সজনে পাতার উপকারিতা কি

বাংলাদেশে খুব জনপ্রিয় সবজি গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে সজনে বা সজিনা। এর বৈজ্ঞানিক নাম হলো Moringa oleifera। সজনে বিভিন্নভাবে রান্না করা যায়। এর মধ্যে অনেক উপকারিতায় থাকায় গবেষক
গণ  সজনে পাতাকে সুপার ফুড নামে আখ্যায়িত করেন। সজনে পাতার উপকারিতা কি, সজিনার বহুমুখী ব্যবহার , সজনে বা সরজিনার ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পুরো আরটিকেল খেতে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
.

ভূমিকা

সজনে বা সজিনা পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন। এছাড়া পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিংক, ভিটামিন এ ভিটামিন বি , ভিটামিন সি, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান। সজনে পাতা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপাদান এটি বৈশ্বিকভাবেই সজিনাকে সুপার ফুড নামে পরিচিত।

সজিনার বহুমুখী ব্যবহার

সজনে পাতার শিকল এবং অপূর্ণতা শুহ্। সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। সজিনা গাছের বাকল, বীজ, শুঁটি, পাতা, শিকল, কন্দ এবং ফুলসহ গোটা অংশই খাওয়া যায়। প্রমাণ পর্যবেক্ষণ এবং একাধিক বৈজ্ঞানিক গবেষণার ভিত্তিতে জানা যায় সজনায় প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি ও প্রচুর ঔষধি গুন রয়েছে। যুক্তরাষ্টের জন

হাপকিন্স বিশ্ব বদলায় থেকে প্রকাশিত জন হপকিন্স ম্যাগাজিনে সজিনাকে শুষ্ক ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের অপুষ্টি প্রতিরোধে 'শক্তিশালী অস্ত্র' হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সজিনা পাতায় ৯ ধরনের অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো অ্যাসিড সহ ৩৮ শতাংশ আমিষ বিদ্যমান। সজিনা সবজির চেয়ে এর পাতার 
গুনাগুন অনেক গুন বেশি। এতে রয়েছে আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন এ, বি এবং সি। এছাড়া সজিনার বীজে রয়েছে প্রোটিন এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। সজিনা শুধু খাদ্য হিসেবে নয় আরো বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। যেমন পরিপক্ক সজিনা বীজ উদ্ভিজ্জদের হিসেবে পাওয়া যায় যা 

রান্নার কাজে বা মেশিনে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া সজিনার বীজে থাকা আমিষ ব্যাকটেরিয়াকে জমাটবদ্ধ করে আলাদা করে ফেলে। তাই পানীয় জল বিশুদ্ধ করতে নিজের গুড়ো করে পাওয়া পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে। অনেক পুষ্টিবিদ বলেন সতিনায় প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যামিনো এসিড থাকা এতে ত্বক ও চুলের জন্য খুবই উপকারী।

সজনে বা সজিনার ঔষধি গুনাগুন

সজিনা শুধু খাদ্য উপাদান হিসেবে ব্যবহার হয় না সজিনার মধ্যে অনেক ঔষধি গুনাগুন ও বিদ্যমান রয়েছে। সুজিনার বাকল, শিকড়, পাতা,ফুল, বীজ এমনকি এর আঠা ও বিভিন্ন রোগের প্রতিকার হিসেবে কাজ করে থাকে। পাতা বছরে সর্বোচ্চ সাতবার কাটা যায়। খরা-প্রতিরোধী, বর্ধনশীল, দক্ষিণ এশিয়ায় এই

গাছগুলোর অনেক অংশ আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয় বলে 'অলৌকিক গাছের' তমকাও পেয়েছে সজিনা। যুক্তরাষ্ট্রের সরকার দ্বারা পরিচালিত বিশ্বের বৃহত্তম চিকিৎসা গ্রন্থাগার ন্যাশনাল লাইব্রেরী অফ মেডিসিনে প্রকাশিত সজিনার ঔষধি গুনাগুন উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতীয় আয়ুর্বেদিক 

স্বাস্থ্যমতে সজিনা গাছ ৩০০ রকমের রোগ থেকে মানুষকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে। আধুনিক বিজ্ঞান ও এর সমর্থন করে থাকে। প্রাণীদের উপর পরীক্ষাগারে চালানো গবেষণায় দেখা গেছে সজিনা গাছের পাতা ও বীজে সুরক্ষার জন্য জৈব সক্রিয় যৌগ উৎপাদিত হয়। যা ভীষণ উপকারী। ফলে এতে কার্ডিও
প্রতিরক্ষা মূলক এবং প্রদাহ, হাঁপানি, জীবাণু এবং ডায়াবেটিস বিরোধী শক্তিশালী বৈশিষ্ট্য উপাদান রয়েছে, যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিয়ে থাকে, এমন কি শরীরের টিউমার ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধের সাহায্য করে। সজনের শুঁটিতে ওলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ বীজ থাকে যা শরীরের উচ্চমাত্রায় ভালো 

কোলেস্ট্রোলর উৎপাদনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভালো ভূমিকা রাখে। সজিনার প্রচলিত ব্যবহারের উপর একটি সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৩ সালে ওষুধ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সাময়িকী ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ফাইটোথেরাপিতে। এতে বলা হয় সজিনা গাছের শুকনো পাতা কমলা লেবুর ৭ গুন 

ভিটামিন সি, দই এর চেয়ে ৯ গুণ বেশি প্রোটিন, কলার চেয়ে ১৫ গুণ বেশি পটাশিয়াম, গাজরের চেয়ে দশগুণ বেশি ভিটামিন এ রয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য শাকের চেয়ে ২৫ গুণ বেশি আয়রন, দুধের চেয়ে ১৭ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ কোন খাদ্য উপাদানের জন্য যেসব
খাবারের উপর আমরা তুলনামূলকভাবে বেশি নির্ভরশীল হই, সে একই খাদ্য উপাদান কয়েকগুণ বেশি পরিমাণে থাকে সজিনা পাতা, শুঁটি ও বীজের মধ্যে।
এছাড়া সজিনা আরো অনেক কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ক্ষত, প্রদাহ এবং টিউমার প্রতিরোধী হিসেবে সজিনার শিকড়ের নির্যাস উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা রাখে।

সজিনাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় এই সজিনা পাতার রস বা সবজি বা চা ,উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। আবার কোলেস্টেরলের ব্যালেন্সের মাধ্যমে ওজন কমাতেও ভূমিকা রাখে। সজিনা পাতা ভালোভাবে শুকিয়ে নিয়ে সেটি গুড়া করে সংরক্ষণ করলে এটি বিভিন্ন তরকারির সাথে ব্যবহার করা যায় এতে তরকারির স্বাদ অনেক বেশি বেড়ে যায়। আবার চা হিসেবেও বর্তমান সময়ে সজিনার পাতার ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে।

'পুষ্টির ডিমাইট' সজিনা

উদ্ভিদ বিজ্ঞানে গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে সজিনা। উদ্ভিদের প্রজাতি সজিনার বৈজ্ঞানিক নাম Moringa oleirera. বীজের শুঁটির আকৃতির কারণে একে ইংরেজিতে 'ড্রামস্টিক ট্রি' বলা হয়। সজিনা গাছটি খুব সহজেই বৃদ্ধি পায়। এটি বাড়ির আঙিনায় ও ভালো জন্মে। ঔষধিগণ, পুষ্টি ও সারা

 বছর ভালো পাওয়ার জন্য এই গাছকে 'মাল্টিভিটামিন বৃক্ষ' ও বলা হয়ে থাকে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) এই তথ্যমতে সজিনার উৎপত্তিস্থল হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ায়। শীত প্রধান দেশ ছাড়া প্রায় সারা পৃথিবীতে এটি খুব ভালো জন্মে। গ্রীষ্মমন্ডলীয় দেশগুলোতে সারা বছর এর ব্যাপক চাষ হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে বিশ্বে প্রায় ১৩ প্রজাতির সজিনা পাওয়া যায়। এইসব অঞ্চলের প্রধান থেকে শুরু করে ম্যালেরিয়ার বা গনোরিয়ার মতো রোগের চিকিৎসায় সজিনা ব্যবহার করা হয়। একই সঙ্গে পুষ্টিগণ ও ঔষধি গুণ থাকায় সজিনাকে 'অত্যাশ্চর্য বৃক্ষ' ও 'পুষ্টি ডিনামাইট' হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে।

'আয়রন ম্যান' সজিনা

ক্যালিফোর্নিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে বলা হয়, সবজিকে যদি সুপারহিরোদের সঙ্গে তুলনা করা হতো তাহলে সজিনা হতো আয়রন ম্যান। সজিনার মধ্যে এমন এক রাসায়নিক বিন্যাস রয়েছে যার সঙ্গে মিল পাওয়া যায় ব্রকলি'র। গবেষণায় দেখা গেছে ব্রকলি নির্দিষ্ট ধরনের ক্যান্সার

প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং অনেক ক্ষেত্রে অটিজমের আক্রান্তদের মধ্যে আচরণগত লক্ষণ গুলো নমনীয় করে তোলে। বিখ্যাত জেড ফাহে, জন হক কিংস ম্যাগাজিনে প্রকাশিত প্রবন্ধে স্কুল অফ মেডিসিনের লুইস বি এন্ড ডেরোথি কুলম্যান কেমোপ্রটেকশন সেন্টারের পরিচালক গবেষণা করে বলেন

 যে, 'আমি নিশ্চিত যে শেষ পর্যন্ত সজিনাতে ক্যান্সার প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য পাওয়া যাবে'। তিনি সহ অনেক জৈব রসায়নবিদগণ বিশ্বাস করেন যারা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আগামী দশকগুলিতে আরো গরম ও শুষ্ক হয়ে ওঠা অঞ্চলে সজিনা একটি প্রধান খাদ্য উৎস হয়ে উঠতে পারে। বিশ্ব মন্ডলে শুষ্ক ও দরিদ্র অঞ্চলের মানুষরা যেখানে এটি ভালো জন্মায় সেখানে উদ্ভিদটি জীবন রক্ষা করতে হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

চিকিৎসায় সজনের ব্যবহার

অনেক সময় আমাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা বা ফুলে যাওয়ায় সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সজনের শিকড়ের প্রলেপ দিলে ব্যথা ও ফোলা সেরে যায়। শরীর মাথা ব্যথা কান ব্যথার মতো সমস্যায় সজিনা বিশেষভাবে উপকারী।

  • সজনে তে থাকা আঠা মাথাব্যথা সময় কপালে দিয়ে মালিশ করলে ও আঠা দুধের সাথে খেলে ব্যথা সেরে যায়।
  • সজনে ফুলও স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। সজনে ফুল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • সজনে ফুলের রস দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে মূত্রপাথরি দূর হয় এবং হাঁপানি রোগের ক্ষেত্রে বিশেষ উপকারী ভূমিকা পালন করে।
  • সজিনা পাতার রস রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধিতে এবং হৃদরোগ চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
  • সজনে পাতার রসের সাথে লবণ মিশিয়ে বাচ্চাকে খাওয়ালে বাচ্চার পেটে জমা গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর হয় এবং এর চাটনির হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।
  • সজনে পাতার নির্যাস ডায়াবেটিস টাইপ ২ রোগীদের রক্তে গ্লুকোজ কমিয়ে দেয়।
  • সজনে পাতার শাক জ্বর সর্দি দূর করতে বহুমূত্র রোগ দূর করতে অনেক কার্যকরী।
  • শরীরে কোন স্থানে ক্ষত সৃষ্টি হলে ক্ষতস্থান সরিয়ে তোলার জন্য সজনে পাতার পেস্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • সজনে ফল নিয়মিত রান্না করে খেলে গেঁটে বাঁত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • চর্মরোগ, বোধহীনতা, বাত ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সজনে এর বীজের তেল মালিশ করতে পারেন।
  • সজনে শরীরে প্রতিরোধক ব্যবস্থা শক্তিশালী করে তোলে শরীরে থাকা বিষাক্ত দ্রব্য ভারি ধাতু অপসারণ এবং শরীরে রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপি নিতে সহায়তা করে। তাই নিয়মিত এটি খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
  • এছাড়াও শ্বাসকষ্ট, আর্থ্রাইটিস, মাইগ্রেন, চুল পড়া রোগের চিকিৎসায় সজনে কার্যকর ভূমিকা।

বাংলাদেশে সজিনার চাষ

বাংলাদেশের যেসব সবজি বারো মাস পাওয়া যায় তার মধ্যে একটি হচ্ছে সজিনা। বারোমাসি সজিনার জাত প্রায় সারা বছরে বারবার ফলন দিয়ে থাকে। প্রায় সব সময় এ গাছে ফুল কচি শুঁট দেখা যায়।বাংলাদেশের দুই বা তিন প্রকারের সজিনা পাওয়া যায়। বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয় তথ্যমতে,

২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ৮ হাজার ৬৭৫ হেক্টর জমিতে ৮৩ হাজার ৩৮১ মেট্রিক টন সজিনা আবাদ করা হয়েছিল। এবং ২০২২ -২০২৩ অর্থবছরে ২ হাজার ৪৭৩ কেজি সজিনা বাংলাদেশ থেকে বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে।বাংলাদেশ খুলনায় ডুমুরিয়ায় প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেন নবদ্বীপ মল্লিক।

তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে সজিনা পাতার গুঁড়ো করে উৎপাদিত পাউডার বিদেশে রপ্তানি করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে ব্যর্থতার বিষয় এই যে একেবারে হাতের স্পর্শ ছাড়া নির্দিষ্ট উপায় এই গুঁড়ো প্রস্তুত না করে স্যাম্পল পাঠালেও শেষ পর্যন্তত কেনেননি ক্রেতারা। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ বাণিজ্যিকভাবে

সজিনার চাষ শুরু করা হয়নি বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম।তবে বাণিজ্যিকভাবে সজিনার চাষ শুরু করলে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়া যাবে বলে আমি মনে করি।

সজিনার অপকারিতা

সজিনা পাতার মধ্যে থাকা বেশি পরিমাণে পুষ্টিগুণ ঔষধি গুণ বিশেষ বিশেষ ক্ষেতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় কারণে এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।
থাইরয়েড চিকিৎসায়
থাইরয়েড চিকিৎসায় চিকিৎসার ক্ষেত্রে সজিনা সহায়ক ভূমিকা পালন করলেও অনেক চিকিৎসার সময় অন্য কোন ওষুধ মেশালে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে
যাদের ডায়াবেটিকস রয়েছে বেশি পরিমাণে সজি না খেলে তাদের জন্য সমস্যা হতে পারে। কারণ সজিনার পাতা রক্তে শর্করা কমিয়ে দেই। অনেক ক্ষেত্রে খুবই রক্তের শর্করা কমিয়ে দেয়। যা শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
রক্তচাপের জন্য
রক্তচাপ কমাতে সজিনা ব্যবহার হয়। তবে রক্তচাপ কমানোর ওষুধের সাথে এটি খেলে রক্তচাপ অতিরিক্ত মাত্রায় কমে যায় যার ফলে শরীরে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
গর্ভবতী নারীদের জন্য
সজিনা পাতা প্রতিদিনের ক্যালসিয়াম এবং আইরন এর চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি প্রজনন রোধীও হতে পারে।

মন্তব্য

সজনে একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর সবজি। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বিভিন্ন ভিটামিন। এতক্ষণ আমরা সজনে পাতার উপকারিতা কি সে সম্পর্কে অনেক তথ্য জানলাম। আশা করি এইসব তথ্য জেনে উপকৃত হবেন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

https://www.dyinamicit.com/p/blog-page_16.html

comment url