সাজেক ভ্রমণ, ঢাকা থেকে সাজেক যাওয়া থাকা খাওয়া গাড়ি ভাড়া করার সকল নিয়ম
সাজেক ভ্রমণ, ঢাকা থেকে সাজেক যাওয়া থাকা খাওয়া গাড়ি ভাড়া করার সকল নিয়ম - আপনি যদি সাজেক ভ্রমণে যেতে চান তাহলে আপনার ঢাকা থেকে যাওয়া থাকা খাওয়া গাড়ি ভাড়া করা সকল নিয়ম সম্পর্কে কিছুটা ধারণা থাকা প্রয়োজন। আপনি যেখানেই ভ্রমণের যান না কেন সে জায়গা সম্পর্কে আগে থেকে কিছুটা ধারণা থাকলে আপনার যাত্রা সহজ হবে। এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি ঢাকা থেকে যাওয়া থাকা গাড়ি ভাড়া করার সকল নিয়ম সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞান লাভ করতে পারবেন। তাই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সাজেক বাংলাদেশের শীর্ষ স্থান গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি স্থান। আপনার যদি ঢাকা থেকে সাজেক যাওয়ার থাকা-খাওয়া গাড়ি ভাড়া করা করার নিয়ম সম্পর্কে কোন ধারণা না থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। সাজেক ভ্রমণ, ঢাকা থেকে সাজেক যাওয়া থাকা খাওয়া গাড়ি ভাড়া করার সকল নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
.
সাজেক ভ্যালি
বাংলাদেশের বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ভ্রমণ স্থান হচ্ছে সাজেক ভ্যালি। সাজেক সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮০০ ফিট উচ্চতায় অবস্থিত। পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে কংলাক পাহাড়ের সাজেক। কংলাক হচ্ছে সাজেকের সবচেয়ে উঁচু স্থান। সাজেক ভ্যালি রাঙ্গামাটি জেলায় বাঘাইছড়ি
আরো পড়ুনঃ বর্ষাকালের উপকারিতা ও অপকারিতা
উপজেলায় অবস্থিত। সাজেক ভ্যালির অবস্থান রাঙ্গামাটি জেলায় হলেও ভৌগলিক কারণে খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যেতে বেশি সহজ হয়। সাজেক যাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে খাগড়াছড়ি হয়ে যেতে হবে। খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকের দূরত্ব প্রায় ৭০ থেকে ৭৩ কিলোমিটার। এবং দীঘিনামা থেকে
সাজেকের দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। যারা ভ্রমণ প্রেমিক রয়েছে তারা অনেকেই সাজেক ভ্যালিকে বাংলার ভূস্বর্গ নামে অভিহিত করেন। সাজেকের প্রকৃতি যেন সকাল বিকাল তার রূপ বদলায়। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঘেরা এই সাজেক। সাজেকের চারপাশে রয়েছে সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো বিস্তীর্ণ
পাহাড়ের সারি, আরো রয়েছে তুলার মত মেঘ। যা সহজে আপনার মনকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম।সাজেক এর প্রকৃত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা। আপনি যদি ভ্রমণের জন্য একটি মনোমুগ্ধকর পরিবেশ চান তাহলে সাজেক আপনার জন্য বেস্ট বলা যায়।
সাজেক যাওয়ার জন্য কোন সময়টা উপযুক্ত
অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা বছরের সব সময় বর্ণিল সাজে সেজে থাকে। আপনি যদি সাজেকে যেতে চান তাহলে আপনার প্রথমে কোন সময় সাজেক ভ্রমণে গেলে ভালো হয়? সাজেক এমন একটি জায়গা যেখানে প্রতিটি মৌসুমে আলাদা আলাদা সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। তবে সাজেক ভ্রমণ করার উপযুক্ত হচ্ছে
জুলাই মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত। এই সময়ে সাজেকের প্রকৃতি বেশি পরিমাণে সতেজ থাকে, যার কারনে শালিকে চারপাশে প্রকৃতি অত্যন্ত সুন্দর দেখায়। এছাড়া সাজেকের চারপাশে বেশি মেঘের খেলা দেখার সুযোগ হবে। তাই আপনি যদি সাজেকের সবচেয়ে সুন্দর রূপ দেখতে চান তাহলে জুলাই থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত সাজেক ভ্যালিতে ভ্রমণ করতে পারেন।
ঢাকা থেকে সাজেক কত কিলোমিটার জেনে নিন
ঢাকা থেকে সাজেক সর্বমোট প্রায় ৩৫৫ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে সাজেক সরাসরি বাসে যাওয়া যায় না। ঢাকা থেকে সাজেকে যাওয়ার জন্য প্রথমে খাগড়াছড়ি পর্যন্ত যেতে হয়। তারপর খাগড়াছড়ি থেকে সিএনজি বা জিপ গাড়িতে করে সাজেকে যাওয়া লাগে।
সাজেক ভ্রমণ, ঢাকা থেকে সাজেক যাওয়া থাকা খাওয়া গাড়ি ভাড়া করার সকল নিয়ম
সাজেক ভ্রমণ, ঢাকা থেকে সাজেক যাওয়া থাকা খাওয়া গাড়ি ভাড়া করার সকল নিয়ম সব কিছু জানতে আর্টিকেলটি পড়ুনঃ
ঢাকা থেকে কোন বাস গুলোতে সাজেক যাওয়া যায়
সাজেক ভ্রমণ, ঢাকা থেকে সাজেক যাওয়া থাকা খাওয়া গাড়ি ভাড়া করার সকল নিয়ম- আপনি যদি ঢাকা থেকে সাজেক যেতে চান তাহলে নিচের বাসগুলোতে পারেন।
- হানিফ পরিবহন
- শ্যামলী পরিবহন
- শান্তি পরিবহন
- ইকোনো ট্রান্সপোর্ট
- দেশ ট্রাভেল
- গ্রীন লাইফ পরিবহন
- খাদিজা পরিবহন
এই সকল পরিবহনগুলোতে এসি, নন-এসি দুটোরই সুবিধা রয়েছে। এসি বাস গুলো ভাড়া তুলনামূলক নন এসি বাস গুলো ভাড়া থেকে বেশি হয়। আপনি চাইলে উপরের বাসগুলোতে ঢাকা থেকে সাজেক যেতে পারেন। তবে ঢাকা থেকে সরাসরি সাজেক যাওয়া যায় না তাই আপনাকে প্রথমে খাগড়াছড়ি পর্যন্ত যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে সাজেক যেতে হবে।
ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি যাওয়ার বাসের সময়সূচী
সাজেক ভ্রমণ, ঢাকা থেকে সাজেক যাওয়া থাকা খাওয়া গাড়ি ভাড়া করার সকল নিয়ম- আমরা প্রায় সবাই জানি ব্যস্ত নগরী অধিকাংশ মানুষ চাকরি করে থাকে। তাই তারা তাদের ছুটির দিনগুলোতে একটু ভ্রমণ করতে ঘুরাঘুরি করতে পছন্দ করে। তাদের ভ্রমণের অধিকাংশেও পছন্দের জায়গা হচ্ছে খাগড়াছড়ি জেলা। খাগড়াছড়ি যাওয়ার জন্য অবশ্যই বাসে বা ট্রেনে যেতে হবে। আপনার সুবিধার্থে নিচে ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি, সাজেক যাওয়ার একটি সময়সূচির তালিকা দেওয়া হলো:
ঢাকা থেকে সাজেক-খাগড়াছড়ি যাওয়ার ভাড়া কত জানুন
সাজেক ভ্রমণ, ঢাকা থেকে সাজেক যাওয়া থাকা খাওয়া গাড়ি ভাড়া করার সকল নিয়ম সব কিছু জানতে পারবেন আর্টিকেলটি পড়লে। ঢাকা থেকে সরাসরি সাজেকে যাওয়া যায় না এজন্য প্রথমে আপনাকে ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি পর্যন্ত তারপর খাগড়াছড়ি থেকে জিপ গাড়ি বা সিএনজিতে সাজেকে পৌঁছাতে
পারবেন। আপনার যদি সাজেকের যাবার জন্য গাড়ি ভাড়া সম্পর্কে জ্ঞান না থাকে তাহলে আপনার সবচেয়ে বুদ্ধিমত্তার কাজ হবে ভ্রমনে যাবার আগে থেকে আশা দেখে যাওয়ার ভাড়া সম্পর্কে জ্ঞান রাখা। এই আর্টিকেলটিতে ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি যাওয়ার ভাড়ার একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলো আশা করি উপকৃত হবেন।
ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি যাওয়ার বাসের কাউন্টারের যোগাযোগ নাম্বার
আপনি যদি ব্যস্ত মানুষ হয়ে থাকেন এবং কোথাও ভ্রমনে যাওয়ার প্ল্যানিং করেন তাহলে আপনার জন্য আপনি যে জায়গাটি ভ্রমণের জন্য সিলেক্ট করবেন সেইখানে যাবার জন্য আগে থেকেই যদি বাসে যেতে চান তাহলে বাসের টিকিট, যদি ট্রেনে যেতে চান তাহলে ট্রেনের টিকিট কেটে রাখা উত্তম। এবং আপনি
যেসব পরিবহনে যেতে ইচ্ছুক সেগুলোর সময়সূচি ও জানা প্রয়োজন। আপনি যদি ঢাকা থেকে সাজেক যেতে চান তাহলে যদিও ঢাকা থেকে সরাসরি সাজেক যাওয়া যায় না খাগড়াছড়ি পর্যন্ত প্রথমে যেতে হয় তাহলে নিচের দেওয়া তালিকা থেকে আপনি বাস কাউন্টারে সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনি যদি আগে করে রাখেন তাহলে সেটি আপনার জন্য ভালো হবে। চলুন তালিকা গুলো দেখা যাক -
ঢাকা থেকে সাজেক ট্রেনে যাওয়ার নিয়ম
সাজেক ভ্রমণ, ঢাকা থেকে সাজেক যাওয়া থাকা খাওয়া গাড়ি ভাড়া করার সকল নিয়ম সব কিছু জানতে পারবেন আর্টিকেলটি পড়লে। ঢাকা থেকে সাজেক সরাসরি যাওয়া যায় না। আপনি যদি ট্রেনে যেতে চান তাহলে আপনি কখনোই সরাসরি সাজেক বা খাগড়াছড়ি কোথাও যেতে পারবেন না। আপনাকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত যাওয়া লাগবে। তারপর সেখান থেকে খাগড়াছড়ি বা সাজেকের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ভাড়া হচ্ছে
- সোনার বাংলা এক্সপ্রেস :৭৮৮ টাকা
- স্নিগ্ধ এসি চেয়ার :৮৫০ টাকা
- শোভন চেয়ার ৪০৫ টাকা
সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা কমলাপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া সময় হচ্ছে সকাল ৭ টায়।
খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাবার উপায়
আমরা আগেই জেনেছি সাজেকের অবস্থার রাঙ্গামাটি জেলায় হলেও ভৌগোলিক অবস্থার কারণে খাগড়াছড়ি দিয়ে সাজেক যাতায়াত সহজতর হয়ে থাকে। তাই সবাই সাজেক যাওয়ার জন্য প্রথমে খাগড়াছড়িতে অবস্থান করে।খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা চত্বরের গেলে আপনি সেখান থেকে সাজেক
যাওয়ার জন্য অসংখ্য জিপ গাড়ি এবং সিএনজি পাবেন। আপনাকে সেখান থেকে জিপ গাড়ি অথবা সিএনজি ভাড়া করে নিতে হবে। আপনার যদি আগে থেকেই জিপ গাড়ি বা সিএনজির ভাড়া সম্পর্কে জানা থাকে তাহলে আপনার জন্য সুবিধা হবে। চলুন এখন খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাওয়ার জন্য চান্দের গাড়ি/ জিপ গাড়ির ভাড়ার তালিকা সম্পর্কে জানা যাক -
খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাওয়ার জন্য চান্দের গাড়ি/ জিপ গাড়ির ভাড়ার তালিকা
জিপ গাড়ির ভাড়া সংক্রান্ত পরামর্শ
- আপনি যদি সাজেকে দুই রাতের বেশি থাকতে চান তাহলে আপনাকে কত টাকা ভাড়া দিতে হবে সেটি আপনি আগে জীপের কাউন্টারে সাথে চুক্তি করে নিবেন।
- খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যেতে প্রায় তিন ঘন্টা সময় লাগে। এবং দিঘীনারা থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা মতো সময় লাগে।
- একটি জিপ গাড়িতে ১০ থেকে ১৩জন যাওয়া যায়।
- আপনি যদি ছুটির দিনে সাজেক ভ্রমণ করতে চান তাহলে অবশ্যই আগে থেকে জিপ গাড়ি বুকিং করে রাখবেন।
- আপনারা যদি সংখ্যায় কম হয়ে থাকেন তাহলে অন্য গ্রুপের সাথে মিলে যাবার চেষ্টা করবেন। তাহলে অন্য গ্রুপের সাথে শেয়ার করে ভাড়া দিতে পারবেন এতে আপনার খরচ কমবে।
- জিপ গাড়িতে ওঠার পর আপনিও অবশ্যই গাড়ির ছাদে ওঠা থেকে বিরত থাকবেন। সাজেকে যাবার রাস্তা আঁকাবাঁকা উঁচু-নিচু হাওয়ায় বিপদজনক। যাতায়াতের সময় অবশ্যই সাবধানে থাকবেন।
খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাওয়ার জন্য সিএনজি ভাড়া তালিকা
সিএনজি ভাড়া সংক্রান্ত পরামর্শ
আপনি যদি সবচেয়ে বেশি থাকতে চান তাহলে অতিরিক্ত কত টাকা আপনাকে দিতে হবে তা আগে থেকেই জেনে নিবেন এবং চুক্তি করে নিবেন।
- একটি সিএনজিতে চারজন যাওয়া যায়। যদি আপনারা সংখ্যায় কম হয়ে থাকেন তাহলে সিএনজিতে যেতে পারেন।
- তবে সিএনজিতে যাওয়ার চেয়ে জিপ গাড়িতে যাওয়ার সুবিধা বেশি। এরজন্য আপনি চাইলে অন্যান্য গ্রুপের সাথে মিলে শেয়ার করে জিপ গাড়িতে যেতে পারেন।
সাজেকে থাকার জন্য রিসোর্ট ও কটেজ
সাজেক ভ্রমণ, ঢাকা থেকে সাজেক যাওয়া থাকা খাওয়া গাড়ি ভাড়া করার সকল নিয়ম সব কিছু জানতে পুরো আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন- সাজেকে ভ্রমণ করার জন্য অবশ্যই আপনাকে সেখানে থাকার প্রয়োজন হবে। যার জন্য প্রয়োজন রিসোর্ট ও কটেজ। আপনার যদি সাজেকে ভ্রমণ করার ইচ্ছা থাকে
তাহলে অবশ্যই আপনাকে এইসব জানা প্রয়োজন। সাজেকে রিসোর্টে থাকা খাওয়ার খরচ কেমন সেসব সম্পর্কে ধারণা থাকা অবশ্যই প্রয়োজন যদি আপনি ভ্রমণে যান। সাজেকে বিভিন্ন কোয়ালিটির ছোট বড় সব মিলিয়ে প্রায় ১০০ টি মত রিসোর্ট রয়েছে। এক রাতের জন্য রুম নিতে চাইলে রিসোর্টে ১৫০০ টাকা
থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া লাগতে পারে। আপনার ভ্রমণে যাওয়ার উদ্দেশ্য সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আর আপনি যদি শুক্রবার বা টিনের যেতে চান তাহলে আমার ব্যক্তিগত মতামত ভ্রমণের ১৫ থেকে ২০ দিন আগে রিসোর্ট বুকিং করে রাখতে পারেন। তা না হলে রিসোর্টে ভালো রুম নাও পেতে
আরো পড়ুনঃ চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা
পারেন। তাই আগে থেকে বুকিং দিয়ে রাখা ভালো। আপনাকে রিসোর্ট বাছাই এর ক্ষেত্রে অবশ্যই অবস্থান ও রিসোর্ট এর কোয়ালিটি কে প্রাধান্য দিতে হবে। রিসোর্টের অবস্থান যদি মূল পয়েন্ট এর থেকে বেশি দূর হয় তাহলে মূল পয়েন্টে পৌঁছাতে আপনার বেশি সময় নষ্ট হবে।এইজন্য সাজেকের মধ্যে মূল পয়েন্টের কাছে রিসোর্ট ভাড়া নেওয়া হবে সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। চলুন এখন কিছু সাজেকের রিসোর্ট ও কটেজ নিয়ে আলোচনা করা যাক -
রিসোর্ট রুংরাং(Resort RungRanh)
সাজেকের মধ্যে বেস্ট রিসোর্ট গুলোর মধ্যে রুংরাং রিসোর্টকে একটি বেস্ট রিসোর্ট বলা হয়। এই রিসোর্টে বসেই দিগন্ত জোড়া সারি সারি পাহাড় এবং মেঘের উড়োউড়ি দেখার সুবর্ণ সুযোগ পাওয়া যায়। এই রিসোর্টের মধ্যে রয়েছে চারটি ডাবল রুম এবং চারটি কাপল রুম। আপনি চাইলে পুরো ফ্যামিলি
যেতে পারেন আবার শুধু কাপলরা যেতে পারেন। এখন রিসোর্ট ভাড়া নিয়ে বলা যাক - সাধারণ দিনগুলোতে রিসোর্টের ডাবল বেড রুমের ভাড়া থাকে ২৮০০ টাকা এবং কাপড় বেডরুমের ভাড়া থাকে ২০০০ টাকা। তবে ছুটির দিনে রিসোর্ট ভাড়া বাড়তি থাকে। ছুটির দিনে ডাবল বেড রুমের ভাড়া থাকে ৩৫০০ টাকা এবং কাপল বেডরুমের ভাড়া থাকে ২৮০০ টাকা। রিসোর্ট বুকিং এর জন্য নিচে দেওয়া নাম্বারগুলোতে যোগাযোগ করতে পারেন।
যোগাযোগ : 01869649817, 01884710723
রুন্ময় রিসোর্ট (Runmoy Resort)
এটি দুই তলা রিসোর্ট। এই রিসোর্টে মোট পাঁচটি রুম রয়েছে। নিচ তলায় তিনটি এবং উপরের তলায় দুইটি কক্ষ রয়েছে। প্রতিটি রুমে দুই জন থাকতে পারবেন। তবে ৬০০ টাকা বাড়তি দিয়ে আপনার প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত বেডের ব্যবস্থা করা যাবে। নিচ তলার রুমের থেকে উপরের তলার রুমগুলো ভাড়া তুলনামূলক বেশি। নিচ তলা রুমের ভাড়া ৪৪৫০ টাকা এবং উপরের তলার প্রতিটি কক্ষের ভাড়া ৪৯৫০ টাকা। রুন্ময় রেসোর্ট টি বুকিং করার জন্য নিচের দেওয়া নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।
যোগাযোগ : 0186547688
সাজেক রিসোর্ট
সাজেক রিসোর্ট টি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত। এসি রুম ও নন এসি রুম ভেদে ভাড়া ১০,০০০থেকে ১৫,০০০হাজারের মতো। এই রিসোর্ট টিতে সেনাবাহিনী বা প্রথম শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ডিসকাউন্ট এর ব্যবস্থা রয়েছে। এই রিসোর্ট টিতে বুকিং এর জন্য নিচের দেওয়া নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন -
যোগাযোগ:0184707395, 01769302370,01859025694.
মেঘপুঞ্জি রিসোর্ট( Meghpunji Resort)
সাজেকের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন রিসোর্ট গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে এই মেঘপুঞ্জি রিসোর্ট টি। সুন্দর ইকো ডেকোরেশন এবং আকর্ষণীয় লান্ডোস্কপি ভিউ পাওয়া যায় এই রিসোর্ট টি থেকে। এই রিসোর্টের প্রতিটি কটেজ এ সর্বোচ্চ চারজন থাকা যায়। প্রতিটি কটেজের ভাড়া ৪০০০ টাকা থেকে ৪৫০০ টাকা পর্যন্ত। বুকিং এর জন্য নিচে দেওয়া নাম্বার গুলোতে যোগাযোগ করুন।
যোগাযোগ : 01815761065, 01884208060.
জুমঘর ইকো রিসোর্ট (Jumghor Eco Resort)
জুমঘর ইকো রিসোর্ট টি সাজেকের ভালো রিসোর্ট গুলোর মধ্যে আরও একটি রিসোর্ট। এই রিসোর্ট টিতে পৃথক পৃথক কটেজে মোট ছয়টি কাপল রুম রয়েছে। প্রতিটি রুমে সর্বোচ্চ চারজন থাকতে পারবে। প্রতিটি কটেজের ভাড়া ৪০০০ টাকা করে। বুকিং এর জন্য নিচে দেওয়া নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।
যোগাযোগ : 01884208060.
মেঘ মাচাং(Megh Machang)
এই রিসোর্ট টি ব্র্যান্ডিং বিবেচনায় সাজেকের অন্যতম একটি রিসোর্ট। এই রিসোর্ট থেকে সাজেকের অন্যতম সেরা ভিউ পাওয়া যায়। মেঘ মাচাং রিসোর্টের রুম হচ্ছে পাঁচটি। রিসটে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিটি রুম ভাড়া ৩৫০০ টাকা থেকে ৪৫০০ টাকা পর্যন্ত। বুকিং এর জন্য নিচে দেওয়া নাম্বারে যোগাযোগ করুন।
যোগাযোগ : 01822168877.
ম্যাডভেঞ্চার রিসোর্ট( Madventure Resort)
এই রিসোর্ট এর প্রতি তলায় রয়েছে প্রশান্ত বারান্দা। পানি ও ইলেকট্রিসিটি এর সুব্যবস্থা। এ রিসোর্টে কাপল ক্লাসিক রুম ভাড়া ৩৫০০ টাকা, ডাবল ক্লাসিক রুম ভাড়া ৩৫০০ টাকা এবং প্রিমিয়াম কাপল রুমের ভাড়া ৪০০০ টাকা। বুকিং এর জন্য নিচে দেওয়া নাম্বারে যোগাযোগ করুন।
যোগাযোগ : 01885424242.
সাজেকে কম খরচের কিছু রিসোর্ট
সাজেক ভ্রমণ, ঢাকা থেকে সাজেক যাওয়া থাকা খাওয়া গাড়ি ভাড়া করার সকল নিয়ম- যাদের বাজেট কম রয়েছে তারা কম খরচে রিসোর্ট গুলোতে যেতে পারেন। এই রিসোর্টগুলোতে অন্যান্য রিসোর্ট এর তুলনায় ভাড়া কম হয়ে থাকে চলুন এই রিসোর্টগুলো সম্পর্কে জানা যাক -
মেঘের ঘর রিসোর্ট (Megher Ghor Resort)
কম খরচে ভালো রিসোর্ট গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে মেঘের ঘর রিসোর্ট। এই রিসোর্ট টিতে রয়েছে আটটি রুম । এই রিসোর্ট এর রুম ভাড়া করবে ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা মধ্যে। বুকিং এর জন্য নিচের দেয়া নাম্বারে যোগাযোগ করুন।
যোগাযোগ : 01842605788.
আলো রিসোর্ট (Alo Resort)
এটি সাজেকের একটু আগে রইলুই পাড়াতে অবস্থিত। এখানে ছয়টি রুমের মধ্যে চারটি ডাবল রুম এবং দুটি করে বেড রয়েছে। এই রিসোর্টের রুম ভাড়া প্রতি রাতের জন্য ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। বুকিং এর জন্য নিচের দেওয়া নাম্বারে যোগাযোগ করুন।
যোগাযোগ : 01841000645.
লুসাই কটেজ ( TGB Lushai Cottage)
এই রিসোর্ট টিতে সব ধরনের রুমের ব্যবস্থা রয়েছে। এটি সাদা মাটা ভালো একটি রিসোর্ট। রুম ভাড়া ২০০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা মধ্যে হয়ে থাকে। বুকিং এর জন্য নিচের দেয়া নাম্বারে যোগাযোগ করুন।
যোগাযোগ : 01634198005.
পাহাড়িকা রিসোর্ট( Paharika Resort)
যারা কম বাজেটের মধ্যে ভালো রিসোর্ট করছেন তারা এই রিসোর্ট টিতে আসতে পারেন। এই রেসিপিতে প্রায় ১২টি মত রুম রয়েছে। প্রতিটি রুমের ভাড়া ১০০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। বুকিং এর জন্য নিচে দেওয়া নাম্বার এই যোগাযোগ করুন।
যোগাযোগ : 01871771777, 01724658766.
হফং তং (Hofong Tong)
কম বাজেটের মধ্যে একটি ভালো রিসোর্ট এটি। এই রিপোর্টটিতে ছয়টি রুম রয়েছে। প্রতিটি রুমের ভাড়া ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে। বুকিং এর জন্য নিচে দেওয়া নাম্বারে যোগাযোগ করুন।
যোগাযোগ : 01869 649 817.
আদিবাসী ঘর (Adivasi ghor)
আপনি যদি অনেক কম খরচের মধ্যে থাকতে চান তাহলে আদিবাসীদের ঘরে থাকতে পারেন সেখানে বন্ধু-বান্ধব, ফ্যামিলি, কাপলরাও থাকতে পারবে। আদিবাসী ঘরে থাকার জন্য জন প্রতি ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা লাগতে পারে।
সাজেকে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা
সাজেক ভ্রমণ, ঢাকা থেকে সাজেক যাওয়া থাকা খাওয়া গাড়ি ভাড়া করার সকল নিয়ম- সাজেকের প্রায় সব রিসোর্টকে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। আবার অনেক রেস্টুরেন্টও রয়েছে। আপনি চাইলে রেস্টুরেন্টে খেতে পারেন। যেহেতু সব রিসটে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা আছে তাই আগে থেকে রিসোর্ট গুলোতে বলে রাখলে আপনার পছন্দমত তারা রান্নার ব্যবস্থা করবেন, সেক্ষেত্রে প্রতিবেলায় প্রতি জনের
আরো পড়ুনঃ দাঁতের হলুদ দাগ দূর করার উপায়
ক্ষেত্রে ১০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। আর মেনু হিসেবে পাবেন ভাত, আলু ভর্তা, মুরগির মাংস, সবজি ইত্যাদি। আপনি চাইলে রাতে বারবিকিউও খেতে পারেন। তাছাড়া অনেক বারবিকিউ রেস্টুরেন্টও রয়েছে আপনি চাইলে সেখানেও বারবিকিউ খেতে পারেন। সাজেকে স্বল্প টাকায় আনারস, পেঁপে, কলাসহ অনেক সুস্বাদু পাহাড়ি ফল পাওয়া যায়।
সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ টিপস
সাজেক ভ্রমণ, ঢাকা থেকে সাজেক যাওয়া থাকা খাওয়া গাড়ি ভাড়া করার সকল নিয়ম সব কিছু জানতে পারবেন আর্টিকেলটি পড়লে।সাজেক ভ্রমণের ক্ষেত্রে আপনাকে বেশ কয়েকটি বিষয়ে সচেতন থাকা লাগবে এগুলো হলো -
- সাজেকের শুধুমাত্র এয়ারটেল রবি ও টেলিটক সিমের নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়। তাই আপনি যদি গ্রামীণফোন ব্যবহার করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে এয়ারটেল বা রবি সিমের মধ্যে যেকোনো একটি সিম আপনার সাথে নিয়ে যাবেন।
- সাজেক যাবার পথে রাস্তা অনেক আঁকাবাঁকা, উঁচু নিচু বিপদজনক পূর্ণ। তাই জিপে ভ্রমণের সময় জিপের ছাদে ওঠা থেকে বিরত থাকুন।
- সাজেকে অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ নেই। রেস্টুরেন্টগুলোতে সোলার পাওয়ার ও জেনারেটর এর ব্যবস্থা রয়েছে। তাই ফোন চার্জে দেওয়ার জন্য পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে যাবেন।
- আদিবাসীরা অনেক সহজ সরল মানুষ হওয়ায় তাদের সাথে ছবি তোলার আগে অবশ্যই তাদের অনুমতি নিয়ে ছবি ওঠাবেন। তারা যদি অনুমতি না দেয় তাহলে ছবি তোলা থেকে বিরত থাকবেন।
- আদিবাসীরা অনেক সহজ সরল প্রকৃতির মানুষ তাই তাদের সাথে ভদ্র ব্যবহার করবেন এবং তাদের কালচারের প্রতি সম্মান দেখাবেন।
- সাজেকে যেতে কোনো গাইডের প্রয়োজন হয় না।
- যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকবেন।
- আপনি যদি ছুটির দিনে সাজেকে যেতে চান তাহলে অবশ্যই ১৫-২০ দিন আগে থেকে রিসোর্ট বুকিং করে রাখবেন। না হলে আপনাকে ঝামেলায় পড়তে হবে।
- যদি কেউ দুই-তিন দিনের জন্য ভ্রমনে যায়, তাহলে গাড়ি বসে না রেখে শুধু যাবার জন্য গাড়ি ঠিক করবেন।ফিরে আসার সময় অন্য গাড়িতে আসতে পারবেন সেটাতে সমস্যা নেই। আপনি চাইলে দিঘীনালা থেকে ফোন করে গাড়ি পাঠায়ে ফেরত আসতে পারবেন।
- সাজেক যাবার পথে নিরাপত্তা বাহিনীদেরকে ভ্রমণকারী সদস্যদের তথ্য নিতে হয়। তাই নিরাপত্তা স্বার্থে তাদেরকে আপনার তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন।
মন্তব্য
সাজেক অত্যন্ত সুন্দর মনোমুগ্ধকর একটি জায়গা। আপনি নির্দ্বিধায় সাজেকে ভ্রমণ করতে পারেন। আজকের আর্টিকেলটিতে সাজেকে ভ্রমণ সংক্রান্ত বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। সাজেক ভ্রমণ, ঢাকা থেকে সাজেক যাওয়া থাকা খাওয়া গাড়ি ভাড়া করার সকল নিয়ম সবকিছু নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগেছে।এবং উপকারে আসবে। আপনার যদি মতামত থেকে থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট বক্সে মন্তব্য করতে পারেন। এতক্ষন সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
https://www.dyinamicit.com/p/blog-page_16.html
comment url