মাল্টা খাওয়ার উপকারিতা
মাল্টা খাওয়ার উপকারিতা - আপনি কি মাল্টা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনি একদম জায়গায় এসেছেন। অত্যন্ত পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফলটি সারা বছর পাওয়া যায়। আমাদের অনেকের ধারণা মাল্টাই শুধু হয়তো ভিটামিন সি পাওয়া যায়। কিন্তু আমাদের এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। মাল্টার রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, বিটা ক্যারোটিন। এই আর্টিকেলটিতে মাল্টা খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে সাথেই থাকুন।মাল্টা খাওয়ার উপকারিতা জানতে পুরো আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
মাল্টা খাওয়ার উপকারিতা অনেক। মাল্টা সারা বছর বাজারে সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়। এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি ফল। মাল্টাই রয়েছে অনেক ধরনের পুষ্টিগুণ। শরীরে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের অভাব পূরণ করতে বেশ কার্যকরী মাল্টা। মাল্টা খাওয়ার উপকারিতা অনেক। মাল্টা রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এখন মাল্টা খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। মাল্টা খাওয়ার উপকারিতা জানতে হলে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
.
মাল্টা খাওয়ার উপকারিতা
মাল্টা অনেক উপকারী একটি ফল। মাল্টার মধ্যে রয়েছে বহু গুষ্টিগুণ। মাল্টা খেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের অভাব পূরণ হয়। চলুন মাল্টার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক-
ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করতে
মাল্টায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। অন্যান্য ফলের তুলনায় মালটাই বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। তাই মালটা খেলে শরীরের ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ হয়। আমাদের শরীরে ভিটামিন সি এর অভাবে অনেক রোগ বালায় এর সৃষ্টি হয়। মালটা খেলে ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ হয় সেসব
রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম মাল্টাই ৩২ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি পাওয়া যায়। কেউ যদি প্রতিদিন একটি মাল্টা খায় তাহলে তার দেহে আধা ভাগ ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে। তাহলে আশা করি বুঝতেই পারছেন মাল্টা খাওয়ার উপকারিতা কতটা।
দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে
মাল্টায় থাকা ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে বেশ কার্যকরী। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখার জন্য আপনি চাইলে প্রতিদিন একটি করে মাল্টা খেতে পারেন। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখার জন্য ভিটামিন এ চোখের জন্য উপকারি। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে চাইলে আপনার প্রতিদিন একটি করে মাল্টা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। এটা আপনার দৃষ্টি শক্তিকে ভালো রাখতে বিশেষভাবে অবদান রাখবে।
আরো পড়ুনঃ চোখ ভালো রাখার উপায় কি
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
মাল্টা রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও হেসপিরিডিন। যার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। মাল্টায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে মাল্টা ওজন কমতেও সাহায্য করে। এছাড়াও মালটা যাদের রক্তে চর্বির পরিমাণ বেশি তাদের রক্তে চর্বি পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। মালটা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ
করে থাকে, তাই যাদের বহুমূত্র রোগ আছে তারা নিশ্চিত হয় মাল্টা খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন। মাল্টাই ম্যাগনেসিয়াম থাকার কারণে এটি ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই যাদের ব্লাড প্রেসারের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত মাল্টা খেতে পারেন।
ওজন কমাতে
মাল্টা রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ওজন কমাতে সহায়ক। আপনার ওজন কমানোর ডায়েট চার্টের সাথে মাল্টা যোগ করতে পারেন। মাল্টায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে। ওজন কমানোর জন্য প্রতিদিন মাল্টা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
লিভারের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখতে
মাল্টার মধ্যে থাকা উপাদান গুলো লিভার কে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। লিভার কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে মাল্টা বেশ উপকারী একটি ফল। নিয়মিত মাল্টা খেলে লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
জন্ডিস রোগ নিরাময় করতে
মাল্টা জন্ডিস রোগ নিরাময় করতে সাহায্য করে। জন্ডিস একটি লিভার জনিত রোগীর জীবাণু। মালটাই থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো এই জীবাণু ও ধ্বংস করতে সক্ষম করে। মাল্টা একটি সহজপাচ্য খাদ্য। যা খুব সহজে হজম করা যায়। মাল্টা লিভার কে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাইলে লিভার যদি ঠিক থাকে তাহলে রোগ জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি বেশি হয়। যার কারণে জন্ডিস রোগ থেকেও নিরাময় পাওয়া যায়।
পাকস্থলী সুস্থ রাখতে
নিয়মিত মাল্টা খেলে পাকস্থলী ও সুস্থ থাকে। মাল্টা খাওয়ার উপকারিতা অনেক। মধ্যে থাকো পুষ্টি উপাদান গুলো পাকস্থলীর আলসার ও কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। মাল্টা পাকস্থলীতে কোমল রক্ত সাহায্য করে। শরীরে যেকোনো ধরনের ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে মাল্টা গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে থাকে। মাল্টায় থাকা পটাশিয়াম, ইলেক্ট্রোলাইট বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং গুরুত্বপূর্ণ কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমকে ঠিক রাখতে সহায়তা করে। যা পাকস্থলীকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে
মাল্টা রয়েছে সামান্য পরিমাণ ক্যালরি। মালটা শরীর থেকে টক্সিক কোলেস্টেরল কম করে ভালো কোলেস্টেরল উৎপাদন করতে সাহায্য করে। যার ফলে নিয়মিত মাল্টা খেলে শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মাল্টা যোগ করতে পারেন।
দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে
মাল্টাই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য রক্ষাতে বিশেষভাবে কার্যকরী। মাল্টাই বিটা ক্যারোটিন উপস্থিত থাকার কারণে সেল ড্রামেজ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। মাল্টা চুল, দাঁত, ত্বক, নখের পুষ্টি যোগায়। ঠোঁটের ঘা, জিহ্বার ঘা,জ্বরের সময় জ্বর ঠোসা সহ, ত্বক জিহ্বার বিভিন্ন রোগ ভালো করতে মাল্টা বেশ কার্যকরী।
আরো পড়ুনঃ দাঁতের মাড়িতে ক্যান্সারের লক্ষণ
মুখের ঘা দূর করতে
মুখের ঘা ঠিক করতে ভিটামিন সি অত্যন্ত কার্যকরী। মাল্টা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। তাই যদি কারো মুখের ঘা এর সমস্যা তৈরি হয় তাহলে নিয়মিত কিছুদিন মাল্টা, আমলকি আমড়া ইত্যাদি অর্থাৎ যেসব খাবারে ভিটামিন সি পাওয়া যায় সেসব খাবার খেতে পারেন। ভিটামিন সি জাতীয় খাদ্য খেলে ওষুধ ছাড়াই মুখের ঘা দূর হবে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে
মাল্টার মধ্যে পেকটিন নামক এক ধরনের ফাইবার পাওয়া যায়। যা কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়া মাল্টায় থাকা ভিটামিন সি শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি ব্রেস্ট ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধও সাহায্য করে। এছাড়াও মাল্টায় থাকা লিমিনয়েড উপাদান মুখ,পাকস্থলী, ফুসফুস ও ত্বকের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে
আমরা আগে জেনেছি মাল্টা একটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল। যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমূহের সমৃদ্ধ উৎস। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের সতেজতা বৃদ্ধি করে। যার কারণে নিয়মিত মাল্টা ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। মাল্টায় থাকা বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান গুলো ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আপনি যদি আপনার ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে চান তাহলে নিয়মিত মাল্টা খেতে পারেন। মাল্টা চুল, দাঁত, ত্বক ও নখের পুষ্টি যোগায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে
মাল্টা রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, ফসফরাস, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপদান। যা শরীরে বিভিন্ন ভিটামিনের অভাব পূরণ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। মাল্টায় থাকা ভিটামিন সি রক্তের ভেতরে থাকা সেই রক্ত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে বিশেষভাবে
অবদান রাখে। নিয়মিত মাল্টা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত মাল্টা খেলে দাঁতের অসুখ কম হয়ে থাকে। এছাড়া মাল্টা খেলে জিহ্বার ঘা, ঠোটের ঘা, জ্বরের সময় জ্বর ঠোসা, জিহ্বার বিভিন্ন ধরনের রোগ ভালো করতে মাল্টা বেশ কার্যকরী। মাল্টা ত্বকের সুরক্ষায় ও অত্যন্ত
কার্যকরী। যেমন শীতের সময় ঠোঁট ফাটা হাতের তালু ফাটা, পায়ের তালু ফাটা প্রতিরোধ করতে সক্ষম। মাল্টা সর্দি, নাক বন্ধ থাকা, গলা ব্যথা, জ্বর জ্বর ভাব, টনসিল, হাঁচি কাশি, মাথাব্যথা, ঠান্ডা জনিত দুর্বলতার সহ এ জাতীয় সকল সমস্যা গুলো পরিত্রাণের একটি ভালো উৎস হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত মাল্টা তো খেলে এ ধরনের সকল রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে ।
সবুজ মাল্টার উপকারিতা
বাংলাদেশে অধিকাংশ যে মাল্টা চাষ হয় তার বেশিরভাগ হয়ে থাকে সবুজ রঙের। এটি যে পরিমাণ সুস্বাদু তার থেকে বেশি পুষ্টিকর। এই সবুজ মাল্টা সম্পূর্ণ দেশীয় হওয়ায় বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সবুজ মাল্টা রয়েছে ভিটামিন সি ভিটামিন এ,ভিটামিন বি, পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটাকারোটিন ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান। এইসব পুষ্টি উপাদানগুলো মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার উপকারিতা
বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। সবুজ মাল্টা ফ্যাট মুক্ত এবং কম ক্যালরি যুক্ত। যার কারনে সবুজ মাল্টা ত্বকের বলিরেখা দূর করতে এবং ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখতে বিশেষভাবে অবদান রাখে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন। যা সবুজ মাল্টাতে পাওয়া যায়। তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নিয়মিত সবুজ মাল্টা খান।
খালি পেটে মাল্টা পেলে কি গ্যাস হয়
আমি কেউ মনে প্রশ্ন থাকতে পারে, খালি পেটে মাল্টা খেলে কি গ্যাস হয়? উত্তর হচ্ছে খালি পেটে মালদা ছেড়ে গ্যাস্টিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে যাদের হজম ক্ষমতা ভালো তাদের ক্ষেত্রে খালি পেটে মাল্টা খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় না। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে গ্যাস্ট্রিক খাওয়া সম্ভাবনা
থাকে। যারা অসুস্থ রোগী বা কিডনিতে পাথর আছে এমন রোগীদেরকে মান তোর রস খাওয়ালে গ্যাস্টিক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে কিন্তু যাদের হজম ক্ষমতা বেশি তাদের ক্ষেত্রে গ্যাস্টিক হওয়া সম্ভাবনা নেই। আসলে মাল্টা খেলে গ্যাস্ট্রিক হবে কিনা সেটি নির্ভর করে ব্যক্তির স্বাস্থ্যের উপর। যদি কারো
হজম ক্ষমতা বেশি হয়ে থাকে তাহলে তার ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবে না এবং যদি কারো হজম ক্ষমতা কম হয়ে থাকে তাহলে তার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে একসাথে বেশি পরিমাণে মাল্টা খাওয়া যাবে না। আপনি যদি বুঝতে পারেন যে মাল্টা খাওয়ার জন্য আপনার গ্যাস ফর্ম বেশি হচ্ছে হলে মাল তো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। আর যদি আপনার কোন সমস্যা না হয় তাহলে নিয়মিত মাল্টা খেতে পারেন।
মাল্টার খোসার উপকারিতা
শুধু যে মাল্টা আমাদের জন্য উপকারী তা নয় মাল্টা তার খোসাও জন্য অনেক উপকারী। আমরা মাল্টা খাওয়া শেষে খোসা ফেলে দিই কিন্তু আমরা যদি মাল্টার খোসার উপকারিতা জানি তাহলে মাল্টার খোসা না ফেলে সেটি বিভিন্ন কাজে লাগাতে পারি। চলুন মাল্টার খোসার উপকারিতা জানা যাক -
- মাল্টার খোসা সুগন্ধি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। অর্থাৎ আপনি মাল্টার খোসা দিয়ে রুম স্প্রে বানিয়ে রুমকে একটা সুন্দর স্মেলে ভরিয়ে রাখতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে মালটার খোসা এবং কিছু সুগন্ধি মসলা পাতিলে পানি নিয়ে চুলায় পাতিলটি বসিয়ে পানি ফুটে ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এভাবে আপনার রুমের মধ্যে রেখে দিলে কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখবেন আপনার রুমটি সুগন্ধে ভরে উঠেছে।
- মাল্টার খোসায় লাইকোপেন নামক একটি উপাদান রয়েছে যা চামড়ার ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- মাল্টার খোসাতে অনেক প্রোটিন পাওয়া যায়। যা আমাদের দেহ এবং ত্বকের জন্য অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যসম্মত। মাল্টার প্রসাব রুটিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং প্রোটিনের ঘাটতি যোগাতে সাহায্য করে।
- মাল্টার খোসাতে সাইট্রিক এসিড থাকার কারণে এটি ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে অবদান রাখে।
- মাল্টার খোসা ব্রনের দাগ সহ, মেস্তার দাগ বিভিন্ন ধরনের দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
মাল্টা ফলের অপকারিতা
- যারা বেশিরভাগ সময় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবে তাদের মাল্টা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত কারণ মাল্টায় এসিডিটির বৃদ্ধি পায়।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য মাল্টা উপকারী কিন্তু মাল্টা খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো হবে। না হলে ক্ষতি হতে পারে।
- খালি পেটে মাল্টা জুস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
- গ্যাস্ট্রিকের কারণে মাল্টা খেলে পেটে ব্যথা বুক জ্বালা পোড়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মন্তব্য
মাল্টা খাওয়ার উপকারিতা অনেক। মাল্টা অনেক উপকারী একটি ফল। মাল্টার মধ্যে রয়েছে বহু গুষ্টিগুণ। আজকের আর্টিকেলটিতে মাথার মাল্টা খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগেছে এবং উপকারে আসবে। এতক্ষন সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
https://www.dyinamicit.com/p/blog-page_16.html
comment url