আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা- আদা অত্যন্ত উপকারী একটি খাদ্য। আদায় রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ভিটামিন ই, ভিটামিন বি৬, জিংক, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ইত্যাদি পুষ্টি গুন। আদা শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ায় না এর বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা , আদার পুষ্টিগুণ, আদার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া জানতে পুরো আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
আদায় রয়েছে বহু পুষ্টিগুণ। আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক। আদা শরীরে অনেক পুষ্টিগুণের অভাব পূরণ করে থাকে। আদা একটি প্রাকৃতিক ভেষজ। প্রাচীন যুগ থেকে আদা বিভিন্ন ঔষধি কাজে ব্যবহার হয়ে আসছে। আজকের আজকেরটিতে আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে সাথেই থাকুন এবং আর্টিকেলটি পড়ুন।
.
আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আদা খাওয়ার উপকারিতা
আদা খাওয়ার উপকারিতা অনেক। আদা খাওয়ার উপকারিতা গুলো হলোঃ
হজম ক্ষমতার বৃদ্ধি করতে
বিভিন্ন কারণে আমাদের পেটের মধ্যে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অসুস্থ কর পাচনতন্ত্র পেটের সমস্যা সৃষ্টি করার কারণ। এই সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক প্রতিকার রয়েছে যার মধ্যে একটি হলো আদা। আদায় রয়েছে জিঞ্জেরল নামক উপাদান যা হজম প্রক্রিয়াকে গতিশীল করতে সাহায্য করে। যাদের পেট ফাঁপা, বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত আদা খেতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার উপকারিতা
শরীরের ব্যথা উপশম করতে
আদা শরীরের ব্যথা উপশম করতে বেশ কার্যকরী। আদায় রয়েছে ক্যালসিয়াম। শরীরে ক্যালসিয়াম ঘাটতি হলে শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ব্যথার সৃষ্টি হয়। যার কারণে রিউমাটয়েড আর্থাটিস, অস্টিও আর্থাইটিস, হাড়ের জয়েন্টের ব্যথা ইত্যাদি সকল ব্যথা নিরাময়ের জন্য আদা একটি অত্যন্ত কার্যকারী উপাদান। শরীরে বিভিন্ন জয়েন্টের ব্যথা কমাতে আদা সাহায্য করে থাকে।
হৃদরোগ এর সমস্যা দূর করতে
হৃদরোগ দূর করার বিভিন্ন প্রাকৃতিক নিরময়ের উপায় গুলোর মধ্যে আদা হচ্ছে একটি। যাদের হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে কিন্তু উচ্চ রক্তচাপে সমস্যা নেই তারা যদি দুই বেলা এক চা চামচ আদার রস, লেবুর রস ও এক কাপ গরম পানিতে অল্প মধু মিশিয়ে নিয়মিত চায়ের মত করে যদি খায় তাহলে হৃদরোগ নিরাময় হবে বা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে
নিয়মিত প্রতিদিন সকালে এক কাপ গরম পানির সাথে এক চা চামচ লেবুর রস সাথে মধু মিক্স করে খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হবে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে ওষুধ ছাড়া প্রাকৃতিক উপায়ে এভাবে আদার রস খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হবে। তাই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে আদার রস খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে
আদা পানি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকলের নিয়মিত খালি পেটে আদা পানি খেলে এটি রক্তের শর্করা বৃদ্ধি রোধ করতে সহায়তা করে। তাই যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা প্রতিদিন সকালবেলায় নিয়মিত আদার পানি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন এতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের থাকবে।
পেট ফাঁপা, পেট ব্যাথা, আমাশয় সমস্যা দূর করতে
যাদের প্রায় পেট ফাঁপা পেট ব্যথা আমাশয় ইত্যাদি সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত এক কাপ গরম পানিতে এক চা চামচ আদা রস মিশিয়ে খেলে পেট ফাঁপা, পেট ব্যথা, আমাশয় এই সমস্যা গুলো দূর হবে। যাদের দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যাগুলো রয়েছে তারা প্রতিদিন নিয়মিত চা চামচ আদার রস লেবুর রস ও মধু গরম পানিতে মিশিয়ে চায়ের মতো করে খেতে পারেন। এতে উপকৃত হবেন বলে আশা করা যায়।
বমি বমি ভাব দূর করতে
প্রায় অনেকের বমি বমি ভাব লেগে থাকে, এমন যাদের এমন সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত আদা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন এটি বেশ কার্যকরী একটি উপাদান। আদায় থাকা উপাদান গুলো পেটের বেশি প্রশমিত করতে সাহায্য করে এবং পরিপাকতন্ত্রের প্রদাহ কমিয়ে থাকে। বমি বমি ভাব থেকে মুক্তি
পাওয়ার জন্য আপনি প্রতিদিন নিয়মিত হওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন। এখন কথা হল কিভাবে আদা খাবেন তাইতো? চলুন জানা যাক - আপনি চাইলে প্রতিদিন চায়ের সাথে আদার রস বা আদা বাটা মিক্স করে খেতে পারেন অথবা গরম পানির সাথে এক চা চামচ আদার রস এবং সাথে কিছু পরিমাণ মধু
আরো পড়ুনঃ আলুর ১১টি উপকারিতা ও অপকারিতা
মিশিয়ে চা এর মত করে খেতে পারেন অথবা কিছু পরিমাণ আদা নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে কাঁচা চিবিয়ে খেতে পারেন। এটি বমি বমি ভাব দূর করা খুবই কার্যকারি উপায়। যাদের এমন সমস্যা রয়েছে তারা এইভাবে নিয়মিত আদা খেতে পারেন।
ওজন হ্রাস করতে
ওজন হ্রাস করতে আদা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আদায় থাকা বিভিন্ন পোস্টে উপাদান গুলি ওজন কমাতে সহায়তা করে। এমন প্রতিদিন সকাল বেলায় নিয়মিত আদার রস লেবুর রস ও মধু এক গ্লাস বা এক কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে তা ওজন কমাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে
বাচ্চাদের যখন ঘন ঘন সর্দি, কাশির সমস্যা লেগে থাকে তাদের জন্য আদার পানীয় অত্যন্ত উপকারী উপাদান। এটি স্বাসতন্ত্রকে শিথিল করতে এবং ফুসফুসের অতিরিক্ত শ্লেমা অপসারণ করতে বেশ কার্যকরী একটি উপাদান। এইজন্য শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আদার রস খেতে পারেন।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে
আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে আদা অত্যন্ত কার্যকর একটি উপাদান। আদার উচ্চমাত্রায় এলডিএল অর্থাৎ খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। গবেষণা দেখা গেছে নিয়মিত আদা সেবন করলে উল্লেখযোগ্য ভাবে ট্রাই-গ্লিসারাইড এবং খারাপ কলেস্টরলের মাত্রা কমায়।
ক্যান্সারের যদি কমাতে
আদার রয়েছে জিঞ্জেরল নামক উপাদান অ্যান্টি অক্সিডেন্ট , অ্যান্টি ইনফ্লর্মেটারি ইত্যাদির যৌগ।এইসব উপাদান গুলোর মধ্যে ক্যান্সার প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই রোগ গুলো গ্যাস্টোইনটেস্টাইনাল ক্যান্সার রোগী কমাতে সহায়তা করে। যারা নিয়মিত আদা খায় তাদের তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি কম থাকে।
ওজন কমাতে
ওজন কমানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আদর পরিপূরক আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। আদায় থাকো উপাদান গুলি তবে অনুপাত এবং ওজন অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিতম্বের অনুপাত উল্লেখ্যযোগ্যভাবে হ্রাস করে থাকে।
ফুসফুস হাঁপানি সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে
নিয়মিত আদার রস, মধু, লেবুর রস গরম পানিতে মিশিয়ে প্রায় ১৫ দিন চায়ের মত করে খেলে হাঁপানিও ফুসফুসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
জ্বর জ্বর ভাব, সর্দি, ঠান্ডা, কাশি দূর করতে
এক চা চামচ আদার রস বা আদো বাটার সাথে গরম পানিতে চায়ের মত করে ছয় থেকে সাত বার খেলে জ্বর জ্বর ভাব সর্দি কাশি ঠান্ডা থেকে অনেকটা আরাম পাওয়া যাবে। জ্বর জ্বর ভাব, সর্দি, কাশি, ঠান্ডা দূর করতে এটি অনেক কার্যকরী একটি উপাদান।
ওষুধ হিসেবে আদার ব্যবহার
আদা একটি প্রাকৃতিক ভেষজ। প্রাচীন যুগ থেকে ওষুধের বিকল্প হিসেবে আদার ব্যবহার করা হয়। আদা প্রাকৃতিক ভেষজ হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এটি বহু রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে।
এতক্ষণ অন্য খাওয়া আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হলো এখন আদা খাওয়ার অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
আদার অপকারিতা
অতিরিক্ত আদা খেলে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত আদা খেলে যেসব সমস্যা হতে পারে সেগুলো হলো-
হৃদ যন্ত্রের কার্যকারিতা হ্রাস করতে
অতিরিক্ত পরিমাণে আদর খাওয়া হলে এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে হৃদ যন্ত্রের গতি বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া অনেক রাত ঝাপসা দৃষ্টিশক্তি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঘনঘন রক্তচাপ উঠে নামা করলে হৃদরোগ দেখা দিতে পারে। এইজন্য হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে অতিরিক্ত আদা খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন।
রক্ত ক্ষরণে ঝুঁকি বাড়াতে পারে
আদায় রয়েছে অ্যান্টি প্লেটলেট উপাদান রক্ত যা অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে রক্ত ক্ষরণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। লবণ ও রসুন আদার সাথে একসাথে খেলে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি আরো বেশি বেড়ে যায় । তাই যাদের এ ধরনের সমস্যা রয়েছে তাদের আদা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
ত্বকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে
বিভিন্ন কারণে ত্বকের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। ত্বকের সমস্যা হতে পারে খাদ্যাভ্যাসের কারণে, বাইরে ধুলোবালি কিংবা রোদের কারণে। তুই একটু আদা খাওয়ার কারণে ত্বক ও চোখে সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। গলায় অস্বস্তির মতো, সমস্যা ঠোঁট ফুলে ওঠার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমন ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ডায়রিয়ার ঝুঁকি বাড়াতে
খাদ্যাভ্যাসের অনিয়ম হলে ডায়রিয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে। উপকারী বিখ্যাত খাদ্য যদি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয় তবুও ডায়রিয়ার সমস্যা হতে পারে এইজন্য খাবার গ্রহণ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে অতিরিক্ত পরিমাণে আদা খেলেও ডায়রিয়ার সমস্যা হতে পারে। এইজন্য আদা খাওয়া বা রান্নার আদা ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আরো পড়ুনঃ খেজুর খাওয়ার ১৮ উপকারিতা
আদার পুষ্টিগুণ
আদার মধ্যে অনেক পুষ্টিগুণ বিদ্যমান। ১০০ গ্রাম আদার মধ্যে প্রায় ৮০ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়, কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায় প্রায় ১৮ গ্রাম, প্রোটিন পাওয়া যায় প্রায় ১.৮ গ্রাম, পটাশিয়াম পাওয়া যায় প্রায় ৪১৫ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম পাওয়া যায় প্রায় ১৩ মিলিগ্রাম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট, এন্টি ইনফ্লার্মেটারি ইত্যাদি আদার মধ্যে বহু পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়।
প্রতিদিন কি পরিমান আদা খাওয়া যাবে
প্রতিদিন এক থেকে তিন গ্রাম আদা খাওয়া যাবে। এই পরিমাণ আদা খেলে তেমন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকবে না। তাই প্রতিদিন এক থেকে তিন গ্রাম পরিমাণ আদা খেতে পারবেন।
আদার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
আদার বেশ কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে এগুলো হলো:
- আদা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে অবদান রাখে। তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে এবং আপনি যদি উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ওষুধ সেবন করে থাকেন তাহলে আদা খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে না হলে এটি ক্ষতির কারণ হবে।
- আদা হচ্ছে একটি প্রাকৃতিক উষ্ণায়নকারী গাছরা, যার ফলে অতিরিক্ত পরিমাণে আদর্শ গুণ করলে ডায়রিয়া, অম্বল, পাকস্থলী সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
- যদি কেউ অন্য কোন ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকে তাহলে যেকোনো আকারে আদা খাওয়ার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
- গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে আদা খাওয়া এড়িয়ে চলা উত্তম।
মন্তব্য
এই আর্টিকেলটিতে ইতিমধ্যে আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক আদা অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান। তবে এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই অবশ্যই অতিরিক্ত আদা খাওয়ায় সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। এতক্ষন আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি উপকৃত হবেন। আপনার কোন মতামত থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।
https://www.dyinamicit.com/p/blog-page_16.html
comment url