টাক মাথায় চুল গজানোর উপায়

টাক মাথায় চুল গজানোর উপায় - আপনি কি টাক মাথায় চুল গজানোর উপায় জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটা আপনার জন্যই। আজকের আর্টিকেলটিতে টাক মাথায় চুল গজানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করা হবে। টাক মাথায় চুল গজানোর গোপন রহস্য জানতে সাথেই থাকুন।
আজকের আর্টিকেলটিতে টাক মাথায় চুল গজানোর উপায়, টাক হওয়ার কারণ।মাথার টাক দূর করার কার্যকরী ওষুধ, চুলের ট্রিটমেন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

টাক হওয়ার কারণ

ছেলে মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই চুল সৌন্দর্যের প্রতীক। অনেক পুরুষই মাথায় টাক পড়া সমস্যা ভুগে থাকেন। বিভিন্ন কারণে চুল পরতে পরতে এই ঘনত্ব কমে গিয়ে একসময় চুল ফাঁকা হয়ে গেলে টাক দেখা যায়। অল্প বয়সে টাক পড়ে গেলে মাথার সৌন্দর্য নষ্ট হয়।মাথার চুল বিভিন্ন কারণে পড়তে পারে অসুস্থতার কারণে, অতিরিক্ত পরিমাণে ওষুধ গ্রহণ করলে, থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে, ক্যান্সার,

দুশ্চিন্তা, চর্মরোগ, এন্ড্রোজেনেটিক হরমোনের কারণে ইত্যাদি। বিভিন্ন কারণে মাথার চুল পড়ে যেতে পারে। তবে চিন্তার কারণে আপনি যদি আর্টিকেলটি পড়ে টাক মাথায় চুল গজানোর উপায় গুলো ফলো করেন তাহলে আশা করা যায় মাথায় চুল গজাবে। টাক মাথায় চুল গজানোর উপায় গুলো জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন।
.

টাক মাথায় চুল গজানোর উপায়

যেকোনো সমস্যা থাকলে সে সমস্যার সমাধানও রয়েছে। মাথায় টাক পড়ে যাওয়া যেমন একটি সমস্যা তেমনি এই রাগ করে যাওয়ার সমস্যা সমাধানও রয়েছে। প্রাকৃতিকভাবে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো আপনার টাক মাথায় চুল গজাতে সাহায্য করবে।

পেঁয়াজের রস ব্যবহার

পেঁয়াজের রসেরমধ্যে রয়েছে চুলের জন্য পেঁয়াজের মধ্যে জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ। টাক মাথার সমস্যা দূর করার জন্য নিয়মিত পেঁয়াজের রস ব্যবহার করতে পারেম। পেঁয়াজের ঝাঁঝলো গন্ধ চুলের জন্য বেশ উপকারী। পেঁয়াজ নতুন চুল গজাতে অত্যন্ত সাহায্য করে। পেঁয়াজ আমাদের চুলের জন্য

অত্যন্ত উপকারী এটা আমরা কম বেশি সবাই জানি। পেঁয়াজের রস টাক মাথায় বিশেষভাবে সাহায্য করে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কেমন করে মাথায় পেঁয়াজ ব্যবহার করবেন তাইতো? চলুন মাথায় পেঁয়াজ ব্যবহার করার নিয়ম জানা যাক - কয়েকটি পেঁয়াজ নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে ভালোভাবে ধুয়ে কাটার পর
সেগুলো ভালোভাবে বেটে নিন অথবা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করতে পারেন আপনার কাছে যেটা সুবিধা মনে হয় সেটাই করতে পারেন। এরপর সেই মিশ্রণটা মাথায় ভালোভাবে লাগিয়ে নিন আপনি চাইলে অ্যালোভেরা যোগ করতে পারেন। এরপর প্রায় এক ঘন্টা মত রেখে দিন। এক ঘন্টা পর হালকা গরম পানি দিয়ে মাথা

ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এইভাবে সপ্তাহে তিন চার বার ব্যবহার করলেন নিশ্চয়ই আপনি সুফল পাবেন তবে দীর্ঘদিন ধৈর্য সহকারে ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত পেঁয়াজ রস ব্যবহার করলে নতুন চুল গজাবে।

মেথির ব্যবহার

টাক মাথায় চুল গজানোর উপায় গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে মাথায় মেথি ব্যবহার করা। মেথির উপকারিতা অনেক। মেথি নতুন চুল গজাতেও কার্যকরী। মেয়েটি ব্যবহার করার মাধ্যমে নতুন চুল গজানো সম্ভব হয়। এর জন্য প্রথমে আপনাকে একটি পরিষ্কার বাটিতে কিছু পরিমাণ মেখে নিয়ে
আগের দিন রাতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর সকালে উঠে মেথিগুলো বেটি নিতে হবে বা ব্লেন্ডারের ব্লেল্ড করে নিতে হবে। আপনি চাইলে মেথির সাথে মধু, অ্যালোভেরা, দই ইত্যাদি মিক্স করতে পারেন এরপর মেথির মিশ্রণটি মাথায় ব্যবহার করতে হবে। মাথার ত্বকে ভালোভাবে মিশ্রণটি লাগানোর পর

শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। যতক্ষণ না ভালো মতো শুকিয়ে যায় ততক্ষণ মিশ্রণটি মাথায় রাখুন। এরপর শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে এইভাবে অন্তত একদিন বেশ কয়েক সপ্তাহ ব্যবহার করুন। মেথি টাক মাথায় নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। নিয়মিত মাথায় মেথি ব্যবহার করলে আপনার মাথায় নতুন চুল গজাবে এবং মাথা ঠান্ডা রাখতেও সাহায্য করবে।

কালোজিরার ব্যবহার

কালোজিরাও নতুন চুল গজাতে বেশ উপকারী। আপনি যদি শুধু মেথি ব্যবহার করে উপকার না পেয়ে থাকেন তাহলে মেথির সঙ্গে কালোজিরা যোগ করতে পারেন। কালোজিরা মাথায় ব্যবহার করার জন্য প্রথমে আপনাকে কিছু পরিমাণ কালোজিরা ও মেথি নিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। মেথি ও

কালোজিরা রোধে ভালোভাবে শুকানোর পর মেথি ও কালোজিরা গুড়া করে নিতে হবে। এরপর এই গুড়াগুলো কিছুটা পরিমাণ নিয়ে নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর তেলর সাথে মিশ্রণটি চুলাই একটি পাতিলে দিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে গরম করে নিতে হবে এরপর সেটি ঠান্ডা করতে
হবে। মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে গেলে একটি কাঁচের বোতলে সংরক্ষন করুন। এই তেলটি দুই সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকবে। নিয়মিত প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করতে হবে। আপনি তেলটি আপনার পুরো মাথায় ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। কয়েক সপ্তাহ নিয়মিত ব্যবহার করলে উপকার পাবেন বলে আশা করা যায়।

আমলকি

চুলকে মজবুত করতে নতুন চুল গজাতে আমলকি বিশেষভাবে কাজ করে। আমলকি চুলের জন্য অনেক উপকারী। টাক মাথায় চুল গজানোর জন্য যেভাবে আমলকি ব্যবহার করবেন তা হলো প্রথমে কিছু আমলকি ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে তারপর শুকনো আমলকি গুলোকে ছোট টুকরো

টুকরো করে কাটতে হবে। এরপর নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলায় জ্বাল দিয়ে ফুটাতে হবে। ফুটানো হয়ে গেলে ঠান্ডা করে একটি বোতলের মধ্যে সংরক্ষণ করুন। তারপর নিয়মিত এই তেলটি মাথায় ব্যবহার করুন। এতে চুল পড়া কম হবে নতুন চুল গজানো শুরু হবে। টাক মাথায় চুল গজাতে নিয়মিত আমলকি সহ তেলটি ব্যবহার করুন।

মেহেদী লাগানো

মেহেদী চুলের জন্য অনেক উপকারী একটি উপাদান। মেহেদি নতুন চুল গজানোর মজবুত করতে চুল লম্বা করতে সাহায্যে করে। টাক মাথায় চুল গজানোর জন্য মেহেদি যেভাবে ব্যবহার করবেন সেটা হলো প্রথমে মেহেদির পাতাগুলো পানি দিয়ে ধুয়ে ভালোমতো রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। শুকানো হয়ে গেলে

শুকনো মেহেদির পাতাগুলো বেটে বা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এরপর মিশ্রণগুলো সরিষার তেল নিয়ে সরিষার তেলের সাথে মিক্স করে নিতে হবে। তারপর তেল গুলো একটি বোতলের সংরক্ষণ করুন। এই তেলটি সপ্তাহে অন্তত দুইদিন পরে ব্যবহার করা চেষ্টা করুন। এইভাবে কয়েক সপ্তাহ তিনটি ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন বলে আশা করা যায়।

নিম পাতার ব্যবহার

আমরা জানি ত্বকের যে কোন সমস্যায় নিমপাতা অত্যন্ত কার্যকারী। তবে শুধু নিম পাতা ত্বকেই নয়, চুলের যত্নেও বেশ কার্যকরী। নিম পাতা টাক মাথায় চুল গজাতে সাহায্য করে থাকে। সাথে শুধু নিম পাতা নয় নিম ফল ও বেশ কার্যকর। নিমফল ও চুলের যত্নে অত্যন্ত উপকারী। নিফল মাথার খুশকি দূর

করতে, নতুন চুল গজাতে, মাথাকে জীবণু মুক্ত করতে অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান। চলুন টাক মাথায় চুল গাওয়া যাতে নিম পাতা কিভাবে ব্যবহার করা হয় সে কি জানা যাক, নিমপাতা ব্যবহার করার জন্য প্রথমে নিমপাতা সংগ্রহ করতে হবে। এরপর নিম পাতাগুলো ভালো মতো ধুয়ে নিতে হবে। তারপর

একমুঠো নিম পাতা নিয়ে ১ লিটার পানিতে দিয়ে ভালোমতো চুলাই জ্বাল দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর নিম পাতাগুলো ফুটানো হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে একটি ছাঁকনি দিয়ে মিশ্রণটি ছেঁকে মিশ্রণটি ঠান্ডা করে নিতে হবে। মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে গেলে একটি বোতলে সংরক্ষণ করুন। এরপর

আপনি যখনই চুলে শ্যাম্পু করবেন তখন শ্যামপুর সঙ্গে এই নিমের পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিবেন। এইভাবে সপ্তাহে অন্ততপক্ষে একদিন বেশ কয়েক সপ্তাহ ব্যবহার করুন। এর ফলে টাক মাথায় চুল গজাবে, ত্বকের সংক্রমণ দূর হবে এবং খুশকি দূর হবে।

নারিকেল দুধ এবং তেল

যখন অতিরিক্ত চুল পড়া শুরু হয় এবং আপনি বুঝতে পারবেন যে হয়তো আপনি টাক হয়ে যেতে পারেন এমন অবস্থা থেকে আপনাকে সচেতন থাকা প্রয়োজন এবং চুলের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। এমনভাবে চলে যখন নিতে হবে যত চুল পড়া রোধ হয়। চুল পড়া রোধ করার একটি কার্যকরী উপায়

হচ্ছে চুলে নারিকেল দুধ ব্যবহার করা। নিয়মিত নারিকেল দুধ ব্যবহার করলে চুল পড়া থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়। এর জন্য নারকেল কুরে নিয়ে সামান্য পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে দুধ বের করে নিতে হবে। এরপর ওটার সাথে ২০ মিলি নারিকেল তেল, ১০ মিলি আমলকি তেল, দুই চা চামচ লেবুর রস একটি

মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এই মিশ্রণটি মাথার চুলে লাগিয়ে এক ঘন্টার মতো রাখতে হবে। এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ভালোমতো মাথার চুল পরিষ্কার করে নিতে হবে। এতে যেমন চুল পড়া কমে যাবে তেমনি খুশকি যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে। আপনার, মাথাটা অফ হয়ে যাওয়ার আগে থেকেই চুলের যত্ন নিন। চুল পড়া বন্ধ করতে পারলে মাথায় টাক পরা বন্ধ হবে।

চুলে ডিমের ব্যবহার

চুলের যত্নের ডিম অনেক উপকারী শুধু শরীরের জন্যই নয় ফুলের জন্য চুলের জন্য ডিম অত্যন্ত উপকারী। এটি চুলে প্রোটিন সরবরাহের ভূমিকা রাখে। চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। ডিম এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে মাথায় লাগালে চুল পড়া বন্ধ হবে, চুল বৃদ্ধি পাবে এবং নতুন চুল গজাবে। মাথায় টাক এড়ানোর জন্য চুল পড়া বন্ধ করার প্রয়োজন। এইজন্য সপ্তাহে অন্তত একদিন এইভাবে ডিমের ব্যবহার করতে পারেন। এতে নতুন চুল গজানোর শুরু হবে।

চুলের ট্রিটমেন্ট

বর্তমান সময়ে সেলুন কিংবা পার্লারে চুলের অনেক রকম ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থা রয়েছে। যে টিটমেন্ট গুলো নিলে -
  • চুল পড়া রোধ হবে।
  • নতুন চুল গজানো শুরু হবে।
  • চুলের ক্ষয় রোধ হবে।
  • রুক্ষ চুলের সতেজতা ভাব ফিরে আসবে।
  • ড্যামেজ হওয়া চুল রিপেয়ার হবে।
  • মাথার খুশকি দূর হবে।
  • চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।
  • মাথায় টাক পরা রোধ হবে।
মাথায় টাক পড়া রোধ করতে চুলের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে আমি মনে করি। চুলের যত্ন নিয়ে চুল পড়া রোধকরা সম্ভব। বর্তমান সময়ে সেলুন গুলোতে ছেলেদের অনেক রকম ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন। আপনার চুলের ধরন দেখে আপনার কোন ট্রিটমেন্টের প্রয়োজন সেটা তারা ঠিক করে দিবে। তাই আপনি চাইলে ট্রিটমেন্ট নিতে পারেন।

মাথার টাক দূর করার কার্যকরী ওষুধ

মাথার টাকের সমস্যা দূর করার জন্য গবেষকরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ আবিষ্কার করে আসছেন। চুলের টিস্যু ও ঝোল নানা ধরনের রোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে চুলের ট্রিটমেন্ট নেওয়ায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। চলুন এখন মাথার টাক দূর করার কার্যকারী ওষুধ সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো -

সিটিপি-৫৪৩ এই ওষুধটি অ্যালোপেসিয়া অ্যারিয়াটা অর্থাৎ মাথার টাক রোগ প্রতিরোধের কার্যকরী ঔষধ। গবেষকদের মতে ওষুধটি সহনীয় পর্যায়ের হয়ে থাকে। এই ওষুধটি আবিষ্কার করেন মার্কিন ওষুধ কোম্পানি কনসার্ট ফার্মাসিউটিক্যাল। এটি টাক মাথার সমস্যা দূর করে নতুন চুল গজাতে অত্যন্ত কার্যকরী একটি ওষুধ। তবে কিছুসংখ্যক রোগীর মধ্যে মাথাব্যথা গ্রহণ ও ইনফেকশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

মন্তব্য

চুল একটি সৌন্দর্যের প্রতীক। বিভিন্ন কারণে প্রচুর পড়ে গিয়ে মাথায় টাকের সৃষ্টি হয়। টাক দূর করার অনেক উপায় রয়েছে। আজকের আর্টিকেলটিতে টাক মাথায় চুল গজানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। মাথার টাক দূর করার জন্য অবশ্যই চুলের যত্ন নিতে হবে আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগেছে এবং উপকারে আসবে। এতক্ষন সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

https://www.dyinamicit.com/p/blog-page_16.html

comment url