শসা খাওয়ার ১৫ উপকারিতা
শসা খাওয়ার ১৫ উপকারিতা -শসা খাওয়ার উপকারিতা অনেক। শসা অত্যন্ত উপকারী একটি সবজি। শসার মধ্যে রয়েছে মাল্টিভিটামিনস ও মাল্টি মিনারেলস। শসা ওজন কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী। শসা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। শসার মধ্যে রয়েছে বহু পুষ্টিগুণ। শসা খাওয়ার ১৫ উপকারিতা, ত্বকের যত্নে শসার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
শসা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। এর মধ্যে শসা খাওয়ার ১৫ উপকারিতা নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। শসা যেমন উপকারী তেমনি শসার খোসাও আমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী, যা হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। চলুন আজকে শসার খোসা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে জানতে পুরো আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
.
শসা খাওয়ার ১৫ উপকারিতা
শসা অত্যন্ত উপকারী একটি সবজি। শসা ওজন কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী। এছাড়াও শসা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। রূপচর্চার কাজেও শস্য উপকারিতা অনেক। চলুন শসা খাওয়ার ১৫ উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক -
১. ওজন কমাতে
শসা ওজন কমাতে ভীষণ কার্যকারী। অতিরিক্ত ওজন নিয়ে যারা চিন্তিত রয়েছেন তাদের জন্য একটি পরামর্শ হচ্ছে তারা তাদের ডায়েট চার্টের মধ্যে শসা যোগ করতে পারেন। নিয়মিত শসা খেলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানো সম্ভব হয়। শসার মধ্যে রয়েছে অত্যন্ত পুষ্টিগুন। শসা তে ক্যালরির মাত্রা কম থাকায় ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে বেশ সহায়তা করে। ক্যালরি কম থাকার কারণে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার ভয় থাকে না।
আরো পড়ুনঃ ওজন কমানোর উপায় ডায়েট
২. কিডনির সুরক্ষায়
কিডনির সুরক্ষা জন্য শসা অত্যন্ত কার্যকারী। কিডনি রোগীদের জন্য শসা ভীষণ ভীষণ উপকারী। নিয়মিত শসা খেলে শরীরে ইউরিক এসিডের মাত্রা ঠিক থাকে। যার কারনে কিডনি সুস্থ ও সতেজ থাকে। এবং কিডনির সুরক্ষা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া যাদের কিডনির পাথরের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য শসা
অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত শসা খাওয়ার মাধ্যমে কিডনির পাথর যদি ছোট সাইজের হয়ে থাকে তাহলে কিডনি থেকে পাথর অপসারণে সাহায্য করে। এর জন্য প্রতিদিন বেশ কয়েকটি করে শসা খেতে হবে। চিকিৎসকরা কিডনির সমস্যায় শসা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
৩. হৃদপিন্ডের সুস্থতায়
শসার মধ্যে থাকা ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন কে। শসার মধ্যে থাকা এই উপাদানগুলো হৃদপিন্ডের সুরক্ষায় বিশেষভাবে কার্যকরী। এই উপাদানগুলো হৃদপিন্ডের সুস্থতা বজায় রাখে। নিয়মিত শসা খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। শর্করা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণের মাধ্যমে শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকে। শসার মধ্যে থাকা ভিটামিন কে রক্ত জমাট বাঁধা এবং রক্তে ক্যালসিয়ামের প্রবাহের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে।
৪. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
শসার মধ্যে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম মানবদেহে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যাদের রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত শসা খেতে পারেন।
৫. স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে
নিয়মিত শসা খেলে স্মৃতিশক্তিও বৃদ্ধি পেতে পারে। নিয়মিত শসা খাওয়ার ফলে মস্তিষ্ক ও ধমনীতে প্রচুর এলডিএল হ্রাস পায়। যার ফলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। ছোট বাচ্চাদের কে নিয়মিত শসা খাওয়ালে তাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করবে। নিয়মিত শসা খাওয়া শরীর ও জন্য উত্তম। তাই আপনি আপনার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে জায়গায় নিয়মিত খাদ্যচালিতায় শসা যোগ করতে পারেন।
৬. দেহের পানি শূন্যতার অভাব পূরণ করতে
শসার মধ্যে প্রায় ৯৫% পানি রয়েছে। যার কারনে শসা খাওয়ার ফলে শরীর আর্দ্র থাকে এবং প্রাণের স্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। গ্রীষ্মকালের জন্য শসা অত্যন্ত উপকারী। গরমে পানির পিপাসা দূর করতে শসার ভূমিকা অনেক। গ্রীষ্মকালের প্রখর রোদে যখন দেহে পানি স্বল্পতা দেখা দেয় তখন শসা খাওয়ার ফলে শরীরে পানির স্বল্পতা দূর হয় এবং সতেজ ও আর্দ্র ভাব ফিরে আসে। এটি জুস হিসেবেও খাওয়া যায়। শসা অত্যন্ত উপকারী একটি সবজি।
৭. হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
নিয়মিত শসা খেলে শরীরে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। যাদের হজম শক্তি দুর্বল তাদের জন্য একটি উপকারী সবজি হচ্ছে শসা। শসার মধ্যে থাকা ভিটামিন, খাদ্য আঁশ ও পানি খাবার হজম করতে সাহায্য করে। নিয়মিত শসা খেলে শসায় থাকা উপাদানগুলো আমাদের শরীরে হজম শক্তি বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করে। তাই যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত শসা খেতে পারবেন শসা খাওয়ার উপকারিতা অনেক।
৮. শরীরে ভিটামিনের অভাব দূর করে
শসার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ। ১০০ গ্রাম শসা তে পানির পরিমাণ ৯৪.৯ গ্রাম। ক্যালরির পরিমাণ ২২ কিলো ক্যালরি। এছাড়া একটি মাঝারি সাইজের শসার মধ্যে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে ১.৯ গ্রাম, ফাইবার রয়েছে ০.৩ গ্রাম, প্রোটিন রয়েছে ০.৩ গ্রাম। তাই নিয়মিত শসা খেলে শরীরের ভিটামিনের অভাব গুলো দূর হয়। ভিটামিন এর অভাব দূর করতে প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় শসা যোগ করতে পারেন।
৯. মানুষের চাপ কমাতে
শসা মানুষের চাপ কমাতেও বেশ কার্যকরী। শসার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি৫, ভিটামিন বি৭। যা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে থাকে। মানুষের চাপ কমাতে নিয়মিত শসা খেতে পারেন।
১০. দাঁত ও মাড়ির রোগের ঝুঁকি কমাতে
শসা খেলে মানুষের মুখের অ্যাসিডের ভারসাম্য ও পি এইচ এর ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ থাকে। সেই সাথে দাঁতের প্লাক ও টক্সিন তৈরি করে দাঁত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত শসা খেলে ডাক ও মাড়ির রোগ হওয়ার ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।
১১. হাড় মজবুত করতে
শসার মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন কে। ভিটামিন কে আমাদের শরীরের হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে। এবং ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। যার ফলে হাড়ের গঠন মজবুত ও শক্ত হয়। এজন্য হাড় মজবুত করতে নিয়মিত শসা খান।
১২. মাথাধরা থেকে নিষ্কৃতি দিতে
শসা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ও সুগার। এজন্য ঘুমোতে যাওয়ার আগে কয়েকটা স্লাইস শসা খেলে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মাথা ধরার সমস্যা থাকবে না।
১৩. ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে
বাসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সিলিকা। ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে শসা রসের সাথে গাজরের রস মিশিয়ে খেলে দেহে ইউরিক এসিডের মাত্রা নিচে নেমে আসে। যার কারণে ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
১৪. কিডনির পাথর
শসার মধ্যে থাকা অধিক পানি মানবদেহের বর্জ্য ও দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। নিয়মিত শসা খেলে যাদের কিডনির পাথরের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য অনেক উপকারী। নিয়মিত শসা খাওয়ার ফলে কিডনির পাথর গলে যেতে সহায়তা করে। ইউরিনারি ব্লাডার প্যানক্রিয়াসের সমস্যা সমাধানেও শসা অত্যন্ত কার্যকারী।
১৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে
নিয়মিত শসা খেলে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শসায় থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের সম্ভাবনা কমায়। শরীর সুস্থ রাখতে শসার ভূমিকা অপরিসীম।
শসা খাওয়ার উপকারিতা অনেক। এরমধ্যে শসা খাওয়ার ১৫ উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হলো। এখন শসার খোসার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
শসার খোসার উপকারিতা
শসা আমাদের জন্য যেমন উপকারীতে এমনি শসার খোসা ও আমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। উপরে শসা খাওয়ার ১৫ উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হয়্যেছে। আমরা অনেকেই আছি যারা শসা খাওয়ার সময় শসা খোসা ফেলে খায়। কিন্তু আমরা যদি শসার খোসার উপকারিতা সম্পর্কে জানি তাহলে আর শসার খোসার ফেলে খাব না। শসার খোসার অনেক উপকারিতা রয়েছে। চলুন শসার খোসার উপকারিতা গুলো জানা যাক -
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে
আমরা সবাই কমবেশি জানি শসা রূপচর্চার কাজে ব্যাপক ব্যবহৃত হয়। শসার খোসার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি তবে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। এছাড়া ত্বকের যত্নে ভিটামিন সি অত্যন্ত কার্যকরী। ভিটামিন সি ত্বককে ক্ষতিকর অক্সিডেটিভ ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকের বয়সের ছাপ পরা প্রতিরোধ করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এজন্য শসা খোসা সহ খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চাইলে খোসা সহ শসা খান।
মেদ কমাতে
শসা খোসায় ক্যালরি মাত্রা কম থাকার কারণে শসার খোসা মেদ কমাতে সাহায্য করে। ক্যালোরি কম হলেও ক্ষুধার প্রকোপ কমাতে সমস্যা বেশ কার্যকারী। যা শরীরে অতিরিক্ত ওজন কম করতে দারুন সাহায্য করবে। তাই আপনি ডায়েটে থাকা অবস্থায় ক্ষুধা লাগলে একটি মাঝারি সাইজের খোসা সহ শসা খেতে পারেন। এতে ক্ষুধা নিবারণ হবে এবং অতিরিক্ত ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকবে না।
আরো পড়ুনঃ লেবু পানি খাওয়ার উপকারিতা
চোখের সমস্যা দূর করতে
শসার খোসার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ। আমরা জানি ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। চোখের স্বাস্থ্য ও দৃষ্টি শক্তি রক্ষায় খোসা সহ শসা খাওয়ার অত্যন্ত কার্যকারী। এজন্য শসা খাওয়ার সময় খোসা ফেলে না দিয়ে খোসা সহ শসা খান। এতে চোখের সমস্যা ও দূর হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটে সমস্যা দূর করতে
শসার খোসার ভেতর দিকে রয়েছে দ্রবণীয় আঁশ এবং অপরদিকে রয়েছে অদ্রবণীয় আঁশ। যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে মারাত্মকভাবে কার্যকারী। শসা খোসাসহ খেলে পেটে নানা সমস্যাও দূর হয়। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তারা পারেন এতে উপকৃত হবেন।
যাদের শসা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে
শশা অত্যন্ত উপকারী হলেও কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই তাদের ক্ষেত্রে শসা না খাওয়াই ভালো।
ডায়াবেটিস রোগীদের
ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে শসা না খাওয়া উত্তম। শসার মধ্য এক ধরনের কচুরবিতিন বিষাক্ত পদার্থ রয়েছে। যা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। শসা খাওয়ার মাধ্যমে এ পদার্থটি শরীরে প্রবেশ করে যার কারনে অগ্নাশয়, পিত্তথলি সহ অন্যান্য অংশগুলোতে প্রদাহ করতে পারে। এইজন্য যাদের আগে থেকে ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তাদের অতিরিক্ত শসা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা থাকলে
যাতে শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা রয়েছে তারা শসা খেলে স্বাস্থ্যন্দের সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। বেশি পরিমাণে শসা খেলে অনেকের পায়ে পানি জমার মতো সমস্যা দেখা দেয়। যার কারণে পা ফুল নানা রকম সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই যাদের শ্বাসতন্ত্র সমস্যা রয়েছে তাদের অতিরিক্ত শসা না খাওয়াই ভালো।
ত্বকের যত্নে শসার উপকারিতা
রূপচর্চার কাজে শসা অত্যন্ত ব্যবহৃত একটি উপাদান। প্রতিনিয়ত রূপচর্চার বিভিন্ন কাজে শসা ব্যবহার করা হয়। চলুন ত্বকের যত্নে শসার উপকারিতা সম্পর্কে জানা যাক-
ত্বক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে
শসার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি নায়াসিন, রিবোফ্লাবিন, জিংক ইত্যাদি উপাদান। যা ত্বক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। তবে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে শসার সঙ্গে লেবুর ব্যবহার প্রয়োজন পড়বে। একটি পরিষ্কার পাত্রে শসা রসের সাথে লেবুর রস মিক্স করে মুখে ভালো মতো লাগিয়ে
আরো পড়ুনঃ দাঁতের হলুদ দাগ দূর করার উপায়
২০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ২০ মিনিট পর ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিন। এভাবে নিয়মিত বেশ কিছুদিন ব্যবহার করলে তবে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। যারা প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চান তারা এই পদ্ধতিটি ফলো করতে পারেন।
ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে
শসা ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করার জন্য প্রথমে শসার রস বানাতে হবে তারপর তিন চা চামচ শসার রসের সাথে দুই চা চামচ বেসন এক চা চামচ বাটার মিল্ক
ভালোভাবে মিক্স করে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এর সাথে এক টেবিল চামচ লেবুর রস মিক্স করুন। এরপর মিশ্রণটি ভালোভাবে নেড়ে সম্পূর্ণ মুখে লাগান। ৩০ মিনিট মতো অপেক্ষা করুন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতিতে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হবে।
রোদে পোড়া দাগ দূর করতে
রোদে পোড়া ত্বকের দাগ দূর করতে শসা বেশ কয়েক ভাবে ব্যবহার করতে পারেন। শসা কেটে স্লাইস করে মুখে লাগাতে পারেন আবার শসা বেটে মুখে লাগাতে পারেন। শসা বেটে মুখে লাগানোর পর ১৫
মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিন। আবার শসার রস দিয়ে আইস কিউব বানিয়ে ফ্রিজে রাখুন। বরফ জমে গেলে আইস কিউব নিয়ে মুখে কিছুক্ষণ সময় ঘষুণ। এতে ত্বকের রোদে পোড়া দাগ অনেকটা দূর হবে।
ত্বকের বলিরেখা দূর করতে
ত্বকের বলিরেখে দূর করতে শসা অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান। শসায় রয়েছে ভিটামিন সি ও ভিটামিন কে। যা ত্বককে টান টান রাখতে সাহায্য করে। যার ফলে বয়সের ছাপ ও ত্বকে বিভিন্ন ধরনের বলিরেখা দূর হয়। সেই সাথে ত্বকের বিবর্ণ ভাব সম্পন্ন দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল ও মসৃণ করতে সহায়তা করে।
মন্তব্য
আজকের আর্টিকেলটিতে শসা খাওয়ার ১৫ উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। আশা করি আপনার ভালো লাগবে এবং উপকৃত হবেন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম আরো তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।
https://www.dyinamicit.com/p/blog-page_16.html
comment url