খেজুর খাওয়ার ১৮ উপকারিতা

খেজুর খাওয়ার ১৮ উপকারিতা- খেজুর খাওয়া উপকারিতা অনেক। খেজুর একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল।খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ক্যারোটিনয়েড, ফাইটোস্টেরোলের, পলিফেনল,
ভিটামিন, খনিজ পদার্থ ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান। খেজুর খাওয়ার ১৮ উপকারিতা, খেজুরের পুষ্টিগুণ, খেজুর খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি সে সব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

খেজুরের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, শর্করা, ভিটামিন বি, ভিটামিন বি ৬ ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির উপাদান। সারা বিশ্বের গ্রীষ্ম মন্ডলীয় অঞ্চলের খেজুর গাছ জন্মে। খেজুর খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। যা বিশেষ ভাবে ডায়েট সাহায্য করে থাকে। খেজুর খাওয়ার ১৮ উপকারিতা জানতে সাথেই থাকুন।
.

খেজুর খাওয়ার ১৮ উপকারিতা

এখন খেজুর খাওয়ার ১৮ উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে-

১. দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে

খেজুরে রয়েছে জিক্সাথিন ও লিউকেট নামক উপাদান। যা চোখের রেটিনা ভালো রাখতে সাহায্য করে থাকে। তাই নিয়মিত খেজুর খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। যাদের দৃষ্টি শক্তি সমস্যা রয়েছে যাদের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখার জন্য নিয়মিত প্রতিদিন কয়েকটি করে খেজুর খেতে পারেন।

২. ক্ষুধা ভাব দূর করতে

খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। খেজুর খাওয়ার ফলে অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকা যায়। ক্ষুধা ভাব দূর হয়। যারা ডায়েটে রয়েছেন তাদের জন্য তো খেজুর মারাত্মক উপকারী একটি ফল। খেজুরের ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকায় ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে না।

৩. লিভারের কার্যকারিতা উন্নতি

খেজুরের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা লিভারের টক্সিন দূর করে এবং লিভারের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। যা লিভারের স্বাস্থ্য অক্ষয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। খেজুর খুবই উপকারী একটি খাদ্য। যাদের লিভারের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন। চাইলে দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় খেজুর যুক্ত করতে পারেন।

৪. চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে

খেজুরের মধ্যে থাকা ভিটামিন এ ও বিটা ক্যারোটিন চোখের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত খেজুর খেলে চোখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। নিয়মিত খেজুর খেলে রাতকানা, চোখের শুষ্কতা ও চোখের অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

৫. হাইড্রেশন লেভেল ঠিক রাখতে

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা অনেক। নিয়মিত খেজুর খেলে হাইড্রেশন লেভেল ঠিক থাকে। মেয়েদের গর্ভাবস্থায়, কঠোর ব্যায়াম এবং গরম গরম পরিবেশে কাজ করার জন্য ক্ষুধা ভাব এবং পানি খাওয়ার প্রয়োজন দেখা দিতে পারে এমন সময় দুই তিনটা খেজুর খেয়ে পানি খেলে ক্ষুধা ভাব দূর হবে ও স্বস্তিতে
কাজ করা যাবে । এমন সময় খেজুরে থাকা উপাদানের বৈশিষ্ট্য গুলো ওইসব ব্যক্তিদেরকে সঠিক হাইড্রেশন নিশ্চিত করে। যার ফলে শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকে এবং ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমায়।

৬. রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতে

শরীরে সুস্থতার জন্য রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। শরীরে রক্ত সঞ্চালন যদি ঠিক না থাকে তাহলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। নিয়মিত খেজুর পান করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন প্রবাহ ঠিক থাকে। নিয়মিত খেজুর খেলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য সারা শরীরে সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন খাওয়া অত্যন্ত জরুরী।

৭. মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে

খেজুরের মধ্যে থাকা ভিটামিন বি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। নিয়মিত খেজুর খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে। খেজুর মানসিক চাপে থাকা ব্যক্তিদের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন।

৮. শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করতে

খেজুরের মধ্যে রয়েছে ফ্লাভোনয়েড ক্যারোটিনয়েড, ফিনোলিক্স ও অন্যান্য অ্যান্টি অক্সিডেন্ট । যা ফ্রী রেডিক্যাল কারণে কোষের অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে । খেজুরের মধ্যে সর্বোচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতা রয়েছে। নিয়মিত খেজুর খেলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অক্সিডেটিভ ট্রেস সম্পর্কিত রোগের ঝুঁকি কমায়। ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, হৃদরোগ, আলঝাইমার ইত্যাদির মতো কঠিন রোগ গুলোর ঝুঁকি কমায়।

৯. মস্তিষ্ক ঠিক রাখতে

খেজুরের মধ্যে রয়েছে ক্যারোটিনয়েড, ফাইটোস্টেরোলের, পলিফেনল ইত্যাদি যৌগ। যা মস্তিষ্কের প্রদাহ বিরোধী প্রভাব ফেলে এবং নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। নিয়মিত খেজুর খেলে খেজুরের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নিউরাল কোষকে অক্সিডেটিভ ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে থাকে। নিয়মিত খেজুর খেলে মস্তিষ্কের নতুন কোষের বৃদ্ধিকে উদ্যীপিত করতে সাহায্য করে যা জ্ঞান শক্তি বাড়াতে পারে।

১০. গর্ভাবস্থায় পুষ্টি সরবরাহ করতে

গর্ভাবস্থায় প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় খেজুর যুদ্ধ করলে মারাত্মক উপকারিতা পাওয়া যায়। খেজুরের মধ্যে থাকা ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ সমূহ গর্ভাবস্থায় সুষম পুষ্টির জন্য অত্যন্ত উপকারী। খেজুরের মধ্যে প্রাকৃতিক শর্করা থাকার কারণে প্রাকৃতিকভাবে শক্তি বৃদ্ধি করে যা গর্ভবতী মায়েদের

প্রান্তের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। খেজুর গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। খেজুরের মধ্যে থাকা আয়রন, পটাশিয়াম, ফোলেট মাতৃসাস্থ্য এবং ভ্রূণের সঠিকভাবে বিকাশে সাহায্য করে। এইজন্য গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েরা নিয়মিত খেজুর খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন।

১১. কিডনির সুরক্ষায়

নিয়মিত খেজুর খেলে পেটের যে কোন সমস্যা দূর করতে ভীষণ উপকারী উপাদান হচ্ছে খেজুর। আজওয়া নামক এক ধরনের খেজুর পেটের যেকোনো সমস্যা দূর করার জন্য যথেষ্ট। তবে এটি খাওয়ার বেশ কিছু নিয়ম আছে। নিয়ম মেনে খেলে অবশ্যই সুফল পাওয়া যাবে। আজওয়া খেজুরে থাকা পুষ্টি

উপাদান গুলো কিডনির পাথরের সমস্যা প্রতিরোধ করতে পারেন। খেজুর কিডনিকে নেফ্রোটক্সিসিটি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করে। খেজুরে থেকে উপাদান গুলো কিডনির অত্যন্ত উপকারী। যাদের কিডনি সমস্যা রয়েছে তার নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন। নিয়মিত খেজুর হলে কিডনির সমস্যা দূর হবে।

১২. হাড় মজবুত করতে

খেজুর খাওয়ার ১৮ উপকারিতার মধ্যে একটি হচ্ছে এটি। হাড়ের সুষ্ঠভাবে বিকাশের জন্য নিয়মিত অনেক কার্যকারী। মানবদেহে হাড়ের গঠনের জন্য ক্যালসিয়াম সেলেনিয়াম ম্যাঙ্গানি ম্যাগনেসিয়াম তামা ইত্যাদি খনিজ গুলো খেজুরের মধ্যে পাওয়া যায়। যার ফলে নিয়মিত খেজুর খেলে হাড় মজবুত

থাকে। খেজুরের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হাড়ে কোর্ষ গুলোকে ক্ষতির থেকে এবং প্রদাহ থেকে রক্ষা করে থাকে। এটি বাচ্চাদের জন্য বিশেষভাবে কার্যকরী। বাচ্চাদের নিয়মিত খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করালে ছোট থেকে তাদের হাড় মজবুত হতে সাহায্য করবে।

১৩. হৃদরোগে ঝুঁকি কমাতে

আমরা ইতিমধ্যে জানলাম খেজুরের মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, শর্করা, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান। খেজুরের মধ্যে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। হৃদরোগের প্রধান কারণ হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ। নিয়মিত খেজুর খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমবে। তাই হৃদরোগে ঝুঁকি কমানোর জন্য নিয়মিত খেজুর খান।

১৪. পরিপাকতন্ত্রের উন্নতি করতে

খেজুরের মধ্যে থেকে ডায়েটারি ফাইবার পরিপাকতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত খাওয়ার ফলে পরিপাকতন্ত্রের সুস্থ থাকে এবং খাবারে পুষ্টি উপাদান গুলো ভালোভাবে শোষিত হতে সাহায্য করে। নিয়মিত খেজুর খেলে হজম প্রক্রিয়া সহজতর হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যও প্রতিরোধে সাহায্য করে।

১৫. অ্যামেনিয়া প্রতিরোধের জন্য

খেজুরের মধ্যে রয়েছে আয়রন। আয়রন হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এজন্য যাদের অ্যামেনিয়ার সমস্যা রয়েছে, রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম তারা নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন।

১৬. স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতায়

খেজুরের মধ্যে থাকা পটাশিয়াম শরীরের তরল ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে থাকে। যা কার্যকারী স্নায়ু সংকেত সংক্রমনের অনুমতি প্রদান করে। খেজুরের মধ্যে থাকা নিয়াসিন, পাইরিডক্সিন, ভিটামিন বি, ফোলেট সঠিকভাবে স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতায় সাহায্য করে। খেজুরের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নিউরোইনফ্লেমেশন কমায়, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং নিউরোডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সক্ষম। এরজন্য অবশ্যই নিয়মিত খেজুর খেতে হবে।

১৭.পুরুষের উর্বরতা বৃদ্ধি করতে

খেজুরের মধ্যে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড। যা স্ট্যামিনা, ইস্টোজেন, এবং স্টেরলের মত হরমোন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। যা পুরুষের প্রজনন ব্যবস্থা সমর্থন করে থাকে। খেজুর গাছের ফল এবং পরাগ নির্যাস বন্ধা পুরুষদের শুক্রাণু সংখ্যা অঙ্গসংস্থান গতিশীলতা এবং নিষিক্ত করন ক্ষমতাকে উন্নত করে। খেজুরের মধ্যে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট অক্সিডেটিভ ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে থাকে। তাই পুরুষরাও নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন উপকৃত হবেন।

১৮. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে

খেজুর খাওয়ার ১৮ উপকারিতার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপকারিতা হচ্ছে খেজুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। খেজুরের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুন যা শরীরের বিভিন্ন পুষ্টির অভাব পূরণ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন সকালবেলা নিয়মিত খালি পেটে কয়েকটি খেজুর খেলে পেটে যেকোনো ধরনের রোগ ভালো হয়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে দৈনন্দিন খাদ্য তালিকার মধ্যে খেজুর যোগ করুন।

এতক্ষণ খেজুর খাওয়ার ১৮ উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।  এখন খেজুরের পুষ্টিগুণ নিয়ে আলোচনা করা হবে একসাথেই থাকুন।

খেজুরের পুষ্টিগুণ

খেজুরের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। খেজুরের মধ্যে ক্যালোরি পাওয়া যায় ২৭৭ গ্রাম, পটাশিয়াম পাওয়া যায় ২৯২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি পাওয়া যায় ৬০.২৪ মিলিগ্রাম, প্রোটিন থাকে ১. ৮১ গ্রাম চর্বি থাকে ০.১৫ গ্রাম, ম্যাঙ্গানিজ পাওয়া যায় ০.৩ মিলিগ্রাম, শর্করার পরিমাণ ৭৫ গ্রাম। এছাড়াও খেজুরে ৮০% ভিটামিন বি৬, আইরনপাওয়া যায় ৫% ইত্যাদি এত ধরনের পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। এইসব উচ্চ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সামগ্রী বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়তে অত্যন্ত কার্যকারী।
আরো পড়ুন : ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা

খেজুর খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি

খেজুর একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর শুকনো ফল।এটি যেকোনো সময় খাওয়া যায়। চলুন খেজুর খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে জানা যায় -

সকালে খালি পেটে: সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা অনেক। অনেক হাদিসে আছে নিয়মিত প্রতিদিন সকালবেলায় খালি পেটে কয়েকটি খেজুর খেলে পেটের যেকোনো রোগ দূর হয়। তাহলে বুঝতেই পারছেন খেজুর খাওয়ার উপকারিতা কতটা! খেজুরের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ যা শরীরের পুষ্টি উপাদান গুলোর অভাব পূরণ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন সকাল বেলায় খালি পেটে খেজুর খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

যখন ক্ষুধা অনুভব করবেন: দিনে রাতে যে কোন সময় আপনি যখন ক্ষুধা অনুভব করবেন ঠিক তখনই কয়েকটি খেজুর খেয়ে নিতে পারেন। খেজুরের মধ্যে থাকা উপাদানগুলো আপনার ক্ষুধা নিবারণ করবে এবং শরীরে পুষ্টি সরবরাহ করবে।

বিকেলে নাস্তা হিসেবে: অনেকে প্রায় বিকেলের নাস্তা কি দিয়ে করা হবে সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তই থাকে। তাদের জন্য একটি অতি দ্রুত ক্ষুধা নিবারণ করার সহজ উপায় হচ্ছে কয়েকটি খেজুর খাওয়া। কয়েকটি খেজুর খেলে সহজেই ক্ষুধা নিবারণ হয়।

ওয়ার্ক আউট করার আগে: পরিমাণ বেশি থাকে কিন্তু সেটা রক্তে শর্করা তো বাড়ায় না, তারা এক ধরনের ধীর-নিঃসরণকারী কার্বোহাইড্রেট সরবরাহ করে থাকে। যা অলকাউন্টে জ্বালানি শক্তি স্থির প্রবাহের জন্য সাহায্য করে। তাই ওয়ার্ক আউটে যাওয়ার আগে কয়েক মিনিট আগে কয়েকটা খেজুর খেয়ে নিতে পারে।

রাতের খাবার হিসেবে: যারা ডায়েটে আছেন বা রাতে ভাত-বার রুটি খেতে চান না তারা ক্ষুধা নিবারণ করার জন্য বেশ কয়েকটি খেজুর খেয়ে নিতে পারেন। খেজুর উচ্চ ফাইবার যুক্ত হওয়ায় ভালো ঘুমের জন্যও অত্যন্ত কার্যকারী।

খেজুর খাওয়ার সতর্কতা

খেজুর অত্যন্ত উপকারী ফল হলেও কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে না হওয়ায় উত্তম। অর্থাৎ যাদের এমন কিছু রোগ আছে তাদেরকে খেজুর খাওয়ায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। চলুন জানা যাক কাদের ক্ষেত্রে খেজুর খাওয়ায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে -
  • যাদের হাঁপানি রোগ আছে তাদেরকে খেজুর খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ খেজুরের মতো শুকনো ফলে ছাঁচ থাকে যা হাঁপানি রোগীদের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
  • ডায়াবেটিস রোগীদের খেজুর খাওয়া এড়িয়ে চলা উত্তম। খেজুরের মধ্যে থাকা গ্লুকোজ ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে যার কারণে ডায়াবেটিস রোগীদেরকে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খেজুর খাওয়া যাবেনা।
  • যাদের শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি আছে তাদেরকে নিয়মিত খেজুর খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ খেজুরেও পটাশিয়াম রয়েছে। যদি বেশি পরিমাণ খাওয়া হয় তাহলে যাদের শরীরে পটাশিয়াম বেশি রয়েছে তাদের শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা আরো বেশি হয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
এতক্ষন খেজুর খাওয়ার ১৮ উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।

মন্তব্য

খেজুর খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। খেজুরের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। আজকের আর্টিকেলটিতে ইতিমধ্যেই খেজুর খাওয়ার ১৮ উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি খেজুর খাওয়ার ১৮ উপকারিতা আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগবে এতক্ষন সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

https://www.dyinamicit.com/p/blog-page_16.html

comment url