শীতকালে ভ্রমণ এর জন্য জনপ্রিয় ১৪ টি স্থান

 শীতকালে ভ্রমণ এর জন্য জনপ্রিয় ১৪ টি স্থান - ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে উত্তম সময় হচ্ছে শীতকাল। ভ্রমণের মৌসুম হচ্ছে শীতকাল।  আপনি যদি শীতকালে ভ্রমনে যেতে চান তাহলে শীতকালে ভ্রমণের জন্য জনপ্রিয় স্থানগুলো সম্পর্কে আপনার জেনে থাকা প্রয়োজন। আজকের আর্টিকেলটিতে
শীতকালে ভ্রমণ এর জন্য জনপ্রিয় ১৪ টি স্থান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। শীতকালে ভ্রমণ এর জন্য জনপ্রিয় ১৪ টি স্থান  বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত সময় হচ্ছে শীতকাল। আপনি চাইলে শীতকালে দেশের বাইরে কিংবা দেশের মধ্যে দেশের শীর্ষ জনপ্রিয় স্থানগুলোতে ভ্রমণ করতে পারেন। গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত গরমের কারণে কোথাও ভ্রমণ করা অত্যন্ত কষ্ট সাধ্য হয়ে যায় আবার সকালে বৃষ্টিপাতের কারণে রাস্তাঘাটের অবস্থাও অনেক খারাপ থাকে ফলে সহজে ভ্রমণ করার সম্ভব হয় না। তাই ভ্রমণের জন্য শীতকাল বেস্ট বলা যায়। বাংলাদেশে ভ্রমণের জন্য অনেক জনপ্রিয় শীর্ষ স্থান রয়েছে। আপনি ভ্রমণে যাওয়ার আাগে সেসব স্থান সম্পর্কে জানা থাকলে আপনার সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে আপনি বা আপনারা কোথায় ভ্রমণে যাবেন।
.

শীতকালে ভ্রমণ এর জন্য জনপ্রিয় ১৪ টি স্থান 

এখন শীতকালে ভ্রমণ এর জন্য জনপ্রিয় ১৪ টি স্থান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবেঃ

১. শ্রীমঙ্গল

বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ভ্রমণের জন্য শীর্ষ স্থান গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে শ্রীমঙ্গল। শ্রীমঙ্গল সিলেট বিভাগের অন্তর্গত। বাংলাদেশের শীর্ষ ভ্রমণ স্থানগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে শ্রীমঙ্গল। বাংলাদেশি চায়ের রাজ্য বলা যায় শ্রীমঙ্গল। শ্রীমঙ্গলে অনেক চায়ের বাংলো রয়েছে। আপনি যদি চায় প্রেমিক হয়ে
থাকেন এবং আপনি যদি চা বাগান উপভোগ করতে চান তাহলে শ্রীমঙ্গল আপনার ভ্রমণের জন্য বেস্ট একটি জায়গা। শ্রীমঙ্গলে গিয়ে আপনি যদি চায়ের বাংলোতে থাকেন তাহলে যা থাকো পরিবেশে শীতের হিমেল হাওয়া আপনার মধ্যে এক অদ্ভুত রোমান্সের সৃষ্টি করবে। শ্রীমঙ্গলের বাইক্কা বিল, লাউয়াছড়া

অত্যন্ত সুন্দর মনোমুগ্ধকর জায়গা। শ্রীমঙ্গলের বাইক্কা বিলের তাকে অভায়াশ্রম ও লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের জীব বৈচিত্র্য গুলো আপনার সময় সুন্দরভাবে কাটানোর জন্য যথেষ্ট। তবে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বাইক নিয়ে সব সময় প্রবেশ করার অনুমতি থাকে না। তাই আপনি যদি বাইক নিয়ে যান তাহলে
ভাই আপনাকে উদ্যানের গেটের বাইরে রাখতে হবে। ভেতরের জায়গাগুলো যেহেতু আপনার অজানা তাই একজন গাইড সাথে নিয়ে প্রবেশ করলে উদ্যানের ভেতরের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন । আপনি লাউয়াছড়া উদ্যানের ভিতরে প্রবেশের সময় অবশ্যই পানির বোতল সাথে নিয়ে যাবে। কারণ

আপনাকে যেহেতু অনেক দূর হাটাহাটি করে জায়গাগুলোর সৌন্দর্যের অনুভব নিতে হবে আপনি ক্লান্ত হয়ে গেলে পানি আপনার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তার ভিতরে প্রবেশের সময় অবশ্যই পানির বোতল নিয়ে প্রবেশ করতে হবে।

২. জাফলং

জাফলং অত্যন্ত সুন্দর মনোমুগ্ধকর একই দর্শনীয় স্থান। শীতকালে জাফলং এর সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি পায়। জাফলং এর মূল আকর্ষণ হচ্ছে ঝরনা। যদিও শীতকালের ঝরনা দেখতে পাওয়া যায় না কিন্তু তারপরেও শীতের কুয়াশার চাদরে পাহাড়ি পরিবেশটি অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। আপনি যদি পাহাড় পছন্দ
করে থাকেন তাহলে নির্দ্বিধায় জাফলং এ যেতে পারেন। জিরো পয়েন্ট হচ্ছে জাফলং এর একটি আকর্ষণীয় স্থান। আপনি যদি জাফলং এর জিরো পয়েন্টে যান তাহলে জাফলং এই জিরো পয়েন্টের শীতের বাতাস আপনার মধ্যে এক ভিন্ন দারুন অনুভূতির সৃষ্টি করবে। যেহেতু শীতকালে জাফলং এ

শীতের পরিমাণ বেশি থাকে তাই যাদের অল্পতে ঠান্ডা লেগে যায় এবং যারা বাইক নিয়ে ট্যুরে যেতে চান তারা অবশ্যই ভালোমতো শীতের পোশাক ব্যবহার করবেন। তা না হলে আপনার অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৩. কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত শুধু বাংলাদেশে নয় অন্যান্য দেশের টুরিস্টদের জন্য অনেক জনপ্রিয়। প্রতিবছর বাইরের দেশ থেকে প্রায় অনেক মানুষ বা পর্যটকরা বাংলাদেশে আসেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করার ভ্রমণ করার উদ্দেশ্যে। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত হচ্ছে কক্সবাজার সমুদ্র
সৈকত। শীতের সময় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে অন্যান্য দিনে তুলনায় অনেক বেশি জনসমাগমের ভিড় দেখা যায়। আবহাওয়ার কারণে মূলত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঠান্ডার প্রকোপ তুলনামূলক কম থাকে। তাই এই সময় সৈকতের সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা যায়।  শীতকালে ভ্রমণ এর জন্য জনপ্রিয় ১৪টি

স্থানের মধ্যে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে বলা যায় অন্যতম একটি স্থান। কক্সবাজারে অত্যন্ত সুন্দর ভিউ আপনার মনোযোগ আকর্ষণ করবে ও আপনার মধ্যে করবে। আপনি যদি বাংলাদেশের শীর্ষ দর্শনীয় স্থানের দেখা পেতে চান তাহলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত যেতে পারেন। সুন্দর সমুদ্রের সুন্দর

ঢেউ আপনি খুব সহজে অনুভব করতে পারবেন। মেরিন ড্রাইভের ভীষণ রাস্তা কক্সবাজারের সাথে যোগ করা হয়েছে ভ্রমণে এক ভিন্ন আকর্ষণ দেওয়ার জন্য। মেরিন ড্রাইভ রাস্তাটিও বেশ সুন্দর। মেরিন ড্রাইভ দিয়ে টেকনাফে যাওয়া যায় মেইন ড্রয়িং দিয়ে টেকনাফে যাওয়ার সময় আপনি আরো বেশ কিছু জায়গা

দেখতে পাবেন এগুলো হলো হিমছড়ি, হাজামপাড়ার, শামলাপুর, ইনানীর মতো সুন্দর জায়গার গুলো পাবেন। ছেলে মানুষরা বাইকে করে কক্সবাজার বেশি তৃণমূল করতে ভালোবাসে। ছেলেরা যারা আছেন তারা চাইলে বাইক নিয়ে কক্সবাজারে করতে পারেন। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও বিদেশের জন্য অত্যন্ত
জনপ্রিয় টুরিস্ট স্পট। প্রায় ১২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এ অখন্ড সৈকতের শুধু উত্তল ঢেউয়ের দিকেই তাকিয়ে দিনের অনেকটা সময় পার করা যায়। এখন কথা হলো আপনি যদি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে যেতে চান তাহলে কিভাবে যাবেন তাই তো? কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে যাওয়ার জন্য স্থলপথ ও

আকাশ পথ ব্যবহার করা যায়। আপনি ঢাকা থেকে স্থলপথে বাসযোগে ও আকাশপথে সরাসরি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত যেতে পারেন। আপনি যদি ট্রেনে যেতে চান তাহলে আপনাকে থেকে আগে চট্টগ্রামে পৌঁছাতে হবে তারপর সেখান থেকে কক্সবাজার বাসে করে যেতে হবে। কারণ ট্রেনে সরাসরি কক্সবাজার দেওয়া যায় না। চট্টগ্রামের নতুন ব্রিজ অথবা দামপাড়া বাস স্ট্যান্ড থেকে অ্যাভেইলেবল কক্সবাজারের যাতায়াতের বাস পাওয়া যায়।

৪. সেন্টমার্টিন দ্বীপ

কক্সবাজারের মতো সেন্টমার্টিন ও অত্যন্ত জনপ্রিয় টুরিস্ট স্পট। শীতকালে ভ্রমণে জন্য ১২টি শীর্ষস্থান এর মধ্যে একটি শীর্ষ স্থান হচ্ছে সেন্টমার্টিন দ্বীপ। সেন্ট মার্টিন দ্বীপ শীতকালে ভ্রমণের জন্য একটি আদর্শ স্থান। বাংলাদেশের প্রবল দ্বীপ হচ্ছে সেন্টমার্টিন। শীতকালে দেশ-বিদেশের লাখো মানুষের ভিড়
জমে এই সেন্ট মার্টিন দ্বীপে। সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাওয়ার জন্য আপনাকে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে যেকোনো যানবাহনে যেতে হবে টেকনাফে সেখান থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের কোলে সেন্ট মার্টিন এর অবস্থান। ১৬ বর্গ কিলোমিটার সেন্ট মার্টিন দ্বীপটিতে রয়েছে নীল রঙের এক নতুন সংজ্ঞা। অত্যন্ত

অত্যন্ত সুন্দর এই দ্বীপটি। এই দ্বীপটিতে রয়েছে সারিসারি নারিকেল গাছ। এই অঞ্চলের জেলেপাড়া শুটকি ও এলাকার মানুষের জীবনযাপন পর্যবেক্ষণ করলে আপনার জীবনের চিন্তা-ভাবনার অনেক ভিন্নতা আসবে। এইখানকার মানুষজন অত্যন্ত পরিশ্রম করে জীবন যাপন করে থাকে। আপনি যদি অনেক দ্বিরোদ্বন্দ্বই ভুগে থাকেন কোথায় শীতকালে ভ্রমনে যাবেন তাহলে আমার ব্যক্তিগত মতামত থাকবে আপনি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বা সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণ করতে পারেন।

৫. সাজেক ভ্যালি

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভ্রমণ স্থান হলো সাজেক ভ্যালি। শীতকালে সাজেক ভ্যালির সৌন্দর্য অনেক গুন বেড়ে যায়। শীতকালে যেন সাজেককে এক ভিন্নরূপে দেখা যায়। তাইতো যারা ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন তারা শীতকালে সবচেয়ে বেশি সাজেক ভ্যালিতে ছুটে যায়। সাজেক ভ্যালির অবস্থান হচ্ছে
রাঙ্গামাটি জেলায়। সাজেকের অবস্থান রাঙ্গামাটি জেলায় হলেও ভৌগলিক কারণে খাগড়াছড়ির দিঘীনামা থেকে সাজেক ভ্যালি যাতায়াত করা অনেক সহজ হয়। রাঙ্গামাটির ছাদ ছ্যাত ও সাজেক ভ্যালি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। সাজেক ভ্যালি থেকে আকাশ অনেক কাছ থেকে

দেখা যায়। আপনার এমনটি মনে হবে জানো সাদা তুলোর মত মেঘ গুলো আপনি খুব সহজে ছুতে পারবেন। এই সাদা তুলোর মতো মেঘ আপনার মনকে ফ্রেশ করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। সাজেক হচ্ছে এমন আশ্চর্যজনক একটি জায়গা এখানে একই দিনে প্রকৃতির তিনটি দেখা যায়। কখনো খুব গরম,
কখনো বা হঠাৎ বৃষ্টি আবার কখনো বা ঠান্ডা। সাজেক এর পরিবেশ সত্যি মারাত্মক সুন্দর। সাজেক জায়গাটা এতটাই সুন্দর যে মুহূর্তের মধ্যেই আপনার মন ভালো হয়ে যাবে। সাজেকের অনেক আকর্ষণীয় নতুন নতুন খাবার পাওয়া যায়। আপনি শীতকাল সুন্দর মত ভালোভাবে ভ্রমণ করতে চাইলে সাজেক ভ্যালিতে ভ্রমণ করতে পারেন। চাইলে শুধু কাপল রা ভ্রমণে যেতে পারেন আবার পুরো ফ্যামিলি ও যেতে পারেন।

৬. কুয়াকাটা ,পটুয়াখালী

বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত একটি অন্যতম স্থান। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত খুব কাছে থেকে দেখার সুযোগ হয় এ স্থানটিতে। কুয়াকাটা সাগরকন্যা নামে পরিচিত। প্রায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সমুদ্র সৈকতের অবস্থান পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার অন্তর্গত লতাচাপরি
ইউনিয়নের মধ্যে। কুয়াকাটা অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে শুটকি পল্লী, গঙ্গামতির জঙ্গল, ফাতরার বন, লাল কাঁকড়ার দ্বীপ। কক্সবাজারের মত অনেক অভিজাত না হলেও, কুয়াকাটার নিরব শান্ত বেলাভূমি ও ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল কুয়াকাটা কে অনন্য করে তুলেছে। এখন অনেকে মনে প্রশ্ন জাগতে পারেন ঢাকা

থেকে কুয়াকাটা কিভাবে যাওয়া যায়? ঢাকা থেকে কুয়াকাটা যাওয়ার দুটি মাধ্যমে হচ্ছে ও সড়ক পথ ও নদী। পদ্মা সেতু হবার আগে মানুষ ঢাকার সদরঘাট থেকে লঞ্চে করে পটুয়াখালী বা বরিশাল হয়ে তারপর সেখান থেকে কুয়াকাটা যেত। পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকে মাত্র ৫ ঘণ্টায় বাসে করে সরাসরি পৌঁছানো সম্ভব হয়। বর্তমান সময়ে আগের থেকে ভ্রমন সহজতর হয়েছে।

৭.উত্তরবঙ্গ

আপনি যদি শীতকাল পছন্দ করে থাকেন তাহলে শীতকালে ভ্রমণের জন্য একটি সেরা জায়গা হচ্ছে উত্তরবঙ্গ। আপনি এই সময় উত্তরবঙ্গের যেকোনো জায়গা ভ্রমন করতে পারেন। উত্তরবঙ্গের জনপ্রিয় জায়গা গুলোর মধ্যে রয়েছে পঞ্চগড় এবং তেতুলিয়া। তেতুলিয়ার আকর্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে পাগল যদি
পরিষ্কার থাকে তাহলে তেতুলিয়া থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। আবার আপনি যদি পঞ্চগড় জান তাহলে পঞ্চগড় থেকে দোলহতে পাবেন সমতলের চা বাগান। আবার আপনি চাইলে রংপুর থেকে দিনাজপুর, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার মধ্যে যেতে পারেন এই

স্থানগুলোতে রয়েছে প্রচুর বিখ্যাত ঐতিহাসিক স্থাপনা। দিনাজপুরের ঐতিহাসিক স্থান হচ্ছে মন্দির কান্তজিউ ও নয়াবাদের টেরাকোটাশোভিত মসজিদ। আপনি যদি বগুড়া যেতে চান তাহলে বগুড়ায় রয়েছে মহাস্থানগড়, প্রাচীন পুণ্ড্রবর্ধন নগরী, মম ইন রিসোর্ট, বেহুলা লক্ষিন্দরের বাসর ঘর ইত্যাদি

ঐতিহাসিক এবং শীর্ষ ভ্রমণ স্থান। ঐতিহাসিক প্রাচীন পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহার। আপনি যদি ঠাকুরগাঁও যেতে চান তাহলে দেখা পাবেন উত্তরবঙ্গের একমাত্র শালবন শিঙারা ফরেস্টের। তাই আপনার সাথে যদি বেশি সময় থাকে তাহলে আপনি উত্তরবঙ্গে শীতকালে ভ্রমণ করে আসতে পারেন। উত্তরবঙ্গ খুব

সুন্দর একটি জায়গা। শীতকালে ভ্রমণের 12 টি শীর্ষস্থানের মধ্যে উত্তরবঙ্গ একটি। উত্তরবঙ্গ যেমন শীর্ষস্থান রয়েছে তেমনি উত্তরবঙ্গের কিছু কিছু বিখ্যাত খাবারও রয়েছে। যেগুলো আপনি উত্তরবঙ্গ ভ্রমণ করলে সহজে খাওয়ার অভিজ্ঞতা হবে।

৮. বান্দরবান

আপনার যদি মেঘ ছুঁয়ে দেখার প্রবল ইচ্ছা থাকে তাহলে ভ্রমণের জন্য আপনি প্রথম বান্দরবানক বেছে নিতে পারেন। মেঘ ছুঁয়ে দেখার জন্য সর্বপ্রথম যে জায়গার কথা মাথায় আসবে সেটি হচ্ছে বান্দরবান। ভ্রমণের দিক দিয়ে একটি সমৃদ্ধ স্থান হচ্ছে বান্দরবান। সাঙ্গু নদীর পাশে গড়ে ওঠা পাহাড়ি সারি
বান্দরবানের মেঘকে মাথায় নিয়ে হাতছানি দিয়ে থাকে। এই সুন্দর দৃশ্য অনুভব করার জন্য আপনাকে যেতে হবে বান্দরবান। বান্দরবানের আকর্ষণীয় স্থান গুলো হচ্ছে নীলাচল, নীলগিরি, স্বর্ণ মন্দির, শৈলপ্রপাত, মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স হ্রদ, ভ্রাম্যমান বাজার, ছোট চিড়িয়াখানা, চিম্বুক পাহাড়,

আদিবাসীদের গ্রাম, ঝুলন্ত সেতু ইত্যাদি সব কিছু বান্দরবান কে যেমন সমৃদ্ধ করে তুলেছে তেমনি বাংলাদেশের সকল স্থান কে করেছে অনন্য। আপনি যদি বান্দরবানে ভ্রমণ করেন তাহলে এতগুলো শীর্ষ আকর্ষণীয় ভিজিট করতে পারবেন।

৯.নোয়াখালীর নিঝুম দ্বীপ

নিঝুম দ্বীপ নোয়াখালী জেলায় অবস্থিত। বঙ্গোপসাগর ঘেরা ছোট এই দ্বীপটির আয়তন প্রায় ১৪,০৫০ একর। শীতকালে ভ্রমণের জন্য একটি অত্যন্ত সুন্দর জায়গা বলা যায়। নিঝুম দ্বীপে আকর্ষণ হচ্ছে চিত্রা হরিণ। নিঝুম দ্বীপে যে পরিমাণে চিত্রা হরিণের দেখা পাওয়া যায় দেশে আর কোথাও এত পরিমানে চিত্রা
হরিণের দেখা পাওয়া যায় না। পুরো শীতের মৌসুম জুড়ে নিঝুম দ্বীপে থাকে অতিথি পাখিদের আনাগোনা। নিঝুম দ্বীপের মামা বাজার সৈকত নামক জায়গা থেকে খুব সুন্দর ভাবে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করা যায়। নোয়াখালী নিঝুম দ্বীপ অত্যন্ত সুন্দর ভ্রমণ করার মতো একটি জায়গা।আপনি চাইলে ভ্রমণ করার জন্য নিঝুম দ্বীপকে বেছে নিতে পারেন অত্যন্ত আকর্ষণীয় সুন্দর একটি জায়গা, যাও আপনার মন কারাবে।

১০. রাঙ্গামাটি

 শীতকালে ভ্রমণ এর জন্য জনপ্রিয় ১৪ টি স্থান গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে রাঙ্গামাটি। রাঙ্গামাটিতে দর্শন করার মতো অনেক জায়গা রয়েছে। রাঙ্গামাটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হচ্ছে ঝুলন্ত সেতু। রাঙ্গামাটির বিখ্যাত ঝুলন্ত সেতু দেখার জন্য প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ এইখানে ভ্রমণ করতে আসেন। রাঙ্গামাটির
রাস্তায় বাইক চালানোর ফিলিংস পুরোই আলাদা। যারা বাইকার রয়েছেন তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন। কাপ্তাই হ্রদের তীরে তবলাছড়ি বাজার ও রির্জাভ বাজার নামে জনবহুল দুটি লোকাল বাজার রয়েছে। এইখান থেকেই নৌকায় নিয়ে শুভলং বাজারের দিকে গেলে শুভলং ঝর্ণা দেখা যাবে। কিন্তু শীতকালে
এই ঝরনা মনোরম পর্যায়ের থাকে না কিন্তু যাত্রাপথের পাহাড়ি আদিবাসী খাবারের স্বাদ নেওয়ার জন্য কিছু বিখ্যাত রেস্তোর রয়েছে। শীতকালে ঝরনা দেখতে না পেলেও শিখনকার পরিবেশ আপনার নজর কারাবে।

১১. সুন্দরবন

সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট নামে পরিচিত। শীতকালে ভ্রমণের জন্য সুন্দরবন অত্যন্ত ভালো একটি স্থান। সুন্দরবন একটি সুবিশাল বনভূমি। এখানে অসংখ্য জীবজন্তু রয়েছে। ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্য জায়গা পেয়েছে এই সুন্দরবন। সুন্দরবনের আয়তন প্রায় ৬০০০ বর্গ কিলোমিটার। সুবিশাল এই
ম্যানগ্রোভ ফরেস্টটি ওয়াইল্ড লাইফ প্রেমীদের জন্য অনেক জনপ্রিয়। বিশাল এই বনভূমিতে রয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিতা হরিণ, হরিণ, বানর, কুমির, অজগর সাপ, কচ্ছপ ইত্যাদি নানা ধরনের বৈচিত্র্যময় প্রাণী। সুন্দরবনের ভিতরে গিয়ে লঞ্চে করে গহীন বনে ভ্রমণ করতে হয় সেখানকার

মনোমুগ্ধকর পরিবেশের অনুভব করার জন্য। অবশ্য গা ছমছম এলাকায় সবার মনে বাঘের বিকট আওয়াজে আতঙ্কে সৃষ্টি হয়, ভয়ে ভয়ে মাটিতে পা রাখা নিশ্চিতভাবে আপনার ভ্রমণে বাড়তি অ্যাডভেঞ্চারের যোগান দিবে। জীবনে অনেক রকম অভিজ্ঞতা থাকা ভালো।

১২.বাগেরহাট

আপনি যদি সুন্দরবন ভ্রমনে যান তাহলে বাগেরহাট জেলাকে ভ্রমণ পরিকল্পনার সাথে যুক্ত করতে পারেন। বাগেরহাটে রয়েছে প্রাচীন যুগের ঐতিহাসিক ষাট গম্বুজ মসজিদ। এছাড়া বাগেরহাটে আরো কিছু আকর্ষণ রয়েছে এগুলো হলো নয় গম্বুজ মসজিদ, জিন্দাপীর মসজিদ, সিংরা মসজিদ রণ
বিজয়পুর মসজিদ, চুনা খোলা মসজিদ, হযরত আলীর সমাধিসৌধ। এইসব সেটগুলোর কারু কাজ অত্যন্ত সুন্দর। অত্যন্ত নিখুঁতভাবে এই মসজিদগুলো তৈরি করা হয়েছে সেই প্রাচীন যুগে। প্রাচীন ইতিহাসের পাশাপাশি এসব মসজিদে নির্মাণশৈলী মনকে অভিভূত করে থাকে। আপনি চাইলে প্রাচীনকালের এই আদি নিদর্শন গুলো স্বচক্ষে দেখার জন্য বাগেরহাট যেতে পারেন।

১৩.কুতুবদিয়া দ্বীপ, কক্সবাজার

কুতুবদিয়া দ্বীপটি হচ্ছে কক্সবাজার জেলার ছোট উপজেলায় কুতুবদিয়ায়। কক্সবাজার জেলার ছোট উপজেলা কুতুবদিয়ায় গেলে প্রাচীন একটি বাত্তিঘরের ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাওয়া যাবে। দ্বীপের উত্তর প্রান্তে অবস্থিত এ লাইট হাউস টি সমুদ্র পথে চলাচলকারী জাহাজে নাবিকদের পথ দেখাতে দেখাতে
নিজেই পরিত্যাক্ত হয়ে গেছে। এর সঠিক সময় এখনো জানা যায়নি। এই দ্বীপটির আয়তন প্রায় ২১৬ বর্গ কিলোমিটার। ২১৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ছোট এই দ্বীপে রয়েছে একান্ত কাটানোর জন্য নির্জন সমুদ্র সৈকত। এছাড়াও রয়েছে বাংলাদেশের একমাত্র বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র, প্রাকৃতিকভাবে লবণ চাষের স্থান
কুতুব আউলিয়ার মাজার ইত্যাদি। দ্বীপটিতে পৌঁছানোর জন্য প্রথমে চকোরিয়ার মাগনামা ঘাটে যেতে হবে তারপর সেখান থেকে কুতুবদিয়া চ্যানেল পারি দিতে হবে। ঝাউ গাছে ঘেরা দ্বীপের সৈকত এলাকা নীরবতা প্রিয় পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। আপনি চাইলে কুতুবদিয়া দ্বীপে যেতে পারেন। এটিও শীতকালে ভ্রমণ ১২ টি শীর্ষস্থানগুলোর মধ্যে একটি।

১৪. মনপুরা দ্বীপ, ভোলা

মনপুরা দ্বীপটি ভোলা জেলায় অবস্থিত। অত্যন্ত সুন্দর এই দ্বীপটি। এই দ্বীপটি থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত খুব কাছে থেকে দেখা যায়। এখানে প্রচুর হরিণ এর দেখা মিলে। মেঘনা নদীর ভেতরে প্রায় সুমিতা পর্যন্ত স্থাপন করা মনপুরা ল্যান্ডিং বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত পর্যটকদের ও স্থানীয় মানুষের আনাগোনা
থাকে। দ্বীপের আকর্ষণীয় স্থান হচ্ছে মাছে ঘেরা চৌধুরী প্রজেক্ট এবং সারি সারি নারিকেল গাছের বিস্তৃতি, নদীর ধারে সাইক্লিং,সবুজের মাঝে ক্যাম্পিং ইত্যাদি মনপুরা দ্বীপের আকর্ষণীয় স্থান। মনপুরা দ্বীপে যদি যেতে চান তাহলে কিভাবে যাবেন? আপনি যদি মনপুরা দ্বীপে স্থলপথে যেতে চান তাহলে

ঢাকা থেকে ভোলা হয়ে তমুক দিন ঘাটে চিটাগের মনপুরা দ্বীপে যেতে পারেন। এছাড়া আপনি যদি লঞ্চে যেতে চান তাহলে, মনপুরা দ্বীপে যেতে হলে আপনাকে ঢাকার সদরঘাটের লঞ্চে উঠতে হবে। লঞ্চ আপনাকে আমার গন্তব্য স্থানে পৌঁছে দিবে।

এতক্ষন  শীতকালে ভ্রমণ এর জন্য জনপ্রিয় ১৪ টি স্থান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হল।

মন্তব্য

ইতিমধ্যে  শীতকালে ভ্রমণ এর জন্য জনপ্রিয় ১৪ টি স্থান নিয়ে আজকে আর্টিকেলটিকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। শীতকালে আপনি কোথায় দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছাড়া ভ্রমণে যেতে পারেন সেই নিয়ে আজকে আর্টিকেলটি। আশা করি আপনার ভালো লাগবে। আপনার কোন মতামত থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

https://www.dyinamicit.com/p/blog-page_16.html

comment url