গর্ভাবস্থায় প্রথম মাসে তলপেটে ব্যথা হয় কেন

গর্ভাবস্থায় প্রথম মাসে পেটে ব্যথা, গর্ভাবস্থায় পেট ব্যথা হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। গর্ভ অবস্থায় নারীরা পেট ব্যথা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভুগে থাকেন। এগুলো
সাধারণ বিষয় তাই অতিরিক্ত চিন্তার কোন কারণ নেই। অনেক গর্ভবতী মেয়েদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কেন গর্ভাবস্থায় পেট ব্যথা হয়, সেটি জানতে পারবেন যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ূন। 
.

ভূমিকা

আপনি যদি একজন গর্ভবতী মেয়ে হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই গর্ভাবস্থায় পেট ব্যথার কারণ, পেট ব্যথা হলে করণীয়, কেমন খাওয়া-দাওয়া করা উচিত এ সম্পর্কে অবশ্যই জানা প্রয়োজন। এর জন্য সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ূন।

গর্ভাবস্থায় প্রথম মাসে তলপেটে ব্যথা হয় কেন

সাধারণত গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস শিশু দ্রুত বড় হওয়ার কারণে জরায় চারপাশে চাপ অনুভব হয়। এইজন্য মাঝে মাঝে তলপেটে তীব্র ব্যথা পেটে ব্যথা, পেট শক্ত হয়ে যাওয়া বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।জরায়ুর পেশিগুলো দীর্ঘয়িত ও প্রচলিত হওয়ার কারণে গর্ভবস্থায় প্রথম মাসে তলপেটে ব্যথা 

অনুভূত হয়। এই সময়ে ব্যথা ও স্বাভাবিক একটি বিষয়। তাই অতিরিক্ত চিন্তার কোন কারণ নেই।গর্ভাবস্থায় প্রথম মাসে তলপেটে অনেকটা পিরিয়ডের ব্যথার মতো অনুভব হতে পারে। গর্ভবস্থায় কালীন সময়ে হরমোনের পরিবর্তন হয় এবং ক্রমবদ্ধমান গর্ভের কারণে গর্ভাবস্থায় পেটে ব্যথা হতে 
পারে। তাই পেটের ব্যথা খুব অতিরিক্ত মাত্রায় না হওয়া পর্যন্ত এটা স্বাভাবিক, যদি আপনার ধৈর্যের বাইরে চলে যায় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা বা পেটে
ব্যথা অনেক কারণে হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু কিছু কিছু কারণ রয়েছে যেমন হরমনের পরিবর্তন হলে 

ব্যথা হয়। এভাবে আরও কিছু কারণ রয়েছে যা খুবই স্বাভাবিক ও কিছু কারণ রয়েছে যার ফলে অতিরিক্ত মাত্রায় পেট ব্যথা হয়। যেমন- পিত্তথলির সমস্যা মুত্রনালীর সংক্রমণ এবং কিডনিতে পাথর হলে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে।

গর্ভাবস্থায় প্রথম মাসে তলপেটে ব্যথা হয় কেন

গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন কারণে তলপেটে বা পেটে ব্যথা হতে পারে। এর অনেকগুলো কারণ রয়েছে বিশেষ কিছু কারণ হলো ইমপ্ল্যান্টেশন, ক্র্যাম্পিং, লিগামেন্টের ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য,পেট ফাঁপা, গ্যাস্টিক সমস্যা যৌন উত্তেজনা ইত্যাদি। ইত্যাদি। আরো কিছু কারণে পেটে অতিরিক্ত ব্যথা হতে পারে জরায়ুর বাইরে গর্ভধারণ করলে হলে পেটে ব্যথা খুব গুরুতর আকার ধারণ করে থাকে। সাধারণত গর্ভাবস্থায় শিশু বড় হওয়ার সাথে সাথে পেটের ব্যথা ও বাড়তে থাকে। গর্ভাবস্থায় একজন মহিলার প্রথম মাস থেকে শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের শারীরিক পরিবর্তন ঘটতে দেখা যায়। বিশেষ করে ১৮ থেকে ২৪ সপ্তাহ গর্ভকালীনের এই সময়ে জরায়ুর হাড়ের প্রসারণ ঘটে থাকে। যার ফলে গর্ভাবস্থায় এই সময় তলপেটে অনেক বেশি ব্যথা হয়। কিন্তু অনেক সময় মহিলাদের পেটের বাম পাশে অথবা পেটে ডান পাশেও ব্যথা হয়ে থাকে। আবার কিছু কিছু ক্ষেতে পেটের উভয় দিকই খুবই যন্ত্রণা করে।

গর্ভাবস্থার পেটে ব্যথা হওয়ার কারণ

পেট কামড়ানো বা ক্র্যাপিং
গর্ভাবস্থায় সাধারণত যত দিন যায় গর্ভের শিশু ও ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। শিশুদের বড় হওয়ার সাথে সাথে জরায়ু প্রসারিত হয়। যখন জরায় প্রসারিত হয় তখন পেটের অন্যান্য অঙ্গের সাথে এটি চাপ সৃষ্টি হয়। এর ফলে পেট ব্যথা হয়ে থাকে। হঠাৎ এ ব্যথা খুব তীব্র আকার ধারণ করতে পারে। এ সময় হজমের
সমস্যা দেখা দেয় যায় কারণ সন্তান বড় হওয়ার কারণে নাড়ির উপর চাপ পড়ে এবং পেট ফাঁপা হয়ে থাকে। যার ফলে মাঝে মাঝে পেট ব্যথা ও হয়ে থাকে এবং খাওয়া দাওয়া অরুচি এই পরিমাণ বেড়ে যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য
গর্ভাবস্থায় পেট ব্যথার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে কোষ্ঠকাঠিন্য। গর্ভবস্থায় মেয়েদের হরমোনের মাত্রা পরিবর্তন হতে থাকে। যার ফলে খাবার হজম এবং মল ত্যাগে অনেক সমস্যা হয় এ কারণে মহিলাদের গর্ভবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।
এক্টোপিক প্রেগনেন্সি
জরায়ুর বাইরে গর্ভধারণ করাতে মেডিকেলের ভাষায় এক্টোপিক প্রেগনেন্সি বলা হয়। সাধারণত স্বাভাবিকভাবে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলনের ফলে জরায়ুর ভেতরে ভ্রূণ সৃষ্টি হয় অনেক সময় সেটি জরায়ুর বাইরের স্থাপিত হয়, এই অবস্থাকে এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি বলে। এর কারণে পেটে ব্যথা হওয়ার পাশাপাশি বাচ্চাকে বাঁচানো অনেকটাই অসম্ভব হয়ে যায় তাই এক্টোপিক প্রেগনেন্সি ট্রিটমেন্ট নেওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় বাচ্চা ও মা দুজনেরই প্রাণের সংশয় দেখা দেয়।
প্রস্রাবে ইনফেকশন
সাধারণত গর্ভবতী মেয়েরা সবচেয়ে বেশি প্রস্রাবে ইনফেকশন এর ঝুঁকির মধ্যে থাকে। যার ফলে পেট ব্যথা প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া ও ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া ইত্যাদি সমস্যার হয়ে থাকে।
কিডনিতে পাথর
গর্ভবতী অবস্থায় পাথর হলে পেটের যেকোন এক পাশ প্রচন্ড ব্যথা হতে পারে সাথে বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে। আপেনডিক্স এর ব্যথা হলেও একই উপসর্গ গুলো দেখা দিতে পারে।
লিগামেন্ট স্ট্রেন
গর্ভাবস্থায় প্রথম মাসে শিশু ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে। তখন শিশুর বৃদ্ধি সাথে সাথে তলপেটে অতিরিক্ত ওজন হয়ে যায়। যা তলপেটে লিগামেন্ট বা পেশিগুলো চাপ সৃষ্টি করে। এর ফলে গর্ভাবস্থায় প্রথম মাস গুলোতে তল পেটে ব্যথা হতে পারে।
গর্ভপাত
গর্ভাবস্থায় গর্ভে শিশু মারা গেলে গর্ভপাত বলে। গর্ভপাত হলে পেট কামড়ানো এবং প্রচন্ড পেট ব্যথা হতে পারে। এছাড়া আরও বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে সেগুলো হলো জ্বর, দুর্বলতা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি।

গর্ভাবস্থায় পেট শক্ত হয় কেন

সাধারণত গর্ভাবস্থায় ঝরে বড় হওয়ার সাথে সাথে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় মাস থেকেই স্বাভাবিকভাবে পেট শক্ত হতে থাকে। প্রসবের কারণে তৃতীয় ত্রৈমাসিকে পেট শক্ত হওয়ার অনুভূতি হতে শুরু হয়। তবে গর্ভকালীন সময়ে শিশু বড় হওয়ার স্বাস্থ্যের সাথে পেটে টানটান অনুভব হয় এবং আপনি মনে করেন

আপনার পেট শক্ত হয়ে আছে। অনেক সময় দেখা যায় সিজারের পর পেট শক্ত হয়ে থাকে এর জন্য চিন্তার কোন কারণ নেই। কয়েক মাস পর এটি নিজে নিজেই সরে যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রথম ত্রৈমাসিকে পেট শক্ত হওয়া অনেকটা গর্ভপাতের লক্ষণ হতে পারে। যদিও এটি কোন নির্দিষ্ট লক্ষণ নয়।

তবে এই সময় নিয়মিত প্রেগনেন্সি ট্রিটমেন্ট করানো উচিত। বাচ্চা এবং মায়ের সুস্থতার জন্য চিকিৎসা অনেক প্রয়োজনীয়। যাইহোক গর্ভাবস্থায় পেট শক্ত হবে এটা স্বাভাবিক কোন চিন্তার কারণ নেই।

গর্ভাবস্থায় পেট শক্ত হলে করণীয়

গর্ভাবস্থায় পেট শক্ত হওয়া একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে অতিরিক্ত শক্ত হচ্ছে কিনা। গর্ভাবস্থায় যদি আপনার এই শক্ত হয়ে যায় তাহলে কিছু ঘরোয়া উপায় গুলো অনুসরণ করতে পারেন -
পর্যন্ত পরিমাণে পানি পান
গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অনেক সময় পানির অভাবে পেটে টানটান বা পেট ব্যথা হতে পারে এবং পানির অভাবে পানি শূন্যতাও দেখা দিতে পারে। তাই অবশ্যই এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। তবে এ বিষয়ে যদি আপনার ডাক্তার আপনাকে কোন পরামর্শ দিয়ে থাকে তবে অবশ্যই সেটি পালন করুন।
পর্যাপ্ত ঘুম বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা
গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম ও সময়মতো ব্যায়াম করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত একজন দৈহিক ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানোর প্রয়োজন। যদি গর্ভাবস্থায় আরেকজন গর্ভবতী মহিলা ৬ থেকে ৮ ঘন্টা পর্যাপ্ত না ঘুমায় তাহলে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। তাই অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে ঘুমানোর জন্য।
নিয়মিত ব্যায়াম
গর্ভাবস্থায় নানা রকম জটিলতা থেকে বাঁচার জন্য প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। গবেষণায় দেখা গেছে যেসব মহিলা গর্ভস্থ নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাদের নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম করলে খাবার হজমে সাহায্য পেট ব্যথার

পরিমাণ কম থাকে। তবে যদি আপনার শরীরের অবস্থা খারাপ হয় এবং ডাক্তার নিষেধ করে ব্যায়াম করার জন্য তাহলে দরকার নেই।পর্যাপ্ত পরিমাণে শাকসবজি খায়বারসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া গর্ভাবস্থায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, প্রোটিন, খনিজ লবণ। তাই গর্ভাবস্থায় খাবার সম্পর্কে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।

গর্ভাবস্থায় বেশি ফাইবারযুক্ত বা আঁশ যুক্ত খাবার খেতে হবে। এবং যেসব খাবারে আয়রন রয়েছে সেসব খাবার গুলো বেশি বেশি খেতে হবে। গর্ভাবস্থায় করতে পারবের শক্ত হলে অল্প অল্প করে খাবার চেষ্টা করবেন। ভাজাপোড়া, কোমর পানীয় আজেবাজে খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
গরম পানির সেঁক
গর্ভবতী সুস্থ থাকতে চাইলে হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন অথবা মালিশ করে নিতে পারেন। ব্যায়ামের পাশাপাশি মালিশেরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। তাই আপনি এই দুটো করতে পারেন। কিন্তু খুব বেশি পরিমাণে গরম পানি ব্যবহার করতে পারবেন না।
ডাক্তারি চেকআপ
গর্ভবস্থায় অবশ্যই মঝে মাঝে ডাক্তারের কাছে গিয়ে চেকআপ করাতে হবে। এই সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চলতে হবে। যদি দেখেন যে পেট অতিরিক্ত শক্ত হয়ে যাচ্ছে এবং ব্যথা করছে তাহলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

গর্ভাবস্থায় পেট ব্যথা হলে করণীয়

গর্ভাবস্থায় পেট ব্যথা হলে বেশি বেশি বিশ্রাম নিতে হবে।বেশিক্ষণ এক পাশে শুয়ে থাকা যাবে না, এপাশ ওপাশ করে শুতে হবে। যতটুকু সম্ভব হাটাহাটি করতে হবে। এই সময় যোগব্যায়াম করা যেতে পারে বা হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। যা আপনার পেশিকে নমনীয় রাখতে সাহায্য করবে। যদি আপনি বুঝতে

পারেন পেটে গ্যাস্টিকের বা পেট ফাঁপার জন্য পেট ব্যথা হচ্ছে বেশি বেশি পানি পান করুন এবং অল্প অল্প খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। গর্ভাবস্থায় একজন নারী প্রতিদিন প্রায় ৮ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করা উচিত। পানি কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ভাজা, চর্বিযুক্ত খাবার এবং নেশা জাতীয় খাবার

এড়িয়ে চলতে হবে। সম্ভব হলে হালকা হালকা ব্যায়াম করতে হবে গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম অনেক কার্যকরী। গর্ভবতী ব্র্যাক্সাটন হিক্স সংকোচন হলে সাথে সাথে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করতে হবে যদি আপনার ব্র্যাক্সাটন হিক্স সংকোচন হয় তাহলে আপনি দাঁড়িয়ে থাকলে শুয়ে পড়বেন এবং শুয়ে। থাকলে বসে 
পড়বেন। এবং আপনি যদি মনে করেন আপনার পেটের ব্যাথা রাউন্ড লিগামেন্ট অথবা ইমপ্লান্টেশন এর কারণে হচ্ছে তাহলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে হবে এমনিতেই সময় অনেক বিশ্রামের প্রয়োজন হয় তবে ব্যায়াম করতে ভুলা যাবে না।গর্ভাবস্থায় পেট ব্যথা হবে এটা স্বাভাবিক বিষয় কিন্তু পেটব্যথা যদি 

অতিরিক্ত হয়ে থাকে, যৌনিতে রক্তপাত, কিছুক্ষণ পরপর ব্যথা, কোমর ব্যথা, প্রস্রাবে সমস্যা, জ্বর, বমি ভাব হয় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। সাধারণত যে সকল পেট ব্যথা স্বাভাবিক হয়ে থাকে সেগুলো ৩০ মিনিট থেকে এক ঘন্টার মধ্যে ভালো হয়ে যায়। যদি এই সময়ের মধ্যে পেটব্যথা 

ভালো না হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তার দেখানো বাধ্যতামূলক। যদি সঠিক সময় সঠিক চিকিৎসা না হয় তাহলে মা ও শিশুর বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। গর্ভবতী মায়েদেরকে অবশ্যই অনেক সচেতনতার সাথে দিন যাপন করতে হবে।

গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস আপনাকে যে লক্ষণগুলো খেয়াল রাখতে হবে

গর্ভাবস্থায় শারীরিক পরিবর্তনে পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য, বমি ভাব, ক্লান্তি পেট ব্যথা, পেট মোচড়ানো, মাথা ঘোরা, খাবারের সমস্যা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে ধরনের প্রথম থেকে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দিন যাপন করা ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। প্রথম দিকে

মাসে অন্তত একবার হলে ডাক্তারেরপরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। যেমন ব্লাড টেস্ট, ইউরিন টেস্ট, আলট্রাসনোগ্রাফি ইত্যাদি।গর্ভাবস্থায় হালকা পেট ব্যথা, মাঝেমাঝে ব্যথা আবার হঠাৎ পেট ব্যথা সবকিছু অনুভব করবেন। গর্ভকালীন সময়ে প্রস্রাবে সমস্যা 
এবং রক্তস্রাব হতে পারে। তাই প্রথম থেকে সঠিক নিয়মে জীবনযাপন করতে হবে যে কোন সমস্যায় ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এ সময় ধূমপান ও মদ্যপান থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। গর্ভাবস্থায় ঘুমানোর আগে অবশ্য রাতে ব্রাশ করে ফ্রেশ হয়ে শুবেন। এবং ঘুম থেকে উঠে সবার প্রথমে ব্রাশ না 

করে মুখ না ধুয়ে কিছুক্ষণ খালি পেটে বসে থাকলে বমি বমি ভাব অনেকটা কমে যায়। সকালে ঘুম 
থেকে উঠে দরজা দিয়ে খাবার না খেয়ে শুকনো জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে বারবার বলা হচ্ছে গর্ভাবস্থায় অল্প অল্প করে খাবার খাবেন এই মানে খাবার কম খেতে হবে এমনটা না। আপনি 

খাবেন তবে অল্প অল্প করে বার বার খাবেন। আপনি যদি দেখেন গর্ভবস্থায় আপনার অতিরিক্ত মাথা ঘুরাচ্ছে, রক্তস্রাব হচ্ছে, খুব দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে, অতিরিক্ত পরিমাণে পেট ব্যথা হচ্ছে তাহলে মনে করবেন আপনি বিপদসীমার মধ্যে রয়েছেন।এর জন্য অতি দ্রুত এই লক্ষণগুলো প্রকাশ পাওয়া সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

মন্তব্য

গর্ভাবস্থায় পেট ব্যথা হবে এটা স্বাভাবিক বিষয়। গর্ভাবস্থায় যেকোনো কোন শারীরিক সমস্যা সঠিক সময় সঠিক চিকিৎসা না করালে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই শরীরের যেকোনো শারীরিকসমস্যা গুলো নিজে নিজেই সমাধান করার চেষ্টা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাকে গর্ভাবস্থায় প্রথম মাসে তলপেটে ব্যথা হয় কেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো। আশা করি উপকৃত হবেন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য এবং আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

https://www.dyinamicit.com/p/blog-page_16.html

comment url