমস্যায় জর্জড়িত উন্নয়নশীল মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। এইসব সমস্যার মধ্যে পরিবেশগত সমস্যাটি অন্যতম। বিভিন্ন কারণে পরিবেশ দূষণের কারণে পরিবেশে মারাত্মক অবনতি হচ্ছে।

পরিবেশ দূষণের ১২টি কারণ 

১. শব্দ দূষণ

দিন দিন শব্দদূষণের মাত্রা যেনো বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন কারণে শব্দ দূষণ হয়ে থাকে। যা একটি মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যানবাহনের হাইড্রোলিক হর্ণের বিকট আওয়াজ প্রতিনিয়ত পরিবেশে ব্যাপক ভাবে শব্দ দূষণ ঘটায়। যার ফলে আমাদের শ্রবণ ক্ষমতাও কমে যাচ্ছে। মাছ চরিত্র শব্দ দূষণের

ফলে মানুষের শারীরিক ও মানসিক ব্যাধির সৃষ্টি হচ্ছে। বিয়ে বাড়িতে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, পিকনিকে গান বাজনা তীব্র আওয়াজেও পরিবেশ দূষিত হয়। গান-বাজনার তীব্র আওয়াজে অনেক সময় অসুস্থ রোগীদের অনেক অসুবিধা হয়। বিশেষ করে যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তাদের উচ্চ গানবাজনায় 
মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। একটু গান-বাজনার আওয়াজে অনেক সময় হার্ট অ্যাটাক ও হতে পারে। তাই বাসার আশেপাশে যদি হার্টের রোগী থাকে বা অসুস্থ রোগী থাকে তাহলে বিয়ে বাড়ি কিংবা যে কোন অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত উচ্চ আওয়াজে গান-বাজনা থেকে বিরত থাকতে হবে। তা না হলে অসুস্থ রোগীদের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। শব্দ দূষণ আমাদের পরিবেশগত বিপর্যয়কে আরো ঘনীভূত করে চলছ।

২. বায়ু দূষণ

পরিবেশ দূষণের আরো একটি মারাত্মক কারণ হচ্ছে বায়ু দূষণ। বায়ু দূষণ দিন দিন পরিবেশকে দ্রুত বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে দিচ্ছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধির ফলে বাড়তি লোকের চাহিদা মেটানোর জন্য নতুন নতুন কলকারখানা, যানবাহন বৃদ্ধি পাচ্ছে যার কারনে বায়ু দূষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে । যা

বায়ু দূষণের একটি বড় অংশ। যানবাহন, কারখানা, ইটের ভাটা থেকে তো কালো ধোঁয়া নিগত হয় তা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বাস, ট্রাক, সিএনজি, ইটের ভাটা, কল কারখানার কালো ধোয়া বায়ুমন্ডলের সাথে মিশে মারাত্মকভাবে বায়ু দূষণ ঘটায়। যার ফলে কার্বন মনোক্সাইড কার্বন ডাই-
অক্সাইড ইত্যাদির মত বিষাক্ত গ্যাস এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা জীবসহ বায়ুমন্ডলের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এইসব যানবাহন, ইটের ভাটা, কল-কারখানার কালো ধোঁয়া বায়ুমণ্ডলের সাথে মিশে এসিড বৃষ্টির সৃষ্টি করে। এসিড বৃষ্টির আমাদের পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এসিড বৃষ্টির ফলে মানুষ সহ,

পশুপাখি, জীবজন্তু, গাছপালা, পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়। এছাড়া অনেক সময় আমরা আশেপাশে আবর্জনা ফেলে রাখি যা পচে দুর্গন্ধ ছাড়াই এবং বায়ু দূষিত করে। আবার অনেক সময় পশু পাখির মৃতদেহ মাটিতে না পুঁতে ফেলে রাখার জন্য পশু পাখির মৃতদেহ পৌঁছে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে যার ফলে বায়ু দূষণ ঘটে। ক্ষতিকর সাথে মিশে বায়ু দূষণ ঘটায়। এইভাবে প্রতিনিয়ত বায়ু দূষতি হচ্ছে।

৩. পানি দূষণ

দিন দিন বাংলাদেশে পানি দূষণের মাত্রা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। বাংলাদেশের বড় নদীগুলো ( যেমন :বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ, রুপসা) মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। কল কারখানার বজ্র, ময়লা আবর্জনা, দূষিত পদার্থ, পশু পাখির মৃতদেহ, মলমূত্র, ডাস্টবিনের পানি,

ম্যান হোলের পানি বিভিন্নভাবে নদীর পানির সাথে মিশে পানি দূষণ করে। পুকুরের বা পানিতে বিভিন্ন সংক্রমণে আক্রান্ত রোগীদের জামা কাপড় খাঁচার ফলে সংক্রমণ পানি দূষিত করে পানির মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে যার ফলে সে সব রোগের সুস্থ মানুষেরাও আক্রান্ত হতে পারে। এছাড়া গ্রাম

বাংলার বেশিরভাগ মানুষ যেখানে সেখানে মলমূত্র ত্যাগ করে, কফ থুতু ফেলে যেগুলো বৃষ্টির পানির সাথে মিশে নদী খাল বিল পুকুরের পানি দূষিত করে। এছাড়া বন্যার সময় বিভিন্নভাবে পানি দূষিত হয়। মূলত শিল্প কল কারখানার বর্জ্য পদার্থই হচ্ছে পানি দূষণের জন্য প্রধান কারণ।

৪. মাটি দূষণ

এমন অনেক বর্জ্য পদার্থ আছে যেগুলো দীর্ঘদিন মাটির সাথে বিক্রিয়া করেও মাটির সঙ্গে মিশতে পারে না। কল কারখানার বর্জ্য, পলিথিন, প্লাস্টিক, ভাঙ্গা কাঁচ ইত্যাদি সহজে মাটির সাথে বিক্রিয়া করতে পারে না যার কারনে বহু বছর ধরে এগুলো মাটির সাথেও মিশে যায় না, যার কারণে মাটি দূষিত হয়। কৃষি

কাজে ব্যবহৃত বিষাক্ত কীটনাশক অসময় মাটির সাথে মিশতে না পেরে মাটি দূষিত করে। আমাদের চারপাশে এমন অনেক দূষিত পদার্থ মাটিতে ফেলে রাখা হয় যার কারণে মাটি দূষিত হয়। এর ফলে মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়। সে জায়গার মাটিতে গাছপালা জন্মায় না ভালো ফলন হয় না। অনেক সময় কিছু কাজে ব্যবহৃত অতিরিক্ত বিষাক্ত কীটনাশক মাটির উর্বরতা নষ্ট করে যার ফলে মাটি দূষিত হয়। এভাবে মাটি দূষিত হয়ে পরিবেশ দূষণ ঘটে থাকে।

৫. বনভূমি উজাড়

বাংলাদেশের জনসংখ্যা দিন দিন অতিরিক্ত মাত্রায় বৃদ্ধি পাবার জন্য বাড়ি-ঘর, কর-কারখানা, স্কুল কলেজ ইত্যাদি তৈরি করার জন্য বনভূমি উজাড় করতে হচ্ছে। যেকোনো দেশের পরিবেশে বনভূমি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। দেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বনভূমি বহুলাংশে নির্ভরশীল।

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য যে কোন দেশে তার আয়তনের তুলনায় ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। অথচ বাংলাদেশের এর পরিমাণ অত্যন্ত কম। বাংলাদেশে বনভূমির পরিমাণ মোট আয়তনের তুলনায় ৯ শতাংশেরও কম। পরিবেশ দূষণের ১২ টি কারণের মধ্যে বনভূমি উজার পরিবেশ দূষণের

অন্যতম একটি কারণ। বনভূমি যত বেশি উজাড় হবে পরিবেশ তত বেশি দূষিত হবে। বনভূমি উজাড় হলে গাছপলার সংখ্যা কমে যাবে। যার ফলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবং অক্সিজেনের পরিমাণ হ্রাস পাবে। যার ফলে জলবায়ুরও ব্যাপক পরিবর্তন হবে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাবে। যার কারণে কষ্টের মধ্যে করতে হবে। বনভূমি উজার পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।

৬. রাসায়নিক কীটনাশক এর ব্যাপক ব্যবহার

কৃষি শিল্পের উন্নয়নের জন্য রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করা প্রয়োজন। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। উন্নয়ন ফসানোর জন্য ও ভালো ফলনের জন্য কিছু জমিতে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করে লাভবান হওয়া যায়। তবে অনেক

কৃষকদের সঠিক জ্ঞান আর কারনে প্রয়োজনের তুলনায় অধিক কীটনাশক ব্যবহার করে ফেলে, যার ফলে জীবজগৎ, প্রাণী জগৎ এবং পরিবেশ হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করলে সেটি ফসলি জমে ওর বড়টা নষ্ট করে, অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করা ফসল খেলে মানুষের নানা

ধরনের রোগ সৃষ্টি হতে পারে। কৃষি জমিতে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করা যাবে। তবে সঠিক পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে। অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহার করা যাবে না। না হলে ইনটেম পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হবে।

৭. পলিথিন

ধারণা করা হয় বাংলাদেশে ৮০ দশকের শুরুর দিকে পলিথিনের ব্যবহারের শুরু হয়। আশি দশক থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত পলিথিন দিন দিন ব্যাপক হরে বেড়েই চলেছে। এই সভ্যতায় বর্জ্য হিসেবে এক ভয়াবহ শত্রু হচ্ছে পলিথিন। দিন দিন পলিথিন সামগ্রীর ব্যবহার অসংখ্য জনক ভাবে বাংলাদেশে

বেড়েই চলেছে। এটি একটি অভিন্যাসী বর্জ্য। পলিথিন মাটির সাথে বিক্রিয়া করতে পারে না তাই যুগ যুগ ধরে মাটির সাথে থেকে মাটি দূষণ করে। পলিথিন পরিবেশ দূষণের ১২ টি কারণ এর মধ্যে একটি। পলিথিন মাটির সাথে মিশতে দীর্ঘ অনেক বছর সময় ব্যয় হয়। তাই পলিথিন ব্যবহার পরিবেশের জন্য বিপর্যয়। পলিথিন যদি পোড়ানো হয় তবুও এর ধোয়া তো ক্ষতির কারণ হয়। তাই পলিথিন ব্যবহার পরিবেশের দূষণের উপর মারাত্মক প্রভাব ভালো।

৮. প্লাস্টিক সামগ্রী

বাংলাদেশে দিন দিন প্লাস্টিক সামগ্রীর ব্যবহার বেড়ে চলেছে। প্লাস্টিক সামগ্রী অক্ষত, সহজে ক্ষয় হয় না। প্লাস্টিক মাটির সঙ্গে মেশেনা। দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়। যখন এই প্লাস্টিক গুলো ভেঙে যায় তখন আমরা সাধারণত সেটি বাইরে ফেলে দেই। কিন্তু সে প্লাস্টিক যে আমাদের দেশের
জন্য ক্ষতিকর তা আমরা মাথায় রাখি না। প্লাস্টিক মাটির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। প্লাস্টিক অনেকটা পলিথিনের মতোই। করেছেন যেমন মাটির সাথে বিক্রিয়া করতে পারে না তেমনি ভবিষ্যতে বিক্রিয়া করতে পারে না যার ফলে প্লাস্টিক মারাত্মক ক্ষতিকর। প্লাস্টিকে থাকা উপাদান গুলো মাটির জন্য

উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে। প্লাস্টিক পোড়ানো হলেও সেটিও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। প্লাস্টিক পোড়ানোর সময় কোন হাইড্রোজেন সায়ানাইট গ্যাস চামড়ার জন্য ক্ষতিকর।

৯.জনসংখ্যার আধিক্য

আজকের আর্টিকেলটিতে আলোচিত পরিবেশ দূষণের ১২ টি কারণ এর মধ্যে সবচেয়ে মূল কারণটি হচ্ছে জনসংখ্যার আধিক্য। পরিবেশ দূষণের মূল কারণ জনসংখ্যা আধিক্য। জনসংখ্যার বৃদ্ধির ফলেই সমস্ত দূষণের সৃষ্টি হচ্ছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণেই বায়ু, মাটি, পানি, পরিবেশ সবকিছুই দূষিত হচ্ছে।

 অপরিকল্পিতভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, বাসস্থান এবং চিকিৎসার অর্থাৎ মানুষের মৌলিক চাহিদার পূরণে সংকট দেখা দিচ্ছে। যার ফলে স্বাভাবিকভাবে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে গিয়ে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন শিল্প-কারখানা, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল

ইত্যাদি। আর এই সব থেকে প্রতিদিন ব্যাপক আবর্জনার সৃষ্টি হচ্ছে। যা পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ। শিল্প-কারখানা, হাসপাতাল কলেজ স্কুল সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য পরিবেশের সাথে মিশে পরিবেশ দূষিত করছে।

১০. আর্সেনিক

পরিবেশ দূষণের ১২ টি কারণ এরমধ্যে আরো একটি ভয়াবহ কারণ হচ্ছে আর্সেনিক। গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলার মধ্যে ৬০ টি জেলার পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা WHO এই স্বীকৃতি মাত্রার (০.০৫ মিলিগ্রাম/লিটার ) চেয়ে বেশি। বাংলাদেশের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী ১৯৯৮ সালে
বাংলাদেশের প্রায় ২.২০ লক্ষ মানুষ আর্সেনিক দূষণে আক্রান্ত। তাহলে নিশ্চয় ধারণা করতে পারছেন বর্তমান সময়ে আর্সেনিক দূষণে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা কত হতে পারে। আর্সেনিকের প্রধান কারণ হচ্ছে দূষিত আর্সেনিকযুক্ত পানি।

১১. বৈশ্বিক উষ্ণতা

গ্রীন হাউজ গ্যাস নির্গমনের ফলে ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে অবস্থিত ওজোন স্তর ছিদ্র হয়। ওজোন স্তর ছিদ্র হলে সূর্যের আর্ক তেজস্ক্রিয় বেগুনি রশ্মি পৃথিবীর বৃষ্টির বিনা বাধা প্রকৃত হতে পারে এবং ধুলি কার্বন ও অন্যান্য গ্যাসীয় পদার্থের সাথে ভূ-পৃষ্ঠে অধিক তাপ টাওয়ার ফলে পৃথিবীরপৃষ্টের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় বা পাচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে দুই মেরু ও হিমালয় পর্বত শৃঙ্গে জমজ বাঁধা বরফ বলতে শুরু করেছে। এর ফলে পরিবেশে চরম বিপর্যয়ের সৃষ্টি হবে।

১২. প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব

ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশ একটি দুর্যোগ প্রবণ দেশ। বিভিন্ন ঋতুতে প্রতিবছর নানা ধরনের ভারসাম্য মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হয়। সিডরের কারণে সুন্দরবনের গাছপালা বিনষ্ট হয়। যার ফলে পরিবেশ বিপর্যয়ের সম্মুখীন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা যায়। যেমন: বন্যা, খরা, জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়। আর এইসব দুর্যোগের কারণে পরিবেশ হয়ে পড়ে।

মন্তব্য

আজকে আর্টিকেলটিতে পরিবেশ দূষণের ১২ টি কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। আশা করি ভালো লাগবে। এতক্ষণ সাধ্য থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরও আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

https://www.dyinamicit.com/p/blog-page_16.html

comment url